গতকাল প্রথম যখন নিউজটা পড়লাম "সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ব্যাচেলারদের রাজধানী ছাড়তে হবে" হেডলাইনটা দেখেই কলজার মধ্যে ডিমপোছের মত চ্যাৎ করে উঠল। লে টেলা, এখন উপায়! এত দ্রুত সময়ে কিভাবে ফেমিলিয়ার হব। নিরুপায় হয়ে বন্ধু বান্ধব অনেকের কাছে ফোন দিলাম কারো সীট খালি আছে কি না। না কারো সীট খালি নাই। এহেন পরিস্থিতিতে কেউই সীট খালি রেখে কোথাও যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। যারা গেছে তারা তাদের সীট সঙ্গে করে নিয়ে গেছে। আর পূর্ব ঘোষনা ছাড়া এত দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফ্যামিলিয়ার হওয়াও সম্ভব নয়। কারন আমার মত ব্যাচেলরদের তো আর বিয়ে দেওয়ার মত উপযুক্ত মাইয়া থাকবে না, যে কি না ব্যাচেলারদের কষ্ট বুঝে উইদিন শর্ট টাইমের মধ্যে কাজী ডাকিয়া কন্যা দান করিবেন। যাই হোক মনে ভয় নিয়ে ৬টার আগেই অফিস বন্ধ করে ব্যাচেলরের অগোছালো রাজপ্রাসাদের দিকে রওয়ানা হলাম। আসার সময় বাজার থেকে এক ডজন কমলা, এক কেজি আপেল নিয়ে আসলাম। কারন দুপুরেই শুনে গেছি আমাদের অস্থায়ী খাদ্দামা নির্বাচনী উৎসবে যোগ দিতে রাতের রান্না শেষ করেই তিনি তার নিজালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করিবেন, ফিরবেন বিজয় মিছিল নিয়ে। খাবার দাবারের না হয় একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। কিন্তু ব্যাচেলরের কলঙ্কমুক্ত হইমু কেমনে। রাজধানী ছেড়েও যাওয়া যাবে না, কারণ জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্রে আমি এখন ঢাকার সিটিজেন। যতই ব্যাচেলর হই না কেন, রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা আমার মৌলিক অধিকার। আমার ভোটেই একজন সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেন। যিনি একটি সুখি সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ সোনার বাংলা গড়ার শপথ নিবেন। তাই ভয়কে জয় করার পরিকল্পনা নিলাম। ব্যাচেলাররা তো আর ভিন গ্রহের কোনো এলিয়েন না, যে নির্বাচনকালিন সময়ে তারা রাজধানীতে বসবাস করতে পারবে না।
অবশেষে সব ভয় সংশয় দুর করে সন্ধ্যার পরপরই জানতে পারলাম, এ ধরনের কোনো ঘোষনা দেওয়া হয়নি, ব্যাচেলারদের রাজধানী ছাড়তে হবে না। তারপর থেকে ঈদের চাঁদ দেখার মত খুশি খুশি লাগতাছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