মনে আছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সেই সেক্টর কমান্ডার ফোরাম সম্মেলনের কথা। আজকের নব্য চেতনাবাজরা তখন কয়জন উপস্থিত ছিলেন সেখানে। সম্মেলন চলাকালিন সময়ে যখন হাত তুলে শপথ করেছিলাম, যে করেই হউক মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তা না হলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পরবে।তখন, বিশেষ করে তরুন প্রজন্ম, এক সাথে হাত তুলে শপথ করেছিলাম, বুকের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সম্মান বজায় রাখব। পরবর্তীটা শুধুই ইতিহাস। খাদের কিনারায় চলে যাওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল হিসেবে নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় চিনিয়ে আনে। বিশেষ করে সেই সময় তরুণ প্রজন্মের ভোটেই আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ায়। আমরা আশায় বুক বেধেছিলাম, ভেবেছিলাম, সত্য, সুন্দর একটি নিরাপদ বাংলাদেশ তৈরি করতে পারব। অপার বিশ্বাস ছিল চেতনার উপর। কিন্তু কি হল - চেতনা হয়ে গেল একটি বানিজ্যিক প্রোডাক্ট। এই চেতনা কেবল নিজের স্বার্থে, দলের স্বার্থে ব্যবহৃত হয়। জনগণের স্বার্থ এখানে সব সময় উপেক্ষিত।
আজ আবার এই চেতনার বিরুদ্ধেই আমাদের মাঠে নামতে হয় অধিকার আদায়ের জন্য, নিরাপদ জীবনের জন্য। একটু নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে বাঁচতে চাই বলে, চেতনা তার ক্ষমতাবলে আমাদের এখন দৌড়ায় গুজববাজ বলে। আমরা পালিয়ে বেড়াই, আতংকে থাকি, আমার জন্য আতংকে থাকে আমার পরিবার। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ভাইটি আজ ক্ষমতার প্রিজন ভ্যানে বন্দি, অসহায় মায়ের করুণ আর্তনাত। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির কাছে এই বাংলাদেশ কি আমরা আশা করেছিলাম?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৪