এই দুনিয়াতে স্বার্থ ছাড়া কোন কিছু সম্ভবই না। স্বার্থ ছাড়া একমাত্র সম্পর্ক আল্লাহর সাথে। তাঁর মাখলুকের সাথে আরেক মাখলুকের সম্পর্ক স্বার্থ ছাড়া – এটা চরম লেভেলের মিথ্যা কথা। আর স্বার্থ যে শুধু অর্থের অঙ্কে মাপতে হবে – এই ভাবনাটা খুবই ছেলে মানুষি টাইপ। আনাড়িও বটে। স্বার্থ হয় পার্থিব বা অপার্থিব।
মা-বাবার সাথে এই দুই ধরনই প্রযোজ্য। কখন কোনটা সেটা সময়ের সাথে সাথে বোঝা যায় বা প্রকাশিত হয়। তবে বিয়ে শাদী, পড়ালেখা, চাকরি, ইত্যাদিতে এগুলোর রূপ ফুটে উঠে।
দুনিয়ার সবচে কাড়াক স্বার্থপর সম্পর্কের নাম বাবা-মায়ের সাথে সম্পর্ক। যে মা আপনার মুখ দেখেই বলতে পারে আপনার চাই কি, সমস্যা কি, সেই একই মা আপনার কামাই রোজগার শুরু করার পর আপনার বিয়ে নিয়ে ভাবে না, আর ভাবলেও এমন কারও সাথে বিয়ের কথা বলে যেখানে তার স্বার্থ উদ্ধার হয়। ছেলের যে রাতে ঘুম হয় না, রাত ঠিকমতন কাটে না, মেয়ের যে বয়সটা বাড়ছে, একা একা একাকিত্বের মাঝে হতাশায় চলে যাচ্ছে এগুলাতে কোন মাথা ব্যথা নাই। কিন্তু সেই একই ব্যক্তির আপনি সকালে ১ ঘন্টা পরে নাস্তা করলে কি সমস্যা, ডাক্তার লাগবে কিনা – এসবে অস্থির!
কি নিদারুণ একটা বিষয়। এই বিষয়টা অনেকেই বুঝে না। সন্তান বিয়ের পর টাকা কম দিবে, খরচ কমিয়ে দিবে, সময় কম দিবে – এসব চিন্তায় আর বিয়ে করায় না মা-বাবা। সমাজের লোকেরা বেশি কটু কথা বললে তখন চিন্তা করে। স্রেফ তাদের মুখ বন্ধ করার জন্য। আর সন্তানেরও মুখ বন্ধ করতে। সমাজে এত এত তালাকের পিছনে এখানেও একটা বিষয় এর সাথে যুক্ত। ছেলেগুলা তাদের যৌবন শেষ করে কামাই করতে করতে। আর মেয়ের বয়সটাও বেড়ে যায় ক্যারিয়ার ক্যারিয়ার করে। তারপর বয়সটা ২৮ বা বেশি হলে আগের মতন ছেলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব আসে না, আসলেও সেটা আর পছন্দসই হয় না। ওদিকে ছেলেরও বয়স ৩৫+ হলে ২৪ এর কম বয়সী কাউকে পায় না যদি না ভাল আয়, বাড়ি, গাড়ি না থাকে বা অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক থাকে। এই যে সন্তানেরা ১০-২৫টা বছর বিয়ে ছাড়া থাকল – এটার কষ্ট মা-বাবার চোখে পড়ে না! এরপরও বলবেন স্বার্থ ছাড়া তারা ভালবাসে?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




