somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণঃ একুশ শতকের এক ট্র্যাজিক হিরোর নাম ******************************

২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণঃ ২৬ নভেম্বর ১৯৫৪- ১৮ মে ২০০৯

১৮ মে ২০১০ ছিল তামিল গেরিলা নেতা ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ-এর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী। ২০০৯ সালের এই দিনটি ছিল পুরো শ্রীলংকা দ্বীপ বাসীর জন্য এক মহা আনন্দের দিন। কারণ এই দিন মুর্তিমান আতঙ্ক গেরিলা নেতা প্রভাকরণ নিহত হন। দেশ জুড়ে শুরু হয় আনন্দের উৎসব।এক জন মানুষের মৃত্যুতে যে মানুষ কত খুশী হতে পারে আমি সেদিন দেখেছিলাম। হবে নাইবা কেন? প্রায় তিন দশক ধরে একটি দেশকে- দেশের মানুষকে তিনি আতংকিত করে রেখেছিলেন। শ্রীলংকার যে সার্বিক ক্যারিশমা আছে তাতে দক্ষিণ এশিয়ার সব চেয়ে উন্নত দেশ হয়ে উঠা ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু গৃহযুদ্ধের কারণে তারা অনেক পিছিয়ে পড়েছে।

২০১০ সালের মে মাসের ২০ তারিখে সরকারী ভাবে পালিত হয়েছিল বিজয় উৎসব। তবে এক বছর পরই দেশের কোথাও প্রভাকরণের সমর্থনে একটা পোস্টারও চোখে পড়েনি। প্রভাকরণের কেউ কি নেই নাকি? এক বছরেই তিনি হারিয়ে গেলেন চিরতরে? মানুষ কি ভুলে গেল এই গেরিলা নেতাকে?

তামিলদের বঞ্চনা আর শোষিত হবার নানা দিক নিয়ে এই ব্লগে অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট রচিত হয়েছে। আমি সেই জটিল আলোচনায় যাব না। আমি শুধু এখানকার সাধারণ মানুষের অনুভূতিটা সামান্য দেখানোর চেষ্টা করব।

দক্ষিণ এশিয়ার বৃত্তম দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলংকা। আয়তন ২৫,৩৩২ বর্গমাইল বা ৬৫,৬১০ কিমি । আয়তনের দিক দিয়ে এটি বিশ্বের ১২১ তম দেশ। আযতনে ছোট হলও দেশটিতে ৯ টি প্রদেশ রযেছে। প্রদেশগুলোর আবার রয়েছে আলাদা সরকার। জেলা মাত্র ২৫ টি। ১৯৪৮ সালে বৃটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে সিলন (Ceylon) নাম নিয়ে। ১৯৭২ সালে এর নতুন নামকরণ করা হয় শ্রীলংকা (Democratic Socialist Republic of Sri Lanka )। বর্তমান লোকসংখ্যা ২০.২ million (ইউএন, ২০০৯). প্রধান ভাষা সিনহালা, তামিল ও ইংরেজি। প্রধান ধর্মীয় জনগোষ্ঠী হচ্ছে’ বৌদ্ধ ৬৯.১%, হিন্দু, ৭.১%মুসলিম ৭.৬%ও খৃস্টান ৬.২% অন্যান্য ১০% । শিক্ষার হার ৯০.৭%।

২০০৭ সালে শ্রীলংকা পুরো দেশ এক ভয়ের দেশ । কখন কে কোথায় মারা যায় তার ঠিক নেই। তখন তখন যেখানে সেখানে চলত বোমা হামলা। বাসে, হাটে, মাঠে, ঘাটে সর্বত্র। বাসে-ট্রেনে যাতায়াত করাও ছিল দারুণ ঝুঁকিপূর্ণ ।

এলটিটিই (LTTE)- এর বিমান বাহিনী ২০০৭ সালের ২৫ মার্চ রাতে কলম্বো বিমানবন্দরে (Bandaranayake International Airport, Colombo) হামলা চালায়। অবশ্য চালকসহ দুটি বিমানই ধবংস প্রাপ্ত হয়। তবে শ্রীলঙ্কার পুরো বিমান চলাচল ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। কলম্বো থেকে রাতের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়।

LTTE গেরিলারা নির্বিচারে আক্রমণ চালায় যেখানে সেখানে। মারা পড়ে অসংখ্য সাধারণ মানুষ। ফলে এলটিটিইর প্রতি কারো সহানুভূতি আর থাকে না। ১৯৯৩ সালে মে দিবসের র‌্যালিতে আত্নঘাতী বোমা হামলা চালায় এলটিটিই ক্যাডাররা। ফলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন র‌্যালিতে নেতৃত্বদানকারী সদা হাসি-খুশী প্রেসিডেন্ট রানাসিঙ্গে প্রেমাদাসা।


