somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাস্তববাদী বনাম স্বপ্নবিলাসী ..ফলাফল!!!! ও একটি আফসোসের গল্প

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাকে সবসময় শুনতে হয়”আমি এই জগতের বাসিন্দ নই”,আমার দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তববর্জিত যা বর্তমানে সম্পূর্ণ অচল। তাই অচল মুদ্রাকে কিভাবে সচলে পরিনত করা যায়,সেই লক্ষ্যে নেমে পড়লাম তথাকথিত রিয়েল ওয়ার্ল্ড এর কাহিনীটা কি সেটা খুজে বের করতে।এই বয়সে নতুন জ্ঞান অর্জন করে জীবনে সফলতার গোপন ফর্মূলাটা হাতে পেতে,যাতে মৃত্যুর সময় এই আফসোস নিয়ে মরতে না হয় যে,”খোকা রে তুই বোকা” ই রয়ে গেলি। মানুষের মন এমনই অদ্ভুত যে তার মধ্যে কিছু বিপরতধর্মী লজিক ও বিশ্বাস একই সাথে অবস্থান করে।আর এই কারনেই যতই আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের গবেষনায় সফলতা আসুক মানুষের মত আচরন করা রোবট কোনকালেই সম্ভব হবে না।কারন মানবমন ও তার ভাবনা চরম আনপ্রেডিক্টেবল,কে কখন কি করে বসবে সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ জানেনা।নাস্তিক এবং আস্তিকরা পর্যন্ত এই একটা জায়গা সম্পূর্ণ একমত আর তাই হয়তো আমরা এখনো দেখতে পাই,“কোন সা¦র্থ ছাড়াই একজন অতিসাধারন মানুষ নিজের মৃত্যু নিশ্চিত যেনেও অপরিচিত কোন একজনের শিশুকে উদ্ধার করার জন্য কোন ধরনের পূর্ব দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা ছাড়াই অবলিলিয়ার গভীর সরু একটা পাইপের মতো মৃত্যু ফাঁদে স্বেচ্ছায় নামার জন্য তৈরি হয়ে যায়,অন্যদেও বাধা পেলে,তাকে কাজ টা করতে দিতে আকুতি মিনতি জানায়।”কঠিনবাস্তবতার সাথে সংগ্রাতিে করে বেচে থাকা একজন লোক কি ভাবে এরকম ভয়ন্কর স্বপ্নের মতো অবাস্তব সিদ্ধান্ত নেয়? বাস্তবতা আর কল্পনা বা স্বপ্নের জগত তো সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী।তবে কি কঠিন বাস্তবদার খোলসের ভিতরেও মাঝে মধ্যে কল্পনারা অনুপ্রবেশ করে?নাকি নৈরাশ্যবাদীরা স্বপ্নভাঙার ভয়ে স্বপ্ন দখেতে ভয় পায় বলে,বাস্তবতা বড় কঠিন..স্বপ্ন দখা ফালতু সময় ন্ষ্ট বলে চিৎকার করে নিজের দূর্বল চিত্তকে স্বান্তনা দেয়? তার কি তার পরিবারের বা সন্তানের কথা মাথায় আসেনা?মৃত্য বীরের সন্মান ছাড়া তার কপালে আর কিছুই জুটবেনা,তার তো আরও ওখান থেকে কেটে পড়ার কথা,বাস্তবতে তাই হওয়ার কথা তাই না? যাই হোক এটা আরেকটা প্রসঙ্গ,এই বিশ্লেসনে গেলে রাত ভোর হয়ে যাবে,মূল যে গল্পটা,সেটা আর পাঠকের যানা হবে না।
তাই মূল গল্পে ফিরে আসি। আসলে এটাকে গল্পের সজ্ঞায় ফেলা যায় কিনা আমি জানিনা কারন এটা জীবন থেকে নেওয়া(সংগৃহীত) ঘটনা,তাই হয়তো এটাকে "সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত" এমন কোন একটা সংজ্ঞা দেওয়া টাই সঠিক হবে,গল্পটি সত্যিকার অর্থে কয়েকজন মানুষের জীবন কে ঘিরে আবর্তীত,যারা ভিন্ন ভিন্ন এলাকার,ভিন্ন ভিন্ন মূল্যবোধে বেড়ে উঠা এবং একটা নির্দিষ্ট সময়ের আগ পর্যন্ত কেউ কারো সাথে পূর্বপরিচিত বা কোন ভাবে সম্পৃক্ত ছিল না। এমনকি এদের দুই জন ছিল শতমাইল দুরে ভিন্ন বিভাগে বেরে উঠা,কোন ভাবেই তাদের কখনো দেখা হওয়ার সম্ভাবনাও ছিলনা।