somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোদ জানালায় অন্য আলো

২৭ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



লিখার অক্ষমতা ক্রমশ নুয়ে ফেলেছে মস্তিস্ক। মুঠোফোনের বদৌলতে লেখালেখির রেওয়াজটা উবে গেছে প্রায়। আগে ইচ্ছে হলেই এখানে ওখানে লিখে রাখতাম। মাঝে মাঝে আবার ডায়েরীতেও লিখতাম। হুটহাট কয়েকটা চিঠি লিখে দূরবাসী কোন বন্ধুর নিকট পাঠাতাম। কখনও প্রবাসী কোন বন্ধু বা স্বজনের কাছেও পাঠাতাম। পাঠানো না হলে ডায়েরীর পাতাতেই লিপিবদ্ধ থাকতো। আবার তাদের কাছ থেকে প্রতি উত্তরে পাওয়া চিঠিগুলো সব জমা থাকতো বুকশেল্ফে। এখনো বুক শেলফটার কয়েকটা থাক ভর্তি এইসব জমানো চিঠি। অনেক দিন নাড়াচাড়া না করায় ধূলির আস্তরে ঢাকা পড়েছে। পুরনো স্থাপত্যের ন্যায় চিঠিগুলো যেন ধূলির আস্তরের আড়ালে জ্বলজ্বলে কিছু স্মৃতি বহন করছে।

**
আজকে অফিস থেকে ফেরার পথে সেই পুরাতন চিঠিগুলোর কথা মনে পড়লো। বাসায় ফিরে যেভাবে হোক চিঠিগুলো অন্তত একবার করে পড়ে দেখবো। কিন্তু বাসায় ফিরতে না ফিরতেই সারাদিনের ক্লান্তি সারাশরীরে জেকে বসলো। অবসন্ন চিত্তে বিছানায় শুয়ে টিভি রিমোট ঘুরাচ্ছি। পছন্দের চ্যানেলগুলোতেও দেখার মত তেমন কোন অনুষ্ঠান নেই। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে চলছে টক ঝাল মিষ্টি অনুষ্ঠান। চ্যানেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বুদ্ধিজীবির সংখ্যা বেড়েছে, বেড়েছে বিউটিশিয়ান আর কুকের সংখ্যা। যেন এইসব বুদ্ধিজীবিদের কথার ঝুলির তোরে সমাজটা পালটে যাবে। বিউটিশিয়ানগণ পাল্টাবেন পুরা সমাজের কালার। আর কুকগণ দেশটা কিভাবে রেঁধে খেতে হয় তা শিখাবেন। সেই খেতাবী কুকগণ কি জানেনও না আমাদের বাঙালী রমনীরা রন্ধন পটু। অগত্যা খবরের চ্যানেলের দিকে এগোতে থাকলাম। একটা খবরের চ্যানেল পাওয়া গেল। আগামীকাল ১৫ জুন, পূর্ণচন্দ্রগ্রহণ। বাংলাদেশের সর্বত্র এই গ্রহণ দেখা যাবে। রাত ১১টা ২৪ মিনিটে শুরু হবে গ্রহণের উপচ্ছায়া পর্যায়। আংশিক চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে রাত ১২টা ২৩ মিনিটে। চন্দ্রগ্রহণ পূর্ণতা পাবে রাত ২টা ১২ মিনিটে। চন্দ্রগ্রহণটি ১০০ মিনিট স্থায়ী হবে। পূর্ণচন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে ভোর রাত ৪টা ২ মিনিটে। ভোর রাত ৫ টায় শেষ হবে এর শেষ উপচ্ছায়া পর্যায়। শুধু বাংলাদেশ নয়। আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়া থেকেও পুরোপুরি, আর দক্ষিণ আমেরিকা, পশ্চিম আফ্রিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া থেকেও মোটামুটি দেখা যাবে।
অষ্ট্রেলিয়া ইউরোপ আর আফ্রিকা থেকে না দেখা গেলেও সমস্যা নেই। অন্তত বাংলাদেশ থেকে যেন দেখা যায়।
ধন্যবাদ সেই সংবাদ পাঠককে যিনি, হাজারো অখববের ভীড়ে একটি সুখবর দিলেন। মনস্থির করলাম আজকে যেভাবেই হোক চন্দ্রগ্রহণটা উপভোগ করবো। পাশে কেউ না থাকলেও চলবে। শুধুমাত্র বিষণ্ন বা মৃত চাঁদটা দেখা গেলেই হলো। এই ভাবতে ভাবতেই ঘুমের সাগরে তলিয়ে গেলাম।