সাবেক প্রেসিডেন্ট রানাসিংহে প্রেমাদাসাঃ ২৩ জুন ১৯২৪-০১ মে ১৯৯৩

১৮ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে এক র‌্যালিতে এলটিটিই হামলা চালালেও প্রাণে বেঁচে যান সাবেক প্রেসিডেন্ট ম্যাডাম চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা। তবে তার ডান চোখটি অকেজো হয়ে যায়। একই দিনে আরেকটি নির্বাচনী র‌্যালিতে হামলা চালালে ৩৮ জন নিহত হন তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল লাকি আলাগামা নামের সাবেক একজন সেনাপ্রধানও ছিলেন। তামিল জাতি থেকে আগত একজন সম্মানিত ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত পররাষ্ট্র মন্ত্রী লাক্সমান কাদিরগামারকে ২০০৫ সালের ১২ আগস্ট তার বাসভবনে গুলি করে হত্যা করে এলটিটিই ক্যাডাররা। ফলে দিনে দিনে মানুষের মন বিষিয়ে উঠে। তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের কোন সহানুভূতিই অবশিষ্ট থাকে না।

২০০৭ সালের দিকে পরপরই দেশজুড়ে বেশ কিছু বড় অমানবিক হামলা পরিচালনা করা হয়। কলম্বোতে বড় কাচা বাজার খুব একটা নেই। কলম্বো বন্দর থেকে সামান্য দূরে প্রধান কাঁচা বাজার ও ফোর্ট রেলওয়ে স্টেশনের কাছে এক ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটানো হয়। তার মাত্র আধা ঘন্টা আগে আমি বাজার করে ফিরছিলাম। । বাসায় আসার পরপরই মোবাইলে ব্রেকিং নিউজ আসলঃ ফোর্ট রেলওয়ে স্টেশনে আত্নঘাতী বোমা হামলাঃ নিহত ১৮!
আরো একদিন খবর ছড়িয়ে পড়ল এলটিটিই নাকি কলম্বো শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় বিষ ঢুকিয়ে দিয়েছে! ভয়ে ট্যাপের পানি ধরিনি প্রায় ৭/৮ ঘন্টা। রাতে টিভিতে বিশেষ ব্রেকিং নিউজের মাধ্যমে সরকার জনসাধারণকে বলে যে পানি ঠিকই আছে। তবে সাবধানে পান করতে হবে। কি যে ভয়াবহ দিন গেছে! মানুষ বেশীর ভাগ সময়। আতঙ্কে ভুগতো।

সংখ্যালঘু তামিল জনগণের অধিকারের প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভতি যা ছিল তা ক্রমশই নষ্ট হয়ে যায় নির্বিচারে বোমা হামলার কারণে। অসংখ্য মানুষ মারা পড়েছে তাদের আক্রমণে । তারা তো নির্দোষ। এই ভাবে তো আর স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করা যায় না।

২০০৫ সাল পর্যন্ত এলটিটিইর ছিল কেবলই শুভ দিন। তারা ক্রমাগত ভাবে দখল করে চলছিল এলাকার পর এলাকা। সরকারী বাহিনী কিছুই করতে পারছিলনা। পুরো উত্তরাঞ্চীলয় প্রদেশ আর পূর্বাঞ্চলী প্রদেশের প্রায় সব এলাকাই তখন এলটিটিইর দখলে। তাদের সেই জয়-যাত্রা অব্যাবহত থাকলে রাজধানী কলম্বো দখল করতে তাদের খুব বেশী সময় লাগত না। এরই মাঝে ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিজয়ী হন তুখোর নেতা মাহিন্দা রাজাপাকসা (২০২২ সালে তিনি প্রবল গণবিক্ষোভের কারণে পদত্যাগ করেন। তার ভাই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসাও পদত্যাগ করেন) । এই নেতা জয়ী হয়েই শুরু করেন অভিযান।তার অভিযান ছিল দ্বিমুখী। দেশের বাইরে কুটনীতি আর দেশের ভেতরে পরিকল্পিত হামলা। ফলে প্রভাকরণের খবর হয়ে যায়। পিছু হটতে থাকেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসার সব চেয়ে বড় সাফল্য কুটনীতিতে । তিনি সারা বিশ্বকে বুঝাতে সক্ষম হন যে এলটিটিই একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী সংগঠন। ফলে এলটিটিই বর্হিবিশ্বে তার সমর্থন হারায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করার পর ভারতের কোন প্রকার সহযোগিতা আশা করা ছিল এলটিটিই র জন্য এক দুরাশা। ফলে মাহিন্দা রাজাপাকসা যখন মহাপরিকল্পনা নিয়ে আক্রমণ করেন তখন এলটিটিই কেবলই পিছু হটতে থাকে । তুখোর নেতা রাজাপাকসা সিনহাল, তামিল আর ইংরেজিতে একটানা বক্তব্য রাখতে পারেন। তিনি একজন দূরদর্শী নেতা।