আর নির্দিষ্ট সময়টা থেকেই গল্পের শুরু,বিধাতার নাটন্যমঞ্চে অদ্ভুত ভাবে এরা একটি প্লটের মূল চরিত্রে পারিনত হলো।এটা এমন একটি চতুর্মাত্রিক গল্প যে কোন প্রান্ত থেকে শুরু করা উচিত তা নিয়ে আমি একটু বিভ্রান্ত । যাই হোক যে কোন একটা প্রান্ত থেকে শুরু করা যাক,অটোমেটিক এটা আবার এই নির্দিষ্ট প্রান্তে এসেই শেষ হবে এবং জীবনধর্মী এই গল্পের মূল বক্তব্য আশা করি পাঠক ধরে ফেলতে পারবেন।
প্রথমেই শুরু করা যাক ছবিতে দৃশ্যমান একটি সুখী দম্পতিকে নিয়ে।সৌম্য সুদর্শন ,লম্বা ঘন শশ্রুমন্ডিত নুরানী চেহারার তরুনটির চোখে মুখে একধরনের বেহেশতী আভা,প্রকৃত মুমিনরা যেমন হয়,তার চেহারার আভিজাত্য ও তার শিক্ষা ও সামাজিক অবস্থান অনায়াসে বলে দেয়। পাশে বসা তার প্রানপ্রিয়া স্ত্রী,রুপবতী,শান্ত,নির্মল চেহারাই বলে দেয় ইনি ও একজন অভিজাত ধর্মপ্রান ও নম্র স্বভাবের মহিলা,কথাই বলে হয়তো খুব নরম মোলায়েম গলায় ক্ষিন স্বরে। আর দুইজনের চেহারা দেখে মনে হচ্ছেনা এরা অসুখী,হওয়ার ও কথা না,যারা আল্লাহ্ র নুন্যতম কিছু প্রধান বিধান পালন করে তাদের জীবন সাদামাটে সুখেরই হয় । টুকটাক কিছু তো দাম্পত্য কলহ ভালবাসারই অংশ,কাজেই সেটা ধর্তব্যে পরেনা।
ছবিটা তোলা হয়েছে, পৃথিবীর স্বর্গ নামে খ্যাত ডাল লেকে নৌকায় বসে।এটাই স্বাভাবিক এরকম ধর্মপ্রান ও ভালো পারিবারিক মূল্যবোধে বেড়ে উঠা,নমনীয় আল্লাহভীরু লোকরা তো পৃথিবী এবং মৃত্যুর পর ও স্বর্গেই অবস্থান করবে বলে আল্লাহ্ বান্দাদের কথা দিয়েছেন।যাই হউক ছবিটা দেখে আপনার কি একটু ইর্ষা হচ্ছেনা,”ঈস কি সুন্দর..কাশ্মির এর ডাল লেকে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে,ছবি তুলে বন্ধুদের পাঠাচ্ছে, আর আমার কপাল শালার কিছুই দেখা হলোনা? ইস ঐ ছেলেটার বদলে তো ছবিতে আমিও থাকতে পারতাম,কিংবা আপনি যদি মেয়ে হন,ইস আমিও তো ঐ ছেলেটার পাশে থাকতে পারতাম??”কি ইর্ষা হচ্ছেনা?আমার কিন্তু হচ্ছে,কিন্তু একটু ভিন্নভাবে,মানে আমি ঠিক ঐ ছেলেটা জায়গায় ঐ মেয়েটার পাশে থাকার কল্পনা করছি না, আমারও খুব সখ ছিল,কাশ্মির যাবার,যখন সামর্থ এবং সময় ছিল তখন যাওয়ার অনুমতি ছিলনা,আর যখন হয়তো যাওয়া যেতো তখন সময় বা অর্থ কোন একটার অভাব ছিল।কিন্তু তাতে কিন্তু স্বপ্নের মৃত্যু হয়নি,কারন মানুষ স্বপ্ন নিয়েই বেচে থাকে, আর মৃত্যু আশার আগ পর্যন্ত স্বপ্নপূরনের আশা কিন্তু থাকেই,ঐ যে যদি লাইগা যায়। কারন দিন-রাত এর মতো সবার জীবনেই ভালো এবং মন্দ সময় আসে। কোনটাই চিরদিন একটানা থাকে না এটাই প্রকৃতির নিয়ম,“সুখের পরে দুঃখ আসে,দুখের পরে সুখ’’। যারা মুসলিম তারা হয়তো জানেন,যে আল্লাহ বলেছেন আমি বিভিন্ন ভাবে আমার বান্দাদেও পরীক্ষা নিয়ে থাকি। সেই পরীক্ষায় পাশ করার একটাই সমাধান ধৈয্য।ভেঙ্গে গেলেন তো হেরে গেলেন। অনেকের আবার নানাবিধ প্রশ্ন থাকে,কেন আমার এতো পরীক্ষা নিবে?আমার থেকে অনেক অনেক খারাপ যে তার তো কোন পরীক্ষা নিচ্ছেনা,সেতো শুধু জয় আর জয় পেয়েই যাচ্ছে?