বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুইটা বিষয়। আজকে এই দুইটা বিষয় নিয়ে কিছু কথা বলতে মন চাচ্ছে । যদি কারো দ্বিমত থাকে আলোচনার জন্য উষ্ণ স্বাগতম আজকেই জানাইয়া রাখলাম ।
রাজাকার ইস্যু নিয়ে ক্ষমতাতে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। তার প্রধান নির্বাচনী বস্তু ছিল রাজাকারদের বিচার করা। সারাদেশের মানুষ সাড়া দিয়েছিলো তার ডাকে, কিন্তু আজ যখন রাজাকার ইস্যু সামনে তখন জাতি দুইভাগে বিভক্ত। এতোই যখন তোমার রাজাকার দরদ তখন এই সরকারকে না আনলেই পারতা।
এবার আসি রাজাকার বলে আমরা কাদেরকে চিনি? মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা মুক্তিবাহিনীদের ধরিয়ে দিসে, হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, রাহাজানি সব কিছুই এরা করছে, বাংলাদেশী কুলাঙ্গার হয়ে। ১৯৭১ সালের ঘটনার বিচার আজ ৪২ বছর পর হচ্ছে আর ২০১৩ সালের রাজকারদের বিচার কবে হবে? রাজাকার কি শুধুই তারা যারা ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের লোক হয়ে আমাদের মেরেছে। আজ যে সরকারে বসে রামপালে টাকা খেয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে, থলের কালো বিড়াল বের হচ্ছে, ভবন ধরে নাড়াচাড়া হচ্ছে , এই কাজগুলো যারা করছে তারা কি আমাদের ক্ষতি করছে না। তাহলে তাদের কি আমরা রাজাকার বলব না, তাদের বিচার কি কোনদিন হবে না? নাকি স্বাধীন রাষ্ট্র যে যারটা মেরে খেতে পারে সেটার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গত বিএনপি সরকারের আমলে ধর্ষণ হয়েছে, শান্তির ঠাণ্ডা আগুন জালান হইছে , জামাত নেতাদের বীর্যে হিন্দু কচি মেয়েদের যোনি ভরেছে, এগুলোর কি বিচার হবে না, তাদের কি আমরা রাজাকার বলব না। আর রাজকার শব্দটাও তাদের একটা ক্রেডিট, কারণ তারা একাত্তর থেকে এই নাম ব্যবহার করে আসছে, তাদের নাম ও কাম সবই ঠিক রেখেছে।
গণজাগরণমঞ্চ এখন বিতর্কিত হয়ে গেছে অনেকের কাছে, কারণ সেখানে নাস্তিকদের আড্ডাখানা। ভাই, আপনাদের বলছি যারা এই ঘটনার পর ঐ যায়গা ছেড়ে চলে গেছেন, আপনাদের মুখে থুঃ , আপনি একজন কে দিয়ে সবাইকে বিচার করে ফেললেন। মানছি, ওখানে নাস্তিক ছিল , কিন্তু কেন ছিল বলেন তো? তারা ছিল ঐ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে। আপনার বিশ্বাসী ভাইরা তো ঐ সাইদির পিছনে মুখ গুজে পড়ে ছিল। আর নিজামির সামনে দিয়ে রস বের করে দিচ্ছিল। এখন বলতে পারেন একমণ দুধে একফোঁটা চনাই যথেষ্ট। তাহলে আপনার ঐ বিশ্বাসী জায়গায় কিন্তু একি কথা খাটে। এখন বলবেন আপনি নাস্তিকদের সাফাই গাইছেন, আমি বলি কি ভাই ঐ রকম খরগোশ না হয়ে থেকে একটু চোখ মেলুন এখনও অনেক কিছু পরিষ্কার দেখবেন না হলে আর কিছুদিন পর ধোঁয়া ছাড়া আর কিছু দেখতে পারবেন না। যুক্তিতে আসেন তাইলে মেনে নেব। আপনি যদি বলেন গণজাগরণমঞ্চ আওয়ামী লীগের চাল তাও আমি মানতে রাজি, কিন্তু যদি বলেন নাস্তিকের জন্য আমি যাই না তবে আমি বলব আপনি নপুংসক।
হিন্দুদের শাস্ত্র মতে একটা কথা আছে,
জননী জন্মভূমি স্বর্গাদপি গরীয়সী
এর মানে জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও মহান, আর সাড়া বিশ্বে মুসলিম উগ্রপন্থী দলগুলো নিজের মাতৃভূমির উপরই ঝাঁপিয়ে পড়ছে। মুসলিম বিশ্ব এখনও সময় আছে এদের থামাও না হলে একদিন পালাবার পথ আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
ইহা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক পোস্ট, যদি কারো দ্বিমত থাকে প্রশ্ন করতে পারেন বা আমরা আলোচনা করতে পারি।