***
সন্ধ্যার দিকে কিছু একটা খাওয়া অভ্যেস। শরীরের ক্লান্তি বিছানায় টেনে নেয়ায় আজ কিছুই খাওয়া হয়নি। ক্ষুধার তাড়নায় রাত বারটার দিকে ঘুম ভেঙ্গে গেল। মা সাধারণত ঘুম থেকে ডেকে তোলেন না। তবে জীবনে একটা দিন ব্যতিক্রম হলে মন্দ হতো না। খাওয়ার কথা ভুলে হাঁসফাঁস করে ছাদে দৌঁড়ুলাম।

চাঁদটার আলো যেন আকাশ ভেঙ্গে পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে পড়ছে। অন্যরকম আলো অন্য রকম মায়ানুভূতি টেনে রাখছে সারাক্ষণ। সারা শরীর আর মনকে করছে অবশ ও অবসন্ন। এই মুহুর্তে একজনকেই প্রত্যাশা করছি। যান্ত্রিক জীবনের গলা টিপে শ্বাসরোধ করে সবুজের মাঝে হারাতে ইচ্ছে করছে। চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ থাকবে। আমি থাকবো সে থাকবে। এক সাথে চলবো। একই গান গাইবো। হাতে হাত রেখে দূর দিগন্তে অজানায় পারি জমাবো।

****
এর মধ্যে আমাকে খুঁজতে মা ছাদে এসেছেন।
ছাদে একা একা বসে আছো কেন বাবু?
-চন্দ্রগ্রহণ দেখি মা।
চন্দ্রগ্রহণ দেখার কি আছে? পুরা দুনিয়াটা তো অন্ধকারে ঢাকা পড়ছে। এটা আবার দেখার কি হলো?
-আছে অনেক কিছু দেখার আছে মা। তুমি বুঝবা না।
কালে কালে কত চন্দ্রগ্রহণ হলো। এটা কোন দেখার বিষয়?
হ্যা মা! তুমিতো জীবনে অনেক চন্দ্রগ্রহণ দেখেছো। আচ্ছা বলোতো চন্দ্রগ্রহণ হয় কেন?
কি জানি বাপু! কি জন্য হয়। তবে ঐ চাঁদের বুড়িটা আছে না। ওর মন খারাপ হলে কাঁদতে থাকে। কাঁদতে কাঁদতে যখন চোখে কোন পানি থাকেনা। চোখ ফুলেফেপে বন্ধ হয়ে যায়।
-আচ্ছা আচ্ছা থামো মা। আর বলতে হবে না।
শোন চাঁদ নিয়ে আর গবেষণা করতে হবে না। তোর জন্য চাঁদের মত সুন্দর একটা বউয়ের ব্যবস্থা করছি।
-তাই নাকি মা? সে একদম চাঁদের মত দেখতে। তা কে সেই চাঁদের মত রূপবতী কন্যাটা?
কেন সোমার বান্ধবী সিনথিয়া’কে চিনিস না?
-সিনথিয়া----সিনথিয়া---সিনথিয়া!
আরে বোকা ঐ যে লম্বা ফর্সা সুন্দর মেয়েটা সোমার সাথে পড়তো। আমাদের বাসায় মাঝে মাঝে সোমার সাথে আসতো।
-হ্যা মা হ্যা আর বলতে হবেনা। চিনেছি এবার। কিন্তু সেতো আমার চেয়ে দশ বছরের মত ছোট হবে।
তাতে কি হয়েছে? আমার তো দশ বছর বয়সে বিয়ে হয়। তোর বাবার বয়স ছিল বাইশ বছর।
-এখন যুগ পরিবর্তন হয়েছে মা। এত বয়স পার্থক্যে আর বিয়ে হয়না।
কে বলেছে তোকে। এইতো সেদিন শফিক সাহেবের মেয়ে অর্পিতার বিয়ে হলো। ছেলেটা বার বছরের বড়।
-না মা আমার পক্ষে এই ফারাক মেনে নেয়া সম্ভব না।
তুই তো কত জনকেই দেখলি। এক জায়গায়ও তো পছন্দ হলো না। এখন সিনথিয়াকে দেখ। আশা করি তোর পছন্দ না হয়ে যাবেনা। তোর পড়ার টেবিলে খাবার দিয়ে দিবো। খেয়ে নিস। আর হ্যা সিনথিয়ার একটা ছবি আছে আমার কাছে। তোর টেবিলে রেখে দিবো। দেখে নিস। ঠান্ডা লেগে যাবে। বেশীক্ষণ থাকিস না যেন। তাড়াতাড়ি নেমে আসিস।
বাপ মরা ছেলেটাকে নিয়ে আমার হয়েছে যত জ্বালা----