(এই প্রশ্নের ও উত্তর আছে সেটাও আলাদা গল্প) আবার অন্য দিকে চলে যাচ্ছি।আমার স্বপ্নটাই তো পুরা বলা হলো না,ছবিটা দেখে আমার মনেও সামান্য ইর্ষা জেগেছে(হিংসা না),মনে হয়েছে ইশ আমার যদি এরকম একটা ছবি থাকতো,আমার পাশে আমার সবচেয়ে প্রিয় ভালবাসার মানুষটি,আমি এক হাতে তাকে হালকা করে জড়িয়ে ধরে রাখতাম,আমাদের ছবিটা এতো ভালো হয়তো দেখাতো না কারন,আমার চেহারা সৌম্যদর্শন নয়,আমার ওরকম লম্বা দাড়ি রাখা হয়নি,আর আমি আল্লাহভিরু হলেও উনার মতো এখনো সম্পুর্ণ বিশুদ্ধ ভাবে চলা শিখিনি,কারন আমার ভিতর এখনও একধরনের ছেলেমানুষী চঞ্চলতা ও দুষ্টুমী কাজ করে,তাছাড়া আমারর স্ত্রী আমার এই চঞ্চল উচ্ছল আর পাগলা কর্মকান্ডে অভিভূত আমার প্রেমে পড়েছিল হয়ে অসংখ্য পানিপ্রার্থী প্রিন্স দের পায়ে ঠেলে দিয় আমার মত এই অধম"পপার" কে বেছে নিয়েছিল। তার তখনকার ভাষ্য মতে আমার মতো অদ্ভুত জীবনযাপনকারী কাউকে সে তখন পর্যন্ত দেখেনি। তার ভাষায় আমার জীবন বা চরিত্র যেন হুমায়ুন আহমেদের বই থেকে উঠে আসা কোন চরিত্র।পাঠক আবার এই কথায় প্রভাবিত হবেন না,এগুলো সবই শ্রদ্ধেয় প্রয়াত কথার যাদুকর হুমায়ুন স্যারের সু-কৃতির ফল। উনি প্রায় দুই প্রজন্মের তরুন তরুনীর ব্রেন প্রবল আবেগ আর স্বপ্ন দিয়ে সফলতার সাথে ওয়াস করে দিয়ে গেছে,আমার স্ত্রী ঐরকম ই একজন ভিকটিম। আমি অবশ্য ধন্য না হলে এমন স্ত্রী আমার কপালে জুটতো না, কারন আমি প্রকৃতপক্ষে ওরকম লায়েক ই নই। সহজ বাংলা য়" আই এম নট এ ম্যারিজ ম্যাটেরিয়াল।তাই কখনো নিজেকে বদলানোর কথা মাথায় আসেনি। লম্বা দাড়িও তাই রাখা হয়নি, এছাড়া ।আমি হয়তো এখনো ঐ সুদর্শন তরুনের মতো হেদায়াতপ্রাপ্ত হওয়ার যোগ্যতাও লাভ করিনি।উনি কি ছোটবেলা থেকেই এমন ছিলেন নাকি হঠাৎ কোন উপলব্ধি তাকে আমূলে পাল্টে দিয়েছে,এর পিছনে কি কোন নারীর হাত রয়েছে যে তাকে এতো চমৎকার এক মানুষে পরবির্তন করেছে,সে কি তার পাশে বসা তার এই সুশীলা স্ত্রী,কারন একজন নারীই একজন মানুষকে অমানুষ আর অমানুষে বদলে দিতে পারে(যদি তার সে যোগ্যতা থাকে)?এর উত্তর পরে খুজব। আসলে মানুষ এর ভিতর কখন যে বিশাল বা অভাবনীয় পরিবর্তন হয়ে যায়,তা কেউ জানেনা।জীবনের কোন একটা কঠিন সত্য বা বাস্তবদার ধাক্কা হয়তো তার চোখ খুলে দেয় আর সে আল্লাহ্ভিরু এবং মুমিন হয়ে উঠে। গল্পের এই ছেলেটার সাথে আমার অনেক বছর আগে অতি অদ্ভুত দৈব যোগে পরিচয় হয়ে ছিল,এবং অতি সামান্য কিছু সময় এর আলাপচারিতা বাস ঐ পর্যন্তই। তাহলে এতো বছর পর কেন আমি তাকে নিয়ে লিখছি? এটা গল্পের দ্বিতীয় অংশ। তার আগে ছোট্র দুইটা পয়েন্ট মিস করে গেছি। ঐ যে ছবিটা দেখে আমার ঈর্ষান্মিত হওয়ার কথা বললাম,ঠিক তেমনি আরো একজন রয়েছে,যে এই ছবিটা দেখে শুধুমাত্র ইর্ষান্মিত নয়,প্রচন্ড মনঃ কষ্ট এবং একধরনে কৃত ভূলের জন্য আফসোস করছে তার অন্তর টাকে দগ্ধ করছে,কপাল চাপড়াচ্ছে,তার সাথে তাল মিলেয়ে বিলাপ করে চলছে তথাকথিত আল্লাহ্য় বিশ্বাসী তার কিছু শুভাকাঙ্খী,সেই দৃশ্য খুবই মর্মান্তিক ও কষ্টদায়ক,এরকম বুকফাটা আফসোস