খাবার অপচয় করা অত্যন্ত গর্হিত একটি অন্যায় কাজ। পৃথিবীতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে মানুষ। পোকার মত যেন কিলবিল করছে মানুষ আর মানুষ।
এইসব মানুষের প্রতি দিনই দরকার হয় খাবার । প্রচুর পরিমাণে খাদ্যদ্রব্য।
পৃথিবীতে কেউ কেউ খাবার খায় না । আবার কেউ কেউ খাবার পায় না।
অথচ আমরা যারা মোটামুটি সামর্থ্যবান আছি আমাদের অনেকেরই একটা অভ্যাস আছে আমরা প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাবার অপচয় করি। বিয়ে-শাদী জন্মদিন ইত্যাদি অনুষ্ঠানে গেলে এই জিনিসটা ব্যাপকভাবে চোখে পড়ে। দেখা গেল একজন মানুষ যতটুকু খেতে পারবে ততটুকু না নিয়ে তার চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ প্লেটে নিয়ে নেয়। আবার অনেক সময় অনুষ্ঠানের আয়োজক নিজ হাতে অনেকের প্লেটে খাবার তুলে দেন এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা জোরজবরদস্তি করে তুলে দেয়া হয়।
এইসব ক্ষেত্রে দেখা গেছে বেশির ভাগ সময়ই খাবার গুলো ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না । কেননা যাকে জোরপূর্বক দেওয়া হয়েছে তার পক্ষে সম্ভব নয় এই খাবারগুলো খাওয়া।
এই জাতীয় কোন অনুষ্ঠানে আমি সচরাচর গেলে এই অপচয়ের মহোৎসব টা দেখে থাকি। আমি যা দেখেছি সেগুলো হচ্ছে কেউ হয় তো আধা প্লেট পোলাও খেতে পারবে অথচ তাকে দেয়া হয়েছে দেড় প্লেট। পেটে প্রচুর ক্ষুধা আছে মনে করে সে নিজেই ডাবল নিয়ে ফেলেছে। কারো হয়তো একটা মুরগির রোস্ট ই যথেষ্ট অথচ সে দুইটা নিয়ে ফেলেছে।
হাসিবুর গরুর রেজালা যতোটুকু হলেই চলে তার চেয়ে তিনগুণ নিয়ে ফেলেছে।
এর পর কী ঘটে? কিছুক্ষণ খাবার পর দেখা যায় পেটে খাবার আর ঢুকে না। তখন অগত্যা কি আর করা অনেক যত্ন করে রান্না করা আর প্রচুর টাকা খরচ করে আয়োজন করা সেই খাবারগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।
প্রতি দিনই পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ কোন রকমে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকে । ভাল-মন্দ খাবার কথা তারা চিন্তাও করতে পারে না । অথচ অনুষ্ঠানে পর্ব পার্বণের নামের প্রতি। দিন প্রচুর পরিমাণে খাবার চলে যাচ্ছে ডাস্টবিনে।
তাই আসুন, আমরা পরিমিত আহার গ্রহণ করি খাবার অপচয় যেন না করি।
মনে রাখতে হবে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষেরই খাবার অধিকার রয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