somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষায় 'মানবিক মূল্যবোধ' অন্তর্ভূক্তির প্রয়োজনীয়তা এবং ফোকলোরের ভূমিকা

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জাতিসংঘের 'টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা' ২০৩০ বাস্তবায়ন ও অর্জনের অন্যতম প্রধান অংশীদার বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তন, সাসটেইনএবল কনজাম্পশন, আত্মনির্ভরশীল জীবনধারা, টেকসই দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যবোধ ভিত্তিক শিক্ষাকে অন্যদের মধ্যে অত্যাবশ্যক লক্ষ্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আমাদের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগত জ্ঞান-প্রজ্ঞা, মূল্যবোধের সফল অন্তর্ভূক্তি এই লক্ষ্যগুলির অর্জনের জন্য মূল ভূমিকা পালন করতে পারে।

SDG 4.7 কি ?

SDG 4 : “Ensure inclusive and equitable quality education and promote lifelong learning opportunities for all” has 10 target areas to consider. The 7th target seeks “by 2030 ensure all learners acquire knowledge and skills needed to promote sustainable development, including among others through education for sustainable development and sustainable lifestyles, human rights, gender equality, promotion of a culture of peace and non-violence, global citizenship, and appreciation of cultural diversity and of culture’s contribution to sustainable development”.

SDG৪.৭ পর্যালোচনা করলে যে বিষয়টি সবচেয়ে লক্ষ্যনীয় তা হলো, ২০৩০ সালের মধ্যে সকল শিক্ষার্থী কে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, যা টেকসই উন্নয়ন কে আরো সমুন্নত করবে এবং টেকসই জীবনধারা, মানবাধিকার, লিঙ্গ সমতা, শান্তি ও অহিংস সংস্কৃতির প্রচার, বৈশ্বিক নাগরিকত্ব এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রশংসা এবং টেকসই উন্নয়নে সংস্কৃতির অবদানের জন্য অন্যদের মধ্যে সহ টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করবে। অর্থাৎ, শিক্ষা ব্যবস্থায় 'মানবিক মূল্যবোধের' অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করতে হবে। কারন, একটি দেশে, মানুষ তার দৈনন্দিন প্রয়োজনে 'finite resource' গুলো কি মাত্রায় ব্যবহার করছে, তার উপর নির্ভর করে সেই দেশের সাসটেইনএবিলিটি ম্যানেজম্যান্ট। এক্ষেত্রে মানুষের সেই সম্পদ কিভাবে ব্যবহার করবে, তার একটি বিরাট অংশ নিয়ন্ত্রিত হয় মানুষরে 'মূল্যবোধ' দ্বারা। আর এই মূল্যবোধের শিক্ষা শুরু করতে হবে প্রাথমিক পর্যায় থেকে।

বাংলাদেশের 'ফোকলোর' এর রয়েছে সূদীর্ঘ ইতিহাস এবং অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি ভান্ডার। বাংলাদেশের প্রাথমিক পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক শিক্ষায়, ফোকলোরের বিভিন্ন শাখা থেকে উৎপন্ন 'ঐতিহ্যগত মূল্যবোধ ও প্রজ্ঞা', একটি শক্তিশালী 'হাতিয়ার' হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা আমাদের পতনশীল সাসটেইনএবিলিটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য প্রো-স্থায়িত্ব মনোভাব (pro-sustainability attitude) এবং টেকসই প্রজ্ঞা (sustainability wisdom) গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

আমরা যখন কোন motivational speaker এর কথা শুনি বা কোন positive quote পড়ি, তখন সাথে, সাথেই আমাদের মনে একটা অনুভূতি হয়, "আরে তাই তো !" এটাতো আসলেই এমন, ওটাতো আসলেই তেমন! তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াচ্ছে ? ব্যাপারটা এই যে motivational speaker এর ঐ কথাগুলো বা positive quote এর বাণীগুলো আমরা already জানি, কিন্তু দৈনন্দিন জীবনের নানা জটিলতায় আমরা de-motivated হয়ে যাই , তখন ঐ জানা কথাগুলোও আর আমাদের মনে আসে না। আর এই জানা কথাগুলো তো নিজেরা আমাদের সামনে আসবে না। এখানেই motivational speaker বা positive quote এর কারিশমা। তারা আমাদেরই ভেতরে জমে থাকা জানা কথাগুলো আমাদের সামনে নিয়ে এসে আমাদের brain কে একটা positive vibe দেয়, একটা comfort zone তৈরী করে, আমাদেরকে ভাবতে সাহায্য করে , "আরে তাই তো ?" Folklore এর উপাদানগুলোর মধ্যে আছে সেই রকম কারিশমা, যা আমরা already জানি, তা-ই আমাদের সামনে একটা comfortable form -এ বা art -এ এনে উপস্থাপন করে এবং আমাদের মধ্যে একধরনের confident তৈরাী করে বা positive চিন্তা করতে সাহায্য করে। Folklore এর মধ্যে আছে একধরনের আস্থা, এক ধরনের validation, আছে সেই ক্ষমতা যা fantasy'র মধ্য দিয়েই বাস্তবতাকে দেখায়।

