আওয়াজ উডা, কথা ক, চল ভুলে যাই, বায়ান্ন হচ্ছে ২০২৪ আন্দোলনের কিছু গান। পুলিশের অমানবিক গুলির হুমকি, আর্মির বন্দুকের গুলির সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করা ছাড়াও; জনমানুষের এই পবিত্র আন্দোলনের জন্য প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে আন্দোলন করেছিলেন।
যেমন শিল্পিরা করেছেন তেমন করেছেন কবি লেখকরাও।
পেছন ফিরে দেখা যাক, ১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলা প্রদেশকে ইংরেজ সরকার ভাগ করতে চায়।
ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিভাগ ও আসাম নিয়ে গঠিত হয় পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ। এর গভর্নর নিযুক্ত হন স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার। আর পশ্চিম বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা নিয়ে গঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ।
বাংলা প্রদেশ বিকেন্দ্রীকরণ করলে আসলে উভয় অংশই উন্নতি লাভ করার কথা ছিল। তবে কলিকাতা শহরটির উপর যে মনোযোগ ছিল বিশাল অঞ্চলের তা কিছুটা কমে যাবারই কথা। অপরদিকে ঢাকা মুসলিম অধ্যুষিত শহর এবং স্বাভাবিকভাবেই এটা প্রদেশের রাজধানী হইলে ঢাকা শহর বিকশিত হইবারই কথা।
তাই হিন্দু জমিদারগণ বেঁকে বসলেন(তাদের অনেকের জমিদারি পুর্ববাংলায় কি-না) এবং আন্দোলন শুরু করলেন তারা। এমনই এক জমিদার ছিলেন কবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি মুসলমানদের প্রতি এমনিতেই বিদ্বেষ পোষণ করতেন(হ্যাঁ ইহা তেতো কিন্তু সত্য)। রবি ঠাকুর লিখে ফেলিলেন পশ্চিমবঙ্গ ও পুর্ববঙ্গ ভাগ না করিবার জন্য গান, আমার সোনার বাংলা।
এই বাংলা বলতে আসলে বোঝায় ব্রিটিশদের সময়কার বাংলা প্রদেশ। গোলামির জিন্জিরে আবদ্ধ বাংলা প্রদেশকেই বোঝায়। এই বাংলা কোনক্রমেই বাংলাদেশকে বোঝায় না। বরং এই গান হইতেছে স্বাধিনতাকামী মানুষদের মুখে চপেটাঘাত।
বর্ণ হিন্দু জমিদারগণের এই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত সফল হয়। মুসলমানদের অধিকার হরণে তারা বিজয়োৎসব করে।
পরিশেষে বলবঃ রাষ্ট্র কোন ধর্ম না যে সংবিধান ইহার ধর্মগ্রন্থ আর জাতীয় সংগীত কোন কালেমা না। কেহ বদলালে ইহাতে বুঝদার মানুষের কিছু যায় আসে না।
তবে আসলে আমি চাই সেই সময়কার যে বাংলা প্রদেশ ছিল, সেই বাংলা প্রদেশের ভৌগলিক এলাকা নিয়ে যদি বাংলাদেশের সাথে জুড়ে দেওয়া হয় তবে আমার সোনার বাংলা অবশ্যই থাকতে হবে। সেইসাথে অপরিবর্তনীয় জাতীয় সংগীত হিসাবে বিতর্কমুক্ত থাকতে আর সমস্যা হইবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১