*****
অতন্দ্রিলা! হ্যা অতন্দ্রিলাকে নিয়ে ভাবনার জট খুলতে খুলতেই কখন চাঁদটা অন্ধকারে ঢেকে গেছে খেয়ালই করিনি। সেই ঘোর অন্ধকার হাতরে মনে পড়ে সেই দিনগুলোর কথা। সে আর আমি একই ক্লাসে ছিলাম। বয়সের তুলনায় বাড়ন্ত এবং সহজাত সুন্দরী মেয়ে ছিল। বেশ চপল চটুল আর কথাবার্তায় খোলামেলা ছিল। অল্পতেই হাসতো আবার পান থেকে চুন খসলেই কাঁদতো। একই পাড়ায় বাড়ি বলে সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই দেখা হতো। তারপরও প্রতিদিন একটা করে পত্র লিখতো। বিনিময়ে তার দেয়া ডায়েরীর পাতায় একটা পত্র চাইই চাই। তা নাহলে নালিশের অন্ত ছিল না। মাঝে মাঝে তাকে চপল পায়ের পাহাড়ী নদী মনে হতো। আবার কখনো কখনো সে সাগরের মত শান্ত স্নিগ্ধ গম্ভীর ছিল। আমার যত দৈনন্দিন টুকিটাকি সমস্যার যথার্থ সমাধান দিতো সে। আমার পারিবারিক উপদেষ্টাও বলা চলে তাকে। আমি ছিলাম শান্ত লাজুক গোছের ঘরকুনো গোবেচারা। আমাকে সে শিখিয়েছিল কিভাবে মানুষের সাথে মিশতে হয়। কিভাবে কথার ডালপালা ছড়াতে হয়। কিভাবে কবি হতে হয়। কিভাবে কবিতা লিখতে হয়। আমার যত প্রাপ্তি তার শুভাশীসে প্রাপ্ত বলা চলে। তার হাত ধরেই আমি সমাজ তথা পৃথিবীটাকে চিনেছি। তার সম্পর্কে অনেক বলা হয়ে গেল। কিন্তু সেতো এত বলারও ঊর্ধ্বে। বাকী না বলা সব কথা আমার অন্তরেই ধূপ হয়ে জ্বলুক। সেই ধূপের গন্ধে আমি বিভোর হই বারবার। আমি হাসি। আমি কাঁদি। আমি অজান্তে হারাই যুগযুগান্তরে।

