আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, গতকাল র‌্যাবের নাটকে দুটি প্রাণ ঝরে গেল। তবে আওয়ামী লীগ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সমর্থন করে না।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুরঞ্জিত এ কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, যুবলীগের নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কির হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ওই সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ সিদ্দিকী তারেক ও তাঁর সহযোগী শাহ আলম র‌্যাবের ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হন গতকাল বুধবার রাতে।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, যুবলীগের নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কির নিজ দলের রাজনৈতিক বন্ধুর হাতে খুনের ঘটনা আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের ঘৃণা বাড়াবে। এর ফলে বিরোধী দলের জনসমর্থন বাড়বে। র‌্যাবের ক্রসফায়ারে গতকাল যে দুটি প্রাণ ঝরে গেল, তাদেরও বিচার পাওয়ার অধিকার আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সুরঞ্জিত বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, এ সময় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে বিরোধী পক্ষ কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাবে।


প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের রংপুর সফর প্রসঙ্গে মন্ত্রী সুরঞ্জিত বলেন, ‘বুধবার সারা দেশের মানুষ জয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল। নতুন প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক ধারার সরকার গঠনের জন্য গোটা দেশবাসী তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিল। জয়ের রাজনীতিতে আসা দেশের রাজনীতির জন্য একটি শুভ লক্ষণ। এর মধ্য দিয়ে রাজনীতি এক নতুন মাত্রা পেল।’

নির্বাচন কমিশনের আরপিও থেকে ৯১-ই ধারা বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে এককভাবে সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, ‘এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের স্পর্শকাতর কোনো বিষয়ে হাত দেওয়া ঠিক হবে না। তাতে কমিশনের প্রতি যেমন জনগণের আস্থা নষ্ট হবে, তেমনি বিরোধী দলও একে ইস্যু বানানোর সুযোগ পাবে। তাই সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সমঝোতায় আসতে হবে।’ এ সময় তিনি সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শেষ যুদ্ধে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।


বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় নেত্রী ফাতেমা জামানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আওয়ামী লীগের নেতা হুমায়ুন কবির প্রমুখ।