দেখলে আপনারও কষ্টে বুক ফেটে যাবেে,যেমন আমার যাচ্ছে। তারও আমার মত সূক্ষ একধরনে ইর্ষা হচ্ছে ,ইস কাশ্মির কি সুন্দর জায়গা,কিন্তু দেখা হলো না,আর তার স্বপ্ন ও জেন্ডার এর জায়গাটায় আমার সাথে তার বিশাল পার্থক্য,তার মধ্যে প্রচন্ড আফসোস আর ঈর্ষা ক্রিয়া করছে,আর তার স্বপ্নে ঐ ছবিতে মেয়েটার জায়গায় নিজেকে কল্পনা করা তো ঠিক আছে,কিন্তু আমার মতো সে তার পাশে নিজের স্বামীকে না বরং এই তরুনকেই কামনা করছে কারন তার বিশ্বাস সে যদি ইচ্ছা করতো বা একটা ভূল না করতো তাহলে নাকি,‘‘ঐ পুরুষটার পাশে আজ তার থাকার কথা ছিল?” আল্লাহ্ সর্বজ্ঞাত তিনিই জানেন কি হতে পারত আর কি হইনি. সেটা কি মঙ্গলকর হয়েছে না অমঙ্গল,কারনে বিজ্ঞানে বা ধর্মে এইধরেনের শব্দ সম্পূর্নই অবাস্তব,যেমন‍‍ " আমি যদি তখন ঐটা না করতাম তাইলে এখন এইটা আর হইতো না,কিংবা আমি যদি তখন ঐটা করতাম তাইলে আমি এখন এইখানে থাকতাম” ।যদিও আমার জানামতে আল্লাহ্র রাসুল (সঃ) স্পষ্ট করে বলেছেন,‘‘ তোমরা সবসময় এধরনের কথা বলা থেকে বিরত থাকবে,যে আমি যদি ঐটা করতাম তাইলে এইটা পাইতাম,আর এটা ভেবে তোমরা তোমাদের কপাল চাপড়িয়ে ভাগ্যকে অভিশম্পাত দিও না,কারন যা ঘটে বা ঘটবে তার উপর তোমাদের কোন হাত নেই,এটা পূর্বনির্ধারীত,কোন ভাবেই তুমি সেটাকে পরিবর্তন করতে পারতেনা ।কারন এটাই তোমার জন্য নির্ধারীত ছিল,সেটা হোক দুঃখের বা আনন্দের, আর মনে রাখবে আল্লাহ্রর ইশারা ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়ে না।বরঞ্চ তোমরা যদি মুমিন হও তবে ধৈর্য্য ধারন করো এবং তার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করো,কষ্ট সহ্য করার জন্য শক্তি প্রার্র্থনা করো,
নিশ্চয় আল্লাহ্ যা করেন তা তোমার মঙ্গলের জন্যই করেন,যদিও সেটা অনুধাবন করার জ্ঞান তোমার মধ্যে নেই,বরঞ্ছ এটা ভাবো যা ঘটেছে তার থেকেও খারাপ কিছু ঘটতে পারত,তাই নিজের ভাগ্যকে অভিসম্পাত না দিয়ে আল্লাহ্রর প্রতি আরো বেশী করে শুকরিয়া আদায় করো, ,এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ধৈয্যশীলদের পছন্দ করেন আর তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান।”

তো কেন কারো মনে এমন ঈর্ষা এবং প্রায় সুনিশ্চিত ধারনার জন্ম হলো যে,সে প্রচন্ড একটা ভূল করেছে যার জন্য সে একটা দারিদ্রতা আর অসুখী জীবন যাপন করছে,ঐ ভূল করার আফসোস তাকে এতটাই কুরে কুরে খাচ্ছে,যে তার অন্তর্নিহীত আফসোস সে এখন তার ঠোটে নিয়ে এসেছে(অর্থাৎ এখন সে নিজে নিজেই উচ্চস্বরে বলছে,হায় আমি কি ভূল ই না করেছি,এর থেকে তো তাকেই বিয়ে করা আমার জন্য উত্তম ছিল),আর আমি যদি শুধু হ্যা বলতাম তাইলেই সে আমার অধীন হয়ে যেত,এই ছবিতে তার পাশে আমি থাকতাম। তার সমস্ত বিত্ত বৈভব এবং এই সৌম্যদাড়ির একছত্র মালিক হতাম আমি।(যদিও আমার সন্দেহ আছে গল্পের এই চরিত্রটি আদৌ দাড়ি পছন্দ করে কিনা,কিংবা সে পাশে থাকলে ঐ লোকের এমন লম্বা দাড়ি থাকত কিনা,এমনকি সে পাশে থাকলে এই লোক আদৌ জীবনে ডাল লেকে যেতে পারত! নাকি ডাল(ডাইল) খেয়ে অর্ধউন্মাদের ন্যায় ঘুড়ে বেড়াত এটা কে জানে??