চারিদিকে ঊষারবির প্রত্যাশা প্রার্থী পাখিরা কিচির মিচির শুরু করেছে। সেই সাথে অন্ধকারের কোলে ঢেকে থাকা চাঁদটার ক্লান্ত চোখ ধীরে ধীরে খুলছে। ম্লান পৃথিবী আলোকিত হতে শুরু করেছে। রবির প্রত্যাবর্তনে চাঁদের আপাত বিদায়কালীন সময় শুরু হলো বলে আমারো ঘরে ফেরার সময় হলো।

******
ভাবনার ডালপালা গুটিয়ে ধীর অবশ পায়ে ছাদ থেকে নেমে আসলাম। টেবিলল্যাম্পের লালচে আলোয় চোখ তেতে উঠলো। টেবিলের উপর চকচকে একটা কাগজ চোখ টেনে ধরলো। মায়ের কাছে থাকা সিনথিয়ার ছবিটা নিশ্চয়ই। কাছে গিয়ে হাতে তুলে নিলাম। একটা সিড়ির দু'পাশে হরেক প্রকার ফুলের টব। সিড়ির পিলারে হেলান দেয়া উজ্জ্বল ঝকঝকে একটা মুখ। মাঝখানে লালের মাঝে ফুলতোলা নকশার জামা, সাদা সালোয়ার আর জর্জেটের ওড়না পরিহিত সিনথিয়া। বেনী করা চুল। ফিতা স্যান্ডেল পায়ে। হাত দুটো কোলের উপর। চোখে কাজল। সেই চোখ, মুখ আর অবয়বের টানে অদ্ভূত ইন্দ্রজালে বাঁধা পড়লাম।

*******
অতন্দ্রিলার শেষ চিঠিটা শেষবারের মত দেখার ইচ্ছে হলো। বুকশেল্ফ হাতরে চিঠিটা বের করলাম।

প্রিয় আবীর,
তোমার চিঠিটা আজকে সকালে পেলাম। আশা রাখি তুমি ভাল আছো। আমি বেঁচে থাকতে হয় বলেই বেঁচে আছি। তুমি লিখেছো যে, স্বপ্নে আমাকে প্রচন্ড অসুস্থ দেখেছো। এরপর তোমার ঘুম ভেঙ্গে যায়, ডুকরে কাঁদতে থাকো।
হ্যা বাবু আমি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। বাকীটা নাইবা শুনলা। এখন মোটামুটি সুস্থ হয়ে উঠেছি। আর তুমি আমার জন্য কোন চিন্তা করিওনা। আমার মেয়ে তাবাসসুম এবার ক্লাস ফাইভে উঠলো। তার জন্য দোয়া করিও।
তুমি শুনে খুশী হবে যে, আমার সারাজীবনের সেই একটি স্বপ্ন সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। বিজয়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে জয়েন করেছি। আমাদের বাড়ীর কাছে হওয়ায় যাতায়াতে তেমন অসুবিধা হচ্ছে না। তোমার অনুপ্রেরণা আর আমার শাশুড়ীর উৎসাহে আমার এতদূর আসা। আমৃত্যু তোমাদের কাছে ঋনী হয়ে থাকলাম।
তোমাকে একটা খবর জানানো হয়নি। আহসান মারা গেছে অনেক দিন হলো। মদ্যপ অবস্থায় রাস্তায় ট্রাকের নীচে চাপা পড়ে মারা যায়। সে বেঁচে থাকতে চায়নি আমি পড়ালেখা করে শিক্ষিত হই। সমাজে মেয়েদের ছায়া বলে কথা আছে। আমার জন্য সে ছায়া হয়ে না থাকলেও অর্ধছায়া হিসেবে তো ছিল। কিন্তু সেটাও সরে গেল। একবার ভেবেছিলাম তোমাকে জানাবো। কিন্তু কি হবে জানিয়ে? তুমি সব সময় আমার ভাল প্রত্যাশা করতা। সেই ভালর মধ্যে মন্দ সংবাদ শুনিয়ে তোমার মন খারাপ করতে চাইনি। শেষ দিকে তার অত্যাচার বেড়ে গিয়েছিল। হয়ত বিধাতা সেই অত্যাচারের কবল থেকে আমায় মুক্তি দিয়েছেন। কিন্তু আমি তো সেটা চাইনি। সে কথা সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই জানেন। কিন্তু সমাজ আমাকে আড়চোখে দেখছে। স্বামী হন্তারক বলে আড়ালে আবডালে কখনোবা প্রত্যক্ষ কটাক্ষ করছে। এই সমাজ আমাকে কি দিয়েছে তা আমি হিসেব করতে চাইনা। কি দিবো বা দিতে পারবো তারই হিসেব কষছি এখন। আমি ভুলে যেতে চাই আহসান কর্তৃক সেই সব ধর্ষিতরাত্রী। জানিনা পারবো কিনা! আমি জানি তোমাকে জানালে তুমি ছুটে আসতা। পাশে দাঁড়াতা। তোমার ঘরনী করে নিয়ে যেতে চাইতা। তাতে তোমার কষ্ট বাড়তো বৈ কমতো না। কালিঝুলিময় এই জীবনে তোমাকে জড়িয়ে তোমাকেও কলুষিত করতে চাইনা সমাজে। তুমি আমার নক্ষত্র হয়েই থাকো। ছুঁতে না পারলাম। তোমাকে নিয়ে মাঝে মাঝে ভাবা তো যাবে।

