ময়লা কোথায় ফেলতে হবে? এক বাক্যে সবাই বলবে- কেন, রাস্তায়! ময়লা ফেলার উপযুক্ত স্থানই হচ্ছে রাস্তা। রাস্তা থাকতে ময়লা কোথায় ফেলতে হবে এই কথা জিজ্ঞেস করার কি আছে। সবাই তো ময়লা রাস্তায়ই ফেলে। এটা তো আর নতুন কিছু নয়।
যদিও নিয়মটি এই যে- ময়লা ফেলতে হবে নির্ধারিত ময়লা ফেলার ঝুড়ি কিংবা ডাস্টবিনে। বাড়িতে, পথে-ঘাটে, দোকানে