কার কাছে এর উত্তর আছে যে কি করলে কি হতো না,কিংবা কি না করলে কি হতে পারত?)।

যে কোন মানুষের এই ধরনের বক্তব্য সম্পর্কে আমি একটু দ্বিধান্মিত ও দ্বিমতপোষন করি(কারন আমি ভাড়া করা হুজুর দের মুখ থেকে ধর্ম জ্ঞান নেইনি,আমি আমার সাধ্যমত যতটুকু পেরেছি নিজে সব ঘেটে পড়ে আমার বিচার বিশ্লেষন অনুযায়ী যেটা বুঝতে পেরেছি তাতেই বিশ্বাস এনেছি(যেটা করতে আল্লাহ্ই সকল বান্দাকে নির্দেশ দিয়েছেন),আসলেই কি মানুষ নিজের ইচ্ছামতো সবকিছু চাইলেই পাইতে পারে?কারন ধর্মীয় বিশ্বাস মতে(সকল ধর্মে ভাগ্য নিয়তি সম্পর্কে একই কথা বলা আছে,হিন্দু ধর্মে ও বলা আছে লক্ষীর কৃপা ছাড়া অন্ন ও জু্টেনা) এই জায়গাটা প্রচন্ড জটিল আর কনফিউজিং,এটা নিয়ে অসংখ্য প্রশ্ন, যুক্তি তর্ক ও বিতর্ক রয়েছে। এমনকি বিশাল বিশাল আলেমরাও এটা নিয়ে অনেক ধরনের তর্ক বিতর্ক এবং নানা রকম ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এরপরও এই জায়গাটার সঠিক কোন সদুত্তর নেই, মনঃপুত কোন উত্তর নেই। বরং আরো প্রশ্নো আর তর্কের জন্ম দেয়।তাই প্রকৃত জ্ঞানীআলেম গন এটা নিয়ে কোন রকম তর্কে অবতীর্ন হতে মানা করেন কারন এতে হিতে বিপরীত হতে পারে,যাতে মানুষের ইমান এবং আমলই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এর রেফারেন্স হিসাবে, প্রকৃত বিদ্যান ও আলেমরা একটা হাদীস এর কোটেশন দেন। হাদিসটি আবার কোরআন এর ই একটি আয়াত নির্ভর।
যেখানে বলা হয়েছে,‘‘কিছু কিছু ব্যাপার বা শরিয়ার কোন অংশ,আল্লাহ্রর অস্তিত্ব,উনি কি আকার না নিরাকার,উনার অবস্থান এইধরনের ব্যাপারগুলো নিয়ে কোন প্রকার চিন্তা বা অতিকৌতুহল পোশন না করতে,কারন মানুষের ক্ষুদ্র জ্ঞান তার বিশালত্ব এবং তার বলা অনেক কথার প্রকৃম মর্ম কোনদিনই অনুধাবন করতে পারবেনা। যেমনটি একটি ড্রাম এর ভিতর অনেক গ্লাস রাখার সম্ভব,কিন্তু কোনো ভাবেই একট গ্লাসের ভিতর একটা ড্রামকে ডোকানো অবাস্তব এবং সম্পূর্ণ অসম্ভব একটা ব্যাপার।” আল্লাহ্পাক্ এরশাদ করেছেন,‘‘তোমরা আমার সম্পর্কে বেশী কৌতুহলী বা চিন্তা করতে যেওনা,কারন আমি তোমাদের ঞ্জানের বাইরে”। উল্টো অতিরিক্ত কৌতুহল থেকে শয়তানের প্ররোচনায় মানুষের মনে হয়তো আল্লাহ্রর অস্তিত্ব বা তার কোরআনের কোন বানীর প্রতি যদি সামান্য সংশয় তৈরী হয়,তাহলে তার ঈমান্ই নষ্ট হয়ে যাবে এবং তার সারা জীবনের সকল এবাদত আর পূর্ণ মুল্যহীন হয়ে পড়বে”।
আবার গল্পের মূল দিক থেকে ডাল পালা গজিয়ে অন্য দিকে চলে যাচ্ছিল।আসলে আমি তো পেশাদার লেখক নই এখনও শিশু,তাই এই প্রবল্মেম টা হয়। প্রিয় পাঠক,নিরাশ হবেননা,এটা কোনো ধর্মীয় আলোচনা সভা নয়,বা আমিও আপনাদের ধর্মীয় উপদেশ বিতরন করতে বসিনি।

বরঞ্চ এটা একটা রোমান্টিক চতুর্ভুজ প্রেমের গল্প যা আপনাকে আবগেতারিত করবে, রয়েছে রোমাঞ্চকর আবেগ,ভালোবাসা,প্রতারনা,প্রবঞ্চনা ও অভিনব ফাঁদে পড়ার অবিশ্বাস্য কাহিনী, ,আছে পরিবারের ভিতরেই বাস করা অতি আপন নামের মিরজাফর ও ঘষেটিবেগম চরিত্রের কিছু মানুষ,যারা শুধু তাদের নিজেদের বৈষয়কি লোাভ,অপ্রাপ্তির যন্ত্রনা ও আক্ষেপ এর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে,সরল বিশ্বাস আর অন্ধ ভালবাসার সুযোগ নিয়ে অবলিলায় অত্যন্ত কৌশলে আপনের পিঠে ছোড়া ডুকিয়ে দেয়,নিজের প্রাসাদে নিজেই আগুন লাগিয়ে উল্লসিত হয়, তাদের ব্যক্তিগত অপ্রাপ্তি,বিকৃত মানসিক কষ্টকে নিবারন করার জন্য। বাস্তবাতার নোংড়া দিক আপনাকে স্তব্দ করে দিবে,কিন্তু নিজের জীবনে হয়তো সাবধান হতে পারবেন। সর্বোপরি মূল উপপাদ্য যা কিনা, কিছু মানুষের অবিশ্বাস্য পরিবর্তনের সত্য ঘটনা,যা অবাস্তবতাকেও হার মানায়।
