ডিজিটাল স্কয়ার হাসপাতালের এমডি স্যারের সাথে গল্প করছিলাম। তিনি একজন দ্বীনদার মানুষ। বিভিন্ন আলাপচারিতার মাঝে তিনি তার মেডিকেল জীবনের একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন। তিনি বললেন, “সাজিদ! আপনাকে আমি টয়লেটে টিসু ব্যবহার না করার ভয়াবহ পরিণতির কথা বলি।
একদিন ফিফটি আপ একজন রোগী এসেছিলেন পেশাবের সমস্যা নিয়ে। বিভিন্ন চেকআপ ও হিস্ট্রি নিয়ে বুঝলাম, দীর্ঘদিনযাবত পেশাবের পর টিসু ব্যবহার না করার কারণেই তার লিঙ্গমুখে ইনফেকশান হয় গেছে।
এটা হওয়ার কারণ, একজন পুরুষ যখন পেশাবের পর টিসু ইউজ না করে, তখন পেশাব পুরোপুরি ক্লিয়ার হয়না, নালিতে বা লিঙ্গমুখে কিছু পেশাব আটকে থাকে। যা পুরুষাঙ্গের মাথায় বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশান সৃষ্টি করে।, কারণ পেশাব এক ধরনের এসিড। হয়ত তাৎক্ষনিক কানো সমস্যা দেখা দেয় না। বাট আফটার ফোর্টি বা ফিফটি, এই এসিডের প্রভাবে ইনফেকশানাল ডিজিজ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে অবস্থা এতটাই গুরুতর হয় যে, পেশাবের নালির অগ্রভাগ বন্ধ হয়ে যায়। আর তখন আমাদের বাধ্য হয়ে অপারেশন করে নিচ থেকে পেশাবের নালিমুখ বের করে দিতে হয়।
তিনি বললেন, মেয়েদের বেলায় বিষয়টি আরো গুরুতর!
মেয়েদের মলদ্বার ও যোনিমুখ খুব কাছাকাছি। ফলে মেয়েরা যদি মলত্যাগ করার পর টিসু ইউজ না করেই পানি ব্যবহার করে, তবে মলের মাঝে থাকা বিভিন্ন জীবানু যোনিপথ দিয়ে খুব সহজেই প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন মারাক্তক রোগের সৃষ্টি করে। যা দ্বারা সঙ্গী হিসেবে স্বামীও অজান্তেই বড় ধরনের ডিজিজে আক্রান্ত হয়। একপর্যায়ে যৌনজীবন অকালেই প্রাণ হারায়”।
__________
টয়লেট শেষ করার পর টিসু ইউজ না করার পরিণতি যে কতটা ভয়াবহ, তা মানুষ চিন্তাই করতে পারেনা, কারণ ক্ষতিকর এই প্রক্রিয়া সম্বন্ধে অনেকেই জানেনা। বর্তমান বিজ্ঞান সুন্নত পালনের বহু উপকারিতা আবিস্কার করেছে। মানুষের সসীম জ্ঞানের সীমাবদ্ধতায় আরো অনেক উপকারিতা অজানাই রয়ে গেছে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সামগ্রিক জীবনে, সুন্নত পালনের মধ্য দিয়ে, সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবন যাপন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভেবে পোষ্ট করেছি। কেউ বিব্রত হলে আমি বিপাকে পড়বো। ধন্যবাদ।