বাংলার প্রবাদ বা গল্পগুলোর একটি বৈশিষ্ট হলো প্রায় প্রতিটি প্রবাদ বা গল্প একটি বিশেষ শিক্ষা বার্তা বহন করে। পৃথিবীর সব দেশে, সব সংস্কৃতিতেই প্রবাদ-প্রবচন এর ব্যবহার রয়েছে। প্রবাদের প্রতি একধরনের আস্থা মানুষের মনের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি হয়। প্রবাদ-প্রবচন মানুষের সামনে 'উদাহরণসহ' বাস্তবতাকে তুলে ধরে। এর ব্যবহার মানুষের জীবনের সর্বত্র। সাধারন আলোচনায়, দৈনন্দিন কথপোকথনে, ঝগড়ায়-তর্কে, উপদেশে এন্ড হয়াট নট। যেমন একটা বাংলা প্রবাদ আছে, "এক হাতে তালি বাজে না"। এটি বিশেষত ব্যবহুত হয় দুইজন ব্যক্তির ঝগড়া নিয়ে যখন তৃতীয় কেউ আলোচনা করে। প্রবাদটা বলার সাথে, সাথে তৃতীয় ব্যক্তির মনের মধ্যে যে চিন্তাটা আসবে তা হলো, আসলেই তো! দুইজনেরই কিছু না কিছু দোষ আছে , আর তাই এই ঝগড়া হয়েছে। তখন দুই পক্ষের দোষগুলো বিশ্লেষন হয়। প্রবাদ-প্রবচন সাধারন কথার বাইরেও সেই কথাটা বলে যা মানুষের মনের গভীর থেকে একটা আস্থার আওয়াজ দেয়।

Once upon a time বলে যেই না আপনি একটা গল্প বলা শুরু করেন, অমনি একটি শিশু তার কল্পনাকে নিয়ে যায় গল্পের সেই স্পট-এ, তারপর গল্পের প্রতিটা স্তরে তার কল্পনার ঢেউটা উঠা-নামা করে, এর ভেতর দিয়েই কিন্তু আপনি তাকে গল্পের বিষয়বস্তুর আসল উদ্দেশ্য'র সাথে পরিচয় করিয়ে আবার তাকে আলতো করে বাস্তবে নিয়ে আসেন। গল্পটা শেষ হয়, কিন্তু শিশুর অবচেতন মনে রেশটা রয়ে যায় - এটা তাকে বাস্তবের নানারকম কর্মকান্ডের সাথে রিলেট করতে সাহায্য করে। কিন্তু এই রেশতো বেশিদিন থাকবে না, তাহলে উপায় কি? উপায় হ'ল শিশুকে রিমাইন্ডার দেয়া। কিভাবে ? একই গল্পতো বার, বার বলা যাবে না, আকর্ষন হারিয়ে ফেলবে। ভিন্ন গল্প বলতে হবে, বয়স এবং সময় অনুসারে গল্পের পরিধী বাড়াতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করা পৃথিবীর অন্যতম কঠিন একটি কাজ, কারণ আপনি একটি বীজ থেকে চারা এবং চারা থেকে বৃক্ষ হবার প্রকৃয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়টার একজন কিউরেটর। ঠিক যেভাবে আপনি চারাটির যত্ন করবেন, ভবিষ্যতে গাছটা থেকে তেমন ফল পাওয়া যাবে।