যেমনটি অবাস্তব লাগে দেখতে কোন যাদুকরের হাতে ‘‘ মুহুর্তে মাটি হয়ে যায় সোনা...আর সোনা পরিনত হয় মাটিতে”।
গল্পের মূল ইন্টারেিষ্টং পার্ট বা টুইষ্ট বলতে পারেন এর দ্বিতীয় অংশ,চতুভূর্জের বাকি দুই বাহু।যারা এখনো পর্দার অন্তরালে। বুঝতেই পারছেন দুই বাহু মানে আরেক জোড়া দম্পতি। যারা ছিল পৃথবিীর সবচেয়ে সুখী দম্পতি,ইংরেজী গল্পের "জীম আর ডেলা"র মতো একজন আরেকজনের একটু আনন্দিত মুখ দেখার জন্য প্রত্যেকে প্রত্যেকের প্রিয় জিনিষটা অবলিলায় উতসর্গ করে দিতে কুন্ঠিত হতোনা,টাকা পয়সা জাগতিক চাকচিক্য এর থেকে এর একে অপরের ছায়া হয়ে থাকতে পছন্দ করত,সিনেমার ভাষায় "দুই মন এক এক দেহ" এবং ইচছা করলেই মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি মুহুর্ত অনাবীল আনন্দে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দম্পতি হয়েই সুখী সুখী চেহারা নিয়ে মরেত পারতো,কিন্তু জীবন তো রুপকথার গল্প না বা বাংলা সিনেমাও না,যে সবসময় হ্যাপি এন্ডিং হবে Ending subtitle ‌এ ফুটে উঠবে "And they leaved happily ever after".এদের সুখের মূল মন্ত্র ছিল এরা একজনও লোভী ছিলনা,তাদের অনেক স্বপ্ন ছিল,ছোট ছোট হাস্যকর চাহিদা যেগুলোর জন্য প্রাচুর্য লাগেনা, আর ও একটা কথা তারা কিন্তু হতদরিদ্র না,বরঞ্চ স্থাবর সম্পদের হিসাবে সাধারন মানুষের হিসাবে তার ধনীর তালিকায় পেড়(ছিল ও ,যতো প্রবলেম শুরু হলো এই ডাল লেক এর মনোমুগ্ধকর ছবি থেকে বা বলতে পরে,অবশ্য কেউ যদি বিল গেটসকে মাপদন্ড হিসাবে ধরে তাইলে তার স্বামী বেচারাকে ভিক্ষুক এর সমকক্ষই ধরতে হয় বটে। তারা দুইজনই টাকা পয়সা,ভাল খাবার এর থেকে একে অপরের প্রতিমুহুর্ত সান্নিধ্যের জন্য লালায়িত থাকত। তারা সারা রাত জেগে একসাথে টিভি দেখত, আর সকাল ৬ টায় নাস্তা করে সারাদিন একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতো। কিন্তু জীবন তা সিনেমা না,বসে খেলে রাজার ধন ফুরাতেও সময় লাগেনা। আর ইবলিশ ই কিভাবে এটা সহ্য করে বেকার বসে থাকেত পারে,"কারন হাদীসে আছে,স্বামী স্ত্রীর মধ্যের অন্তরগতার দৃশ্য দেখলে আল্লাহ্‌ এতোই আনন্দিত হন,যে সমস্ত ফেরস্তাদের ডেকে বলে,দেখো আমার সৃষ্ট মানব মানবীর মধ্যে কত গভীর প্রেম আর ভালেবাসা,উনি অভিভূত হন,নিজের সৃষ্টির ভালোবাসা তাকে গভীর আনন্দ দেয়,তিনি তার ফেররশাতাদের আদেশ করেন,তার আদেশে লক্ষ লক্ষ রহমতের ফেেরেশতা পৃথিবীতে নেমে আসা,তারাও অভিভুত হয় সামান্য মাটির তৈরি মানুষের এই পরম ভালোবাসা দেখে,আল্ল্লাহ্র আদেশ অনুযায়ী সেসকল ফেরেশতারা ঐ স্বামী স্ত্রীর উপর রহমতের বিশেষ চাদর ধরে দাড়িয়ে থাকে,যাতে কোন জ্বীন বা ফেরেশতারাও তাদের অন্তরঙ্গ মুহুর্ত অবেলাকন করতে না পারে। আর যতক্ষন তারা একে অপরের ভালবাসায় নিমগ্ন থাকে,ততক্ষন আল্লাহ্‌র তরফ থেকে তাদের উপর রহমত ও বরকত বর্ষিত হতে থাকে,এবং আল্লাহ্ ঐ দুইটি হৃদেয়র ভিতর আরো বেশী মহব্বত পয়দা করে দেন"(বি:দ্র: এই সেবা শুধু মাত্র আল্লাহ্‌ র একত্ববাদে বিশ্বাসী, তার রাসুল(সা:) উপর বিশ্বাস স্থাপন কারী এবং যারা আল্লাহ্‌র প্রতি পূণ আস্তা ধারন কারী ,এবং অনন্ত মানসিক ভাবে সে চেষ্টা করে সকল অনুশাসন পালন করতে,আর শয়তানের প্ররোচনায়া সে যদিও কোন কোন অনুশাসন পালনে ব্যর্থও হয়,এবং হুশ হওয়া মাত্র সে তার কৃতকর্মের জন্য অন্তরের গভীরে আন্তিরক অনুশোচনায় দগ্ধ হতে থাকে আর আল্লাহ্‌র কাছে একান্তে তার ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে,তাদের জন্য উপলব্দ।"