২০০৯ সালে এলটিটিই সর্বশেষ মরণ কামড় দেবার চেষ্টা করে । এরই ধারাবাহিকতায় তারা রাজধানী কলম্বোতে বিমান হামলা করে। সেই রাতের কথা মনে হলে এখনো শিহরিত হই। প্রতি দিনের মতো সেই দিনও সন্ধ্যা বেলায় ঘুরতে গেছি। রাত সাড়ে আট টার দিকে হঠাৱ বোমার শব্দ । সেই সাথে পুরো কলম্বোর সব বাতি এক সাথে নিভে গেল। চারিদিক থেকে অজস্র গুলাগুলির আওয়াজ আসতে লাগল । আকাশের দিকে তাকালেই যেন গুলির মিছিল। কোথাও একটু আলো নেই। সব অন্ধকার। মোবাইল বের করে দেখি কোন নেটওয়ার্ক নেই। রাস্তায় কোন গাড়ী নেই। নিমিষেই সব যেন হাওয়া হয়ে গেল। প্রায় আধা ঘন্টা পর গুলাগুলির আওয়াজ একটু কমে আসতেই বাসার উদ্দেশ্যে হাঁটতে শুরু করলাম। ইতোমধ্যে দু'একটা গাড়ী সামনের কেবল হলুদ লাইট কোন রকমে জালিয়ে বের হযেছে।বাসায় গিয়ে দেখি ল্যান্ড ফোনও বন্ধ করে দেয়া হযেছে। রাত ৯টার পর বিদ্যুত এলে দ্রুত টিভি অন করলাম। পরপর তিন ভাষায় ( প্রথমে সিনহালা তারপর তামিল আর শেষে ইংরেজি) ব্রেকিং নিউজ দেখানো শুরু হল। জানা গেল এলটিটিই র বিমান বাহিনী প্রথমে কলম্বোতে অবস্থিত বিমান বাহিনীর সদর দপ্তরে হামলা করার চেষ্টা করে। কিন্তু পাল্টা আক্রমণে বিমানটি বিধস্ত হয় অপর একটি গুরুত্বর্পূণ ভবনের উপর। একাধিক ব্যক্তি নিহত হন। বিমানের চালকও নিহত হন। অপর আক্রমনটি পারিচালিত হয় কলম্বোর বিমান বন্দরে। সেখানে পাল্টা আক্রমণে পরাস্ত হয় এলটিটিই।

ক্রমাগত পরাজয়ের ফলে এ সময় তাদের রাজধানী কিলিনোচ্চিও হাতছাড়া হয়ে যায়। তাদের এক মাত্র ঘাটি মোল্লাইতিভু থাকে বাকি। কিন্তু ২০০৯ সালের ১৮ মে এখানে এক ভয়াবহ লড়াইয়ে পরাজিত হন প্রভাকরণ বাহিনী। একটি এম্বুলেন্সে করে পালিয়ে যাবার সময় নিহত হন কিংবদন্তীর গেরিলা প্রভাকরণ যিনি কিনা ছিলেন সবার ধরাছোয়ার বাইরে।

যখন প্রভাকরণ নিহত হন তখনই প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসা তাঁর দুবাই সফর অসমাপ্ত রেখে দেশে চলে আসেন। ঘোষণা করেন আনুষ্ঠানিক বিজয়। ঘরে ঘরে উড়ে পতাকা। জরুরী অবস্থা শিথিল করা হয়। রাস্তায় নামে আনন্দের মিছিল। মানুষ যেন মুক্তির স্বাদ পেতে চলেছে। মিছিলের পর মিছিল আসে। মানুষ যেন আনন্দে পাগল হয়ে গেছে এমন ভাব। কেন জানি না, আমারও খুব আনন্দ লাগল। আর আমাকে বোমার আতংকে থাকতে হবে না। যখন তখন আর বোমা ফাটবে না। কত প্রাণ যে ঝরে গেছে ২৬বছরের গৃহ যুদ্ধে। মানুষ তাই স্বেচ্ছায় নেমে এসেছে রাজপথে। সেদিন তাদের যেন বিজয়। যেমনটি ছিল বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। আমি বাংলাদেশর বিজয় উৎসব দেখিনি। তবে এখানে মানুষের যে উচ্ছাস দেখেছি তাতে মনে হয় মুক্তির আনন্দ না জানি কত গভীর।

