মালয়েশিয়ার রাজা ইয়াং ডি-পার্টুয়ান আগং আল সুলতান আবদুল্লাহ রি’আয়াতুদ্দীন আল-মুস্তফা বিল্লাহ শাহ
এর দুদিন আগে মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভা জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই সিদ্ধান্ত রাজাকে অবহিত করে। বাংলাদেশের ফেডারেল সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভা অথবা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জরুরি অবস্থা জারির প্রস্তাবনা রাজার কাছে গেলে রাজা জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত দেন।
বিভিন্ন প্রদেশের সুলতানের নিয়েছে কাউন্সিল রয়েছে সেই কাউন্সিলের মিটিংয়ে বসবো সেই মিটিং-এ উপস্থিত মালয়েশিয়ার রাজপ্রাসাদ স্থানে অনুষ্ঠিত হয় পুরো বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে আলোচনা শেষে রাজপ্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত রাজা সম্মত নন।
এভাবে দুদিনকার শ্বাসরুদ্ধকর নানান আলোচনা-সমালোচনা শেষে আজ সবাই অনেকটাই হাফ ছেড়ে বেঁচেছে। এর আগে মন্ত্রিসভা জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নিলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপক সমালোচনা করে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহামাদ, বিরোধীদলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ করোনা মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত ব্যাপক সমালোচনা করেন। তারা এটাকে যে কোনো অজুহাতে প্রধানমন্ত্রীর শক্তি বাড়ানোর একটি উদ্যোগ বলে সমালোচনা করেন। এক জন তো মন্তব্য করেন যে, এটা হচ্ছে ইঁদুর মারার জন্য বোমা ব্যবহার করার মতো একটি ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বিগত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে নানান টানাপোড়েনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ পদত্যাগ করলে নাটকীয় ভাবে তাঁরই মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিন কৌশলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন । যদিও এখন পর্যন্ত তা সংসদে আস্থা ভোটে পাস করানো হয়নি। এর আগে মাহাথির মোহামাদের নেতৃত্বাধীন অংশ ফেব্রুয়ারি মাসে আস্থা ভোট দাবি করে সংসদ অধিবেশন আহ্বান করার অনুরোধ জানান।
৮ ই মার্চ পার্লামেন্টের অধিবেশন হওয়ার কথা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী নাটকীয় ভাবে তার তারিখ পিছিয়ে দেন। এরপর করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে অধিবেশন বসতে পারেনি । যদিও মাঝখানে এক দিন ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য সংসদ অধিবেশন বসেছিল।
জরুরি অবস্থা জারি করলে ধারণা করা হয়েছিল যে, পার্লামেন্ট স্থগিত রাখা হবে সেই ক্ষেত্রে আগামী মাসে বাজেট অধিবেশন হওয়ার কথা সেটাও অনিশ্চয়তায় পড়ে যেত।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ১৯৫৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর মোট চারবার মালয়েশিয়াতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। ১৯৬৪, ১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে মোট চারবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল ।
সর্ব শেষ এ বছর বিগত দুইদিন রাজনৈতিক অঙ্গন সহ দেশের সর্বত্র জরুরি অবস্থা জারির সম্ভাবনা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:১০