যাইহোক শয়তান আর সহ্য করতে না পেরে তার নিজ ভুমিকায় অবতীর্ণ হলো,তার স্বভাবসুলভ হঠকারীতার ও কাজের ধারায় সে আপন নামধারী কিছু মানুষের রুপে হাজির,শুরু হলো তার গুড় লাগােনার খেলা,
সহজ সরল মমতাময়ী নির্লোভ একটি মেয়েকে আস্তে আস্তে তার জালের মধ্যে জড়াতে নানা নাটকের অবতারনা করল,মফস্বলে বড় হওয়া একটা মেয়ে যে কিনা শুধু একটা সুখি সংসারের স্বপ্ন দেখত মিনিমাম তিনটা বাবু নিবে বলে বিয়ের আগে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা বদ্দ ছিল। তার মাথা আজব কায়দায় ওয়াস করে দেওয়া হলো,সেই গল্পে পরে আসছি। আশেপাশের মানুষের প্রাচুয্য,ভোগবিলাস দেখতে দেখতে আর নিজের না পাওয়া আর অধুরা স্বপ্নের লিষ্ট লম্বা হতে থাকে..তার সাথে কিছু মানুষরুপী শয়তান (কারন সে আল্লাহ্র কাছে প্রতিজ্ঞা করে এসেছে যে সে সবসময় প্রানপন চেষ্টা করবে মানব মানবীর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করতে যাদের জন্য সে নিজে জান্নাত থেকে বিতারিত হয়েছে) তো থাকেই যাদের কাজ হচ্ছে মানুষকে প্রলুব্ধ করা মানে,তাকে বিভিন্ন ভাবে গল্পের ছলে এটা স্মরন করিয়ে দেওয়া যে সবাই কত কিছু করছে পাচ্ছে,দিন দিন সম্পদের পাহাড় জমছে আর তুমি সংসার এর ঘানি টানতে টানতেই শেষ।অথচ তুমি চাইলেই এরকম সম্পদের পাহাড়ের উপর থাকতে,যদি আমার কথা শুনতে!!(যেমনটি ইবলিশ চেষ্টা করেছিল নবী আইয়ুব(আ:) এবং তার স্ত্রীর সম্পর্ক ন্ষ্ট করার ক্ষেত্রে,কিন্তু নবী আর তার স্ত্রী বলে কথা, তারাতো এযুগের নামধারী মুসলিম না ..কাজেই শয়তান ব্যর্থ হয়েছিল। আর ইয়াকুব নবী এবং তার স্ত্রীর ধৈর্য্য এবং টানা আট বছর জঘন্য দুর্ঘন্ধময় রোগে আক্রান্ত স্বামীকে ছেড়ে যাওয়া তো দুরের কথা,উল্টা প্রানপন সেবা করেছেন,সামান্যতম বিরক্তি প্রকাশ করেনি, এবং আল্লাহ্র তাদের উপর সন্তুষ্ঠ হয়ে,পরীক্ষা হিসাবে কেড়ে নেওয়া সম্পদ সন্তান ও যৌবন আরও বহুুগুন বৃদ্ধি করে উপহার দিয়েছিল॥খুব ইন্টারেষ্টিং এবং শিক্ষনীয় তার এই বিশাল গল্প আল কোরআনে লিপিবদ্দ আছে,আগ্রহ জাগলে সুরা সাদ্ এবং সুরা আম্বিয়া এই দুইটার বাংলা অনুবাদ পরে দেখতে পারেন,অথবা কোন একদিন তৌফিক হলে আমিও পুরা গল্পটা গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করব,কারন গল্প শুনতে এবং বলাতে উভয় ক্ষেত্রেই আমি খুব আনন্দ লাভ করি,আর তাই আমার লেখা আকারে দীর্ঘ হয়ে যায় )।বেচারী,সহজ সরল মমতায়পূর্ণ একটা রমনী যার কিনা বিড়ালের বাচ্চার কান্না শুনলেও চোখে পানি আসত,এরকম নরমমন আর অল্প বয়সে আর কাহাতক মানসিক চাপ সহ্য করা যায়,তার সাথে আবার ইবলিশের মতো শক্তিশালী(যার ধোকায় অনেক বড় বড় বিজ্ঞ ইমানদার লোকও পথভ্রষ্ট হয়ে যায়)প্রতিপক্ষের প্রতিনিধিরা তো রয়েছেই,যারা রাতদিন কানের কাছে একই রেকর্ড নানা সুরে নানা ডঙ্গে নানা ছুতায় বলে যাচ্ছে,‘‘তোমাকে তো আগেই মানা করেছিলাম,তুমি শুননি,এখন মজা টের পাও,এখন তো তোমার মাথায় ঢোকার কথা তুমি ভুল করেছো,তুমি ভুল করেছো,তুমি সুখী না কারন তোমার টাকা নেই..আর তোমাদের টাকা হতে হতে সবাই আরো ধনী হয়ে যাবে,তুমি বুড়া হয়ে যাবে,জীবনের কোন স্বাদ থাকবেনা।সবাই সব করে ফেলছে তোমরা কবে করবে,তুমিকবে পাবে,ওমুকের মতো খুচরা লোকও ঘরে এসি লাগিয়ে ফেলেছে,তোমাদের কবে হবে?তুমি ভুল মানুষ বেছে নিয়েছ,তাকে দিয়ে কিছই হবেনা...তোমার জীবনে কোন স্বপ্ন পূরন হবেনা...