আমাদের অনেক জ্ঞানই পুস্তক নির্ভর।হতে পারে জার্নাল বা বই এবং ছাপা অথবা হাল আমলের ইন্টারনেটে প্রকাশিত।আমরা এই উৎস থেকে পড়ি এবং জ্ঞান আহরন করি।আমরা যা পড়ি সবকিছু আমাদের পরীক্ষা করে দেখার সামর্থ নেই। কিন্তু আমাদের সাধ্য আমাদের বাধ্য করেছে একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে বিশ্বাস করার।বহু বৈজ্ঞানিক গবেষণা রয়েছে যা পরস্পর বিরোধী। এমনকি এমন অনেক গবেষক রয়েছেন যারা একটি মতবাদকে সত্য প্রমাণ করে আবার তাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছেন।একটি মতবাদকে এক সময় বিশ্বাস করেছেন আবার কিছু বছর পর অন্য মতবাদ।ধরে নেই ৬০,০০০ বইএ একটি মতবাদ প্রকাশিত হয়েছে বা একটি মতবাদের পক্ষে লেখা হয়েছে।তাহলে পরিসংখানের মাধ্যমে সে মতবাদকে প্রমানের ভাল সম্ভাবনা আছে। কিন্ত এই বিজ্ঞানের যুগে আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না কোন নির্দিস্ট মতবাদকে প্রমানের জন্য নির্দিস্ট সংখ্যার বই প্রকাশ করাও আজকাল অসাধ্য কিছু নয়।
আমরা পড়ি এবং বিশ্বাস করি এই চক্রটা কারো কারো জন্য এরকম যে কেউ আগে বিশ্বাস করে তারপর পড়ে আবার কেউ আগে পড়ে তারপর বিশ্বাস করতে চায়।তাহলে আমরা দেখছি যে, বিশ্বাস ও জ্ঞানের মাঝে একটা চক্র বিদ্যমান।আমরা যে যে পর্যায়ের জ্ঞানীই হইনা কেনো, কোন একটা পর্যায়ে আমরা ঠিকই বিশ্বাস করতে শুরু করি(কারন সবকিছু আমাদের পরীক্ষা করে দেখার সামর্থ নেই)।
জ্ঞান সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল।পনেরশ শতাব্দির মানুষের জ্ঞান আর বর্তমান সময়ের মানুষের জ্ঞানে অনেক অনেক পার্থক্য।মানুষের জ্ঞানের চর্চা থেমে নেই।তারপরও জ্ঞানের সীমা রয়েছে।ছয়শ কোটি আলোকবর্ষ দূরে কি আছে, অথবা বারো হাজার কোটি অথবা বারো লাখ কোটি আলোকবর্ষ দূরে কি আছে তার বিস্তারিত ব্যখ্যা পেতে হয়তো আরো অপেক্ষা করতে হবে।শুধু ইমেজ প্রসেসিং ছাড়া হয়তো অন্য কোন উপায় বের হবে।তবে এই মুহুর্তে এই বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান নেই।অতো দূরে যদি কোন প্রাণের অস্তিত্ব থাকে তাহলে জ্ঞানের মাধ্যমে তা প্রমানিত না হলেও তার অস্তিত্ব আছে।
জ্ঞানে দ্বিধা খুবই সাধারণ ঘটনা।বিস্ময়কর ভাবে বিরল রোগেও এখনো জীবিত বিজ্ঞানি স্টিফেন হকিংস যেমন কোন মতবাদে বলেন যে মহাবিশ্বের স্রস্টা রয়েছে আবার কিছু বছর পরেই তিনি বললেন- নেই। কে জানে হয়তো কয়েক বছর পর আবার বলবেন -না না আসলে মহাবিশ্বের স্রস্টা আছে।দ্বিধা।
যারা গবেষণা করেন তারা জানেন যে কত জিনিস ই এখনো পর্যন্ত অজানা রয়েছে। কত মতবাদে এখনো রয়েছে দ্বিধা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এখনো অনেক রোগের সঠিক কারন যেমন জানা যাইনি তেমনি অনেক ওষুধ রয়েছে যেগুলো কেনো কাজ করে তাও এখনো অজানা। বিজ্ঞান কারন না জানলেও অসুখ এবং ওষুধ দুএরই অস্তিত্ব বিদ্যমান।
আবার অনেক গবেষনাই সম্পূর্ন বিপরীতধর্মী মতবাদ সমর্থন করে।যেমন মদ খাওয়া ভালো কিনা। কোন কোন গবেষণা বলবে পরিমিত মদ খেলে আপনি সুখি হবেন অথবা কোন কিছু বোঝা বা শেখার ক্ষেত্রে আপনি ভালো করবেন। তাই মদ খাওয়া ভালো। আবার কোন গবেষণা হাজার রোগের ফিরিস্তি ধরিয়ে দিবে
সুতরাং যারা জ্ঞান অর্জন করে সব কিছু বিশ্বাস করতে চায় তাদের কোন কোন ক্ষেত্রে দ্বিধান্বিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে আবার এমন বিষয়ে তারা বিশ্বাস করতে পারবেন না যেখানে জ্ঞানের পরিধী এখনো বিস্তার লাভ করেনি।
(অসমাপ্ত)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