যে সময়
যে নদী
চলে যায়
দূর পানে।
কভু ফিরে
কি আসে
হারানোর টানে?

যে ফুল
ঝরে যায়
রাত্রি আর
দিনে,
সে কি আর
ফিরে আসে
অন্য ফাল্গুনে!

তুমি শুধু আমার জন্য আশীর্বাদ করে দিও। সেটাই আমার কন্টকাকীর্ণ চলতি পথের দিশারী হবে। আমি জানি না চাইলেও তুমি আশীর্বাদ করবা। তুমি অতি শীগ্রি বিয়েথা করে ফেল। আর হ্যা আমাকে দাওয়াত করতে ভুলো না যেন। তোমার বিয়েতে আমি শাদা ছেড়ে লাল শাড়ী পড়ে আসবো। কপালে লাল টিপ দিবো। গলায় পড়বো তোমার দেয়া রুপার মালা। তুমি বললে তোমার বউও সাজিয়ে দিবো। ভাল থেকো বাবুটা। খুব ভাল।

তোমার চিরজীবনের শুভাকাঙ্খী
অতন্দ্রিলা

********
রাতের খাবারে আর রুচি হলো না। এক গ্লাস পানি খেয়ে শুয়ে পড়লাম। মাথা থেকে এখনো চিন্তার বোঝা নেমে যায়নি। সিনথিয়া! যে কিনা আমার তুলনায় দশ বছরের ছোট একটা মেয়ে। তাকে অতন্দ্রিলার মত ভালবাসতে পারবো তো? সে আমাকে ভালবেসে কাছে টানতে পারবে তো? না সে জৈবিকতার টানে ছাদফ্যানের নীচে ধর্ষিত হবে রাতের পর রাত। বন্ধুমহলের অনেকেই তো বলছে মেয়েদের বয়স হলে নানান সমস্যা। কম বয়সের মেয়ে বিয়ে করা উচিত। সমাজের ভয় তো আছেই। না সমাজ রক্ষার সাধনায় একই স্রোতে গা ভাসিয়ে পূর্ব পুরুষের পুরনো ঐহিত্য বজায় রাখবো?
এতক্ষণে সূর্যরশ্মি জানালার পাতলা পর্দা ভেদ করে বিছানায় উঁকি দিচ্ছে। সারা শরীরে নরম রোদের ওম মেখে নিলাম বেশ কিছুক্ষণ। রোদের ওম মেখে মেখেই একটি চন্দ্রগ্রহণের রাত অতীত হয়ে আর একটি দিনের শুরু হলো।


ছবি: নিজস্ব এ্যালবাম
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৩৭
১০৪টি মন্তব্য ১০৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×