এভাবে কষ্ট করতে করতে তুমি বুড়ি হয়ে যাবা। যেই ছেলেটা তোমাকে বিয়ে করার জন্য পাগল ছিল কিন্তু তুমি করলেনা,সে তোেমার থেকেও হাজার গুনে কম,কম সুন্দরী একটা মেয়েকে বিয়ে করেছে,এখন সেই মেয়ে বাম্পার.গত মাসেও মালেয়েশীয়া গিয়েছিল ঘুরতে,ছুটি পেলেই বিদেশে বেড়াতে যায়, সামনে আবার যাবে সিংগাপুর..আর তুমি? তুমি যাবা রংপুর তাও কপালে জুটবে কি না সন্দেহ....কপালে ঠিকমত খাবারই জুটেনা..পাঠক এই জায়গায় যারা মুসলিম তার সমস্বরে পরুন নাউজুবিল্লাহ্ আর তার পর শয়তান এর হাত থেকে পানাহ্ চান পড়ুন,আউযুবিল্লা হিমিনাস শায়তোয়ানীর রাজিম..কারন রিযিক প্রদানের একমাত্র মালিক আল্লাহ্)..তো আপনিই বলুন এর ফল কি হতে পারে?আপনার নিজের মাথাও কি ঠিক থাকত?ব্যাস চালু হয়ে গেল বায়েস্কোপ‘‘সুলতানা বিবিয়ানা..সাহেব বিবির বৈঠক খানা)।বুক চাপড়ানো,কপাল চাপড়ানো,নিজের ভাগ্যকে শাপ শাপান্ত করা. আমি কি পাপ করেছিলাম তার শাস্তি এখন আমি পাচ্ছি,কেন যে আমি ঐ সুদর্শন ছেলেটাকে বিয়ে করলাম না, তার সামেনই তার অসুস্থ স্বামী পক্ষাঘাত গ্রস্থ হয়ে শুয়ে আছে,তাতে তার কোন প্রতিক্রিয়া নেই, তার আহাজারি স্পষ্ট শুনতে পারছে..মৃতপ্রায় একজন পুরুষ যখন মরতে যাচ্ছে,সেই মুহুর্তে তার কানে তার স্ত্রীর কান্নার শব্দ না বরং অন্য এক পুরুষকে না পাওয়ার আক্ষেপ,তা অন্য পুরুষকে কামনা করার কথা শুনে ঐ পুরুষিটর কেমন অনুভুতি হতে পারে পাঠকদের কারো কি ধারনা আছে??আমার ধারনা নেই,কিন্তু আমারর মনে হয় তার কাছে তখন মৃত্যু যন্ত্রনাও ঐ যন্ত্রনার তুলনায় স্বর্গের সুখের ন্যায় মধুর মনে হয় । অত:পর কি??? পাঠক কি ভূলে গেছেন,দুইজনে মিলে একটা দম্পতি হয়, আমি কিন্তু এখনও সেই চতুর্থ বাহুর কথা উচ্চারন ই করিনি,তার দশা ভাবুন...বেচারা..যতদোষ নন্দে ঘোষ। এইভাবে শুরু হলো একটা বাস্তব জীবনের গল্প..?শুরু মানে??হাজার পাতা শেষে বলছেন গল্পের এইটা ষ্টার্টিং?মিয়া আপনি একটা ফালতু,প্রতারক ধোকাবাজ লেখক,লেখক নামের ধাব্বা। সবর, পাঠকবৃন্দ,কিছ
গালি ষ্টকে রাখুন,গল্পের শেষের জন্য..আর সেই দুর্ভাগা মুখপোড়ার জন্য।
‘‘ওরে নুরু..সবে তো শুরু”
জীবনের গল্প বলে কথা..দুই লাইনেই এতগুলো জীবনকে ফুল এন্ড ফাইনাল করে দিতে চান?গল্পের টাইটেল ভূলে গেছেন?বাস্তববাদীদের প্যাচালেই তো ফুটেজ শেষ,অধম স্বপ্নবিলাসীর কি হবে?নাকি আপনিও স্বপবিলাসীদের ঘৃনা করেন?(ঝুটে..ঝুটে)..তাইলে তো আর কোন কথা নাই?আর যদি ঘৃনা না করেন তাইলে কিন্তু দুইটা কথা আছে”..দ্বিতীয় পর্বে স্বপ্নবিলাসীকে ফুল এন্ড ফাইনাল সান্টিং দেওয়া হবে...আর মাত্র দুইদিন..শুভমুক্তি ..আসিতেছে..আগ্রহ থাকলে পড়ে নিবেন..আর যদি নাইবা থাকে কি আর করা। ভার মে যাক স্বপ্নবিলাসীরা,তাতে বাস্তববাদীদের কি আসে যায়!!!!!!!!তবে একটা কথা বলতে পারি দ্বিতয় অংশটিই গল্পের সবচেয়ে "টাচি" আবেগপূর্ণ অংশ এবং জীবনের প্রকৃত রুপ বাস্তবতা,এবং জীবনের নিষ্ঠুর কিছু সত্যের প্রকৃত রুপ আপনার কাছে উন্মোচিত হবে। হয়তো অনেক শিক্ষনীয় বিষয় আপনাকে আলোরিত করবে,জীবন সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিই পালটে যেতে পারে,অনেক এক এর জীবন মোহনীয় ফাদে পড়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে। তাই আপনি যদি বাস্তবজীবনের অবাস্তব ও বৈচিত্রময় মানুষের অদ্ভুত কাহিনী শুনতে ভালবাসেন,তবে এর শেষ পর্বটুকু পরবেন। এতটুকু বলতে পারি আপনার ব্যয়কৃত সময় এর থেকে অনেক বেশী মূল্যবান সম্পদ আপনি খুজে পাবেন। কারন এটা কোন রসালো কাল্পনিক গল্প নয়, এটা রস-কসহীন জীবনের সত্য গল্প।
(আগামী পর্বে সমাপ্ত)
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×