ধোয়ার গন্ধটা অসহ্য লাগছে,
বড় বেশি হয়ে যাচ্ছে আজকাল,
কি পাও এতে, শুধু ধোয়া বাদে,
চেখে দেখবে, সুখ পেতে পারো কিন্তু,
আমি পাশে বসে আছি এতে কি কষ্টে আছো,
হুম!!
কি!! তবে চলে যাচ্ছি, ফের ডেকো না,
হঠাৎ রেগে গেলে, পুরোটা না শুনেই,
কি বলবে বলো, তাড়া আছে,
এতো জলদি গিয়ে কি করবে,
তুমি যেটুকু সময় থাকো সে সময়টুক,
কেটে যায় নিমেষে,
তোমার আগে ওই তো ছিল আমার সঙ্গী,
তো?, এখন তো আমি আছি,
তুমি তো যখন ইচ্ছা এই অধরে বুলিয়ে যাও না তোমার মিষ্টতা,
ও আমার ইচ্ছাধীন, নিশীথে একা যখন তুমি পাশে ছিলে না,
নীরবে ভালোবেসে ওই তো সব সাদা করে,
দিয়ে যেতো তৃপ্তির ছোয়া,
তুমি এসে পাশে থাকলে হয়তো ও আসতোই না,
এসেই যখন পড়েছে, কি আর করা,
সতীনের ঘর মনে করে নাও, হা হা,
এটুকু মানিয়ে নিতে পারবে না!?
না! তুমি দিন দিন বড় বেশি বেয়াড়া হয়ে যাচ্ছ,
আদরেই কি ভালোবাসা সব নিমগ্ন থাকে?,
তা তো বলি নি, একটু বেশি চাওয়া কি পাপ??
না,তবে এ তোমার বড্ড বেশি,
কখনো নিভৃতে সেই নেওয়া দেওয়া ছাড়া,
কখনো বুঝেছ আমি তোমার কি?
বলছো কি!!
এজন্যই বলি এই আমার প্রকৃত প্রেমিকা,
যখন যা বলি , যেভাবে নিতে মন চায়,
যেভাবে আমার ছন্দ মিলে কবিতায়,
যেভাবে আমার আমি কে আমি খুজে পাই বৃষ্টির রিমঝিমে,
সেভাবে আর কেউ আসতে পারে নি,
তুমিও যাও, ওর সাথেই আমার দোকলা ঘরে একাকীত্বের সংসার,
ফিরে এলে আপন করে নিও,
বালিকা অভিমান ভরে চলে যায় ,
বালকের হাতে জ্বলন্ত শলাকা,
ভাবে দুটো নারী কখনোই একই সংসারে থাকতে পারে না,
তবু দুধের স্বাদ তো অনেক নেওয়া হলো,
ঘোলটা দেখি এবার, ছুড়ে ফেলে বলে নবো দাড়াও....,
বালিকা অশ্রু মুছে দাড়ায়,
পেছনে পড়ে থাকে ভালোবাসার প্রথম প্রকাশ অগ্নিজ্বলা একটি সিগারেট