Childlore - বা শিশুতোষ সাহিত্য , প্রবাদ-প্রবচন, সেইংস, শুধুমাত্র রাজা-রানীর গল্প নয়। Childlore এর প্রতিটি শাখায়, প্রতিটি উপাদানের পরতে, পরতে রয়েছে একটি শিশুর 'বীজ থেকে গাছ' হওয়ার বিজ্ঞান। রয়েছে এক প্রজন্মের কাছে আরেক প্রজন্মের রেখে যাওয়া প্রত্যাশা। আমি স্নাতকত্তোর অনেক সূত্রই ভুলে গেছি, অথচ "সকালে উঠিয়া আমি মনে, মনে বলি , সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি " কত অকপটেই না মনে আছে। অথবা মনে আছে "আগডুম বাগডুম ঘোরাডুম সাজে"র মত ননসেন্স রাইম। জানি মিথ্যুক রাখাল বালকের গল্পটা নেহায়েত গল্পই, কিন্তু মনের গভীরে আজো মিথ্যা বলার সময় বনের বাঘ নয়, মনের বাঘটাকেই ভয় পাই। Childlore এর যাদুটা এখানেই। শিশুমনে যে অনুভূতিটা গেঁথে দেয়, তার প্রভাব থাকে বহুবছর, এমনকি আজীবন। ঘুম পাড়ানি গান বা লুলাবাই যেমন শিশুর শরীর মনকে একটা আবেশের ভেতর দিয়ে নিয়ে গিয়ে ঘুম পারিয়ে দেয় , তেমনি একটি ছড়া, গল্প, লিজেন্ড বা নিছক একটা প্রবাদ থেকেই শিশুমন তার প্রয়োজনিয় রসদ নিংড়ে নিতে পারে, যা তার মনে একটা স্থায়ী জায়গা তৈরী করে নিতে সক্ষম।


শিশুদের কল্পনাশক্তি প্রবল থাকে। যেহেতু তাদের মন কোমল, তাই খুব সহজেই তাদেরকে প্রভাবিত করা যায়। যখন কোন গল্প বা প্রবাদ বাক্যের সাথে বাস্তবের কোন ঘটনা বর্ণনা করা হয়, তখন তারা খুব সহজেই তাদরে কল্পনাশক্তির দ্বারা প্রবাদ, গল্প এবং বাস্তবকে রিলেট করতে পারে। ফলে ঐ প্রবাদ বা গল্প থেকে যে শিক্ষাটা তারা পায়, সেটা অনেক দীর্ঘস্থায়ী হয় তাদের জীবনে। তবে শুধুমাত্র ভার্চুয়াল শিক্ষাটা খুব ফলপ্রসূ দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে না যদি এর বাস্তব প্রয়োগ বা চর্চা না হয়। ঠিক যেমন Knowledge based শিক্ষার চাইতে Skilled based শিক্ষা অনেক বেশি কার্যকর বাস্তব জীবনে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রবাদ গুলোর শাব্দিক তাৎপর্য এবং ব্যবহারিক তাৎপর্য কখনও কখনও ভিন্ন হয়। অর্থাৎ অনেক প্রবাদ বা সেয়িং শাব্দিক দিক দিয়ে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে, কিন্তু কগনিটিভ অর্থ আলাদা। শিশুদের সাথে প্রবাদ বা সেয়িং এর মাধ্যমে কমিউনিকেট করার সময় এই কগনিটিভ অর্থটির দিকে বেশি জোর দিতে হবে। এ পর্যায়ে আমি কয়েকটি প্রবাদ উদাহরণ হিসাবে ব্যবহার করবো।

যেমন কর্ম, তেমন ফল বা আয় বুঝে ব্যয় কর:
এই প্রবাদটিগুলো Universal প্রবাদ হিসেবেই গন্য করা হয়। এটি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটি ৫-১১ বছর বয়সী শিশুকে খুব সহজেই আমরা Sustainability র সাথে Mapping করতে পারি এই প্রবাদটির মাধ্যমে।
যেমন,

তোমার কাছে মোট ৩ টি কলা আছে সারাদিনের জন্য। এই ৩ টি কলা দিয়ে তোমাকে তোমার সারাদিনের ক্ষুধা মেটাতে হবে। কিন্তু তুমি যদি এই ৩টি কলা একবারেই সকাল বেলা খেয়ে ফেলো, তাহলে দুপুর বা রাতে যদি তোমার ক্ষুধা লাগে, তখন তোমাকে না খেয়ে থাকতে হবে এবং তোমার কষ্ট হবে। অথবা, তোমার কাছে এক চৌবাচ্চা পানি আছে যা দিয়ে তোমাকে সারাদিনের পানির চাহিদা মেটাতে হবে। তুমি যদি চৌবাচ্চার নলটা বিনা কারণে খুলে রাখো খুব দ্রুত চৌবাচ্চার পানি শেষ হয়ে যাবে এবং রাতে যখন তোমার পানির দরকার হবে, তোমার কাছে আর তখন পানি থাকবে না এবং তোমার কষ্ট হবে।

