somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বাস ও জ্ঞান

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের অনেক জ্ঞানই পুস্তক নির্ভর।হতে পারে জার্নাল বা বই এবং ছাপা অথবা হাল আমলের ইন্টারনেটে প্রকাশিত।আমরা এই উৎস থেকে পড়ি এবং জ্ঞান আহরন করি।আমরা যা পড়ি সবকিছু আমাদের পরীক্ষা করে দেখার সামর্থ নেই। কিন্তু আমাদের সাধ্য আমাদের বাধ্য করেছে একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে বিশ্বাস করার।বহু বৈজ্ঞানিক গবেষণা রয়েছে যা পরস্পর বিরোধী। এমনকি এমন অনেক গবেষক রয়েছেন যারা একটি মতবাদকে সত্য প্রমাণ করে আবার তাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছেন।একটি মতবাদকে এক সময় বিশ্বাস করেছেন আবার কিছু বছর পর অন্য মতবাদ।ধরে নেই ৬০,০০০ বইএ একটি মতবাদ প্রকাশিত হয়েছে বা একটি মতবাদের পক্ষে লেখা হয়েছে।তাহলে পরিসংখানের মাধ্যমে সে মতবাদকে প্রমানের ভাল সম্ভাবনা আছে। কিন্ত এই বিজ্ঞানের যুগে আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না কোন নির্দিস্ট মতবাদকে প্রমানের জন্য নির্দিস্ট সংখ্যার বই প্রকাশ করাও আজকাল অসাধ্য কিছু নয়।

আমরা পড়ি এবং বিশ্বাস করি এই চক্রটা কারো কারো জন্য এরকম যে কেউ আগে বিশ্বাস করে তারপর পড়ে আবার কেউ আগে পড়ে তারপর বিশ্বাস করতে চায়।তাহলে আমরা দেখছি যে, বিশ্বাস ও জ্ঞানের মাঝে একটা চক্র বিদ্যমান।আমরা যে যে পর্যায়ের জ্ঞানীই হইনা কেনো, কোন একটা পর্যায়ে আমরা ঠিকই বিশ্বাস করতে শুরু করি(কারন সবকিছু আমাদের পরীক্ষা করে দেখার সামর্থ নেই)।

জ্ঞান সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল।পনেরশ শতাব্দির মানুষের জ্ঞান আর বর্তমান সময়ের মানুষের জ্ঞানে অনেক অনেক পার্থক্য।মানুষের জ্ঞানের চর্চা থেমে নেই।তারপরও জ্ঞানের সীমা রয়েছে।ছয়শ কোটি আলোকবর্ষ দূরে কি আছে, অথবা বারো হাজার কোটি অথবা বারো লাখ কোটি আলোকবর্ষ দূরে কি আছে তার বিস্তারিত ব্যখ্যা পেতে হয়তো আরো অপেক্ষা করতে হবে।শুধু ইমেজ প্রসেসিং ছাড়া হয়তো অন্য কোন উপায় বের হবে।তবে এই মুহুর্তে এই বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান নেই।অতো দূরে যদি কোন প্রাণের অস্তিত্ব থাকে তাহলে জ্ঞানের মাধ্যমে তা প্রমানিত না হলেও তার অস্তিত্ব আছে।

জ্ঞানে দ্বিধা খুবই সাধারণ ঘটনা।বিস্ময়কর ভাবে বিরল রোগেও এখনো জীবিত বিজ্ঞানি স্টিফেন হকিংস যেমন কোন মতবাদে বলেন যে মহাবিশ্বের স্রস্টা রয়েছে আবার কিছু বছর পরেই তিনি বললেন- নেই। কে জানে হয়তো কয়েক বছর পর আবার বলবেন -না না আসলে মহাবিশ্বের স্রস্টা আছে।দ্বিধা।

যারা গবেষণা করেন তারা জানেন যে কত জিনিস ই এখনো পর্যন্ত অজানা রয়েছে। কত মতবাদে এখনো রয়েছে দ্বিধা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এখনো অনেক রোগের সঠিক কারন যেমন জানা যাইনি তেমনি অনেক ওষুধ রয়েছে যেগুলো কেনো কাজ করে তাও এখনো অজানা। বিজ্ঞান কারন না জানলেও অসুখ এবং ওষুধ দুএরই অস্তিত্ব বিদ্যমান।

আবার অনেক গবেষনাই সম্পূর্ন বিপরীতধর্মী মতবাদ সমর্থন করে।যেমন মদ খাওয়া ভালো কিনা। কোন কোন গবেষণা বলবে পরিমিত মদ খেলে আপনি সুখি হবেন অথবা কোন কিছু বোঝা বা শেখার ক্ষেত্রে আপনি ভালো করবেন। তাই মদ খাওয়া ভালো। আবার কোন গবেষণা হাজার রোগের ফিরিস্তি ধরিয়ে দিবে

সুতরাং যারা জ্ঞান অর্জন করে সব কিছু বিশ্বাস করতে চায় তাদের কোন কোন ক্ষেত্রে দ্বিধান্বিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে আবার এমন বিষয়ে তারা বিশ্বাস করতে পারবেন না যেখানে জ্ঞানের পরিধী এখনো বিস্তার লাভ করেনি।
(অসমাপ্ত)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৯
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×