হঠাৎ করেই অনলাইনে এলটিটিইর পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রভাকরণ বেঁচে আছেন। আনন্দে যেন খানিকটা ভাটা পড়ে। সরকারও কম যায় না। টিভিতে বিশেষ ব্রেকিং নিউজের মাধ্যমে দেখানে হতে লাগল নিহত প্রভারকণের মৃতদেহ। তাকে দেখলে যে কারারই মায়া লাগার কথা।

আজ এক বছর পরে শ্রীলংকা দারুণ রকম শান্ত। বোমার আতংক নাই। কোথাও কোন ভয় নাই। যেই জাফনায় যাওয়া ছিল কল্পনারও অতীত সেখানে এখন প্রতি দিনই বাস যায়। মানুষ যেন বেঁচে গেছে এক ভয়াবহ যুগ থেকে। তারা হাসছে আনন্দের হাসি।

এখন আমার কথা হল প্রভাকরণ যে সব দাবী নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন কেন সেগুলো ব্যর্থ হল?

প্রথমত, তিনি সরাসরি অস্ত্রের পথে গেছেন। মানুষের সহানুভূতি হারিয়ে ফেলেছেন।
দ্বিতীয়ত তিনি আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন ধরে রাখতে পানেনি।

একটি বৌদ্ধ রাষ্ট্র হয়েও মাহিন্দা রাজাপাকসা ধর্মীয় নেতাদের সমর্থন আদায় করতে পেরেছেন। ফলে অহিংস বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী হয়েও মেরে সাফ করে ফেলেছেন এলটিটিই কে। এখন কাগজে কলমে হয়তো এলটিটিই হয়তো থাকবে। কিন্তু তারা আর কোন দিন এই রকম মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবে না যেমন টি তারা প্রায় ২৬ বছর ধরে করছিল।

একটি রাষ্ট্রকে ভেঙ্গে দুটি রাষ্ট্র করতে গেলে যে প্রক্রিয়া যাবার দরকার তারা সেই প্রক্রিয়ায় যায়নি। সত্তরের দশকে বাংলাদেশে শেখ মুজিব যেটা করতে পেরেছিলেন প্রভাকরণ তা পারেননি। ফলে তার স্বাধীন ভূমির স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। বর্তমান সরকার যদি সবার অধিকারের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারে তাহলে মানুষ কিন্তু বুঝতে পারবে প্রভাকরণের বিষয়টি। যিনি শ্রীলংকাকে অনেক পেছনে গিয়ে গেছেন। শোনা যেত, তার কাছে নাকি সায়ানাইড ক্যাপসুল রাখা ছিল যাতে ধরা পড়লে তা খেয়ে মারা যেতে পারেন। কিন্তু তার দেহে কোন সায়ানাইড ক্যাপসুল পাওয়া যায়নি।তবে তিনি জীবিত ধরাও দেননি। অবশ্য জীবিত ধরা দিলেও সৈন্যরা তো তাঁকে মেরেই ফেলত। তাঁকে বাঁচিয়ে রাখার ঝুঁকি কেউ নিতে চাইত বলে মনে হয়না।

এলটিটিইর একটি আলাদা রাষ্ট্রীয় কাঠামো ছিল। ছিল জাতীয় পতাকা, বিচার বিভাগ, ব্যাংক সব। মুলত শ্রীলংকার উত্তরাঞ্চলে দ্বৈত শাসন চলত। একদিকে সরকারী শাসন। অন্যদিকে এলটিটিই র শাসন। প্রভাকরণ মানুষকে উজ্জীবিত করতে পেরেছিলেন। শোনা যায়, কোন পরিবারে যদি ২ টি সন্তান থাকে একটি সন্তানকে এলটিটিইতে পাঠানো বাধ্যতামূলক ছিল। নাবালক যোদ্ধার সংখ্যা তাই ছিল প্রচুর। কেউ না কেউ মারা পড়ত। ফলে বংশানুক্রমে সরকারের প্রতি একটি ঘৃণা জাগিয়ে রাখার চেষ্টা ছিল প্রভাকরণের। এ কাজে তিনি সফল হয়েছিলেন।

আজ প্রভারকরণ নেই। একদম শান্ত শ্রীলংকার উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত। তবে প্রভারকরণ যএক জন সাহসী যোদ্ধা হিসাবে মানুষের মনে হয়তো বেঁচে থাকবেন অনেক দিন।

যিনি ছিলেন এক রহস্য মানব। ধরা ছোঁয়ার অনেক বাইরে। যাঁর স্বপ্ন ছিল একটি পৃথক বাসভূমির।

সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪০
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×