সবুরে মেওয়া ফলে :
বাংলার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রবাদ। মেওয়া একটি অত্যন্ত সুস্বাদু মিষ্টান্ন যা তৈরি করতে দীর্ঘ সময়ের দরকার হয় আর তাই মেওয়ার সাথে এটির একটি অন্তর্নিহিত সম্পর্ক রয়েছে। ধৈর্য্য এমন এক প্রক্রিয়া যার মধ্য দিয়ে প্রাপ্ত 'ফল' খুব মিষ্টি হয় এবং এই প্রবাদ যখন শিশুদের সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা যায়, তা অবশ্যই তাদরে সাহায্য করে দৈনন্দিন জীবনে আরো সহনশীল হতে।

জীবে দয়া করে যে জন, সে জন সেবিছে ঈশ্বরে:
এই প্রবাদটি একাধারে সামাজিক এবং ধর্মীয় সম্পৃক্ততার এক সমন্বয়। ঈশ্বর বা স্রষ্টাকে সন্তুটির চেষ্টা সব ধর্মেই বিদ্যমান। এই প্রবাদটির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় যে 'জীব' সেবা করেই কত সহজে ঈশ্বরের প্রিয় হওয়া যায়।

দশের লাঠি একের বোঝা বা দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ:
এই প্রবাদের পুনঃপুন ব্যবহারে শিশুদের মধ্যে একতা এবং সংহতির মনোভাব তৈরী করা সহজ হয়।

প্রবাদ-প্রবচনগুলো বা সেইংসগুলো সাধারণত হয় সার্বজনিন এবং চিরন্তন, ধ্রুব। কেননা এগুলো শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বহমান, মানুষের জীবনের সাথে অতপ্রতভাবে জড়িত থেকেই এদের সৃষ্টি। ভাষা হিসেবে 'বাংলা' একটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ ভাষা। বাংলা ভাষার বর্ণমালা, ব্যকরন থেকে শূরু করে এঁর শব্দ ভান্ডার, ভাষা শৈলি এবং সাহিত্যের সকল শাখায় এর রয়েছে স্ব-গর্ভ বিচরন। সময়ের সাথে, সাথে এবং বিশ্বায়নের তীব্র প্রভাবে এই ব্যবহার দিন, দিন আশংকা জনক ভাবে কমছে, বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্ম এই ঐতিহ্যের ধারা কতটা ধরে রাখতে পারবে এই ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।

সময়ের সাথে, সাথে আমাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পরিবর্তন হচ্ছে। অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা , চিকিৎসার পাশাপাশি সমান গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে সাহিত্য- সংস্কৃতি'র প্রতি, যা আমাদের , বিশেষ করে শিশূদের মানবিক বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। কিন্তু একটি সমাজে বা দেশে যখন অলরেডি অতিরিক্ত জনসংখ্যা, economic and political instability, law and order issue, climate change ইত্যাদি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে তখন মানবিক বিকাশ সংক্রান্ত বিষয়গুলো priority পাওয়া খুব কঠিন। অথচ একটু চিন্তা করলেই দেখা যায় বর্তমান অনেক সমস্যাই সমাধান হয় যদি মানবিক বিকাশ ঘটে। আর এই মানবিক বিকাশ ঘটানো কোন রাতারাতি ব্যাপার নয়। একটা প্রজন্মকে অনেকটা সময় নিয়ে ধীরে, ধীরে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিয়ে যেতে হয় যেখানে তারা প্রথমে ভালো-মন্দ কি তা জানে, এর ব্যবহার করতে পারে এবং সময় অনুযায়ী এর সিদ্ধান্ত নিতে শেখে। অনেকটা অক্ষর থেকে শব্দ, শব্দ থেকে বাক্য, এবং তারপর সেই ভাষার উপর পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করার মত। আমি জানি ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ, কিন্তু আমি সেটা মানলাম না। তার মানে আমার জানা, বিশ্বাস করা এবং আমার সিদ্ধান্ত নেয়ার মধ্যে একটা গ্যাপ তো রয়েছে। এই গ্যাপটা পূরণ করবে এই মূল্যবোধের শিক্ষা, মানবিক বিকাশ এবং তার চর্চা।

সারিয়া তাসনিম
কার্টিন ইউনিভার্সিটি, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট #৪.৭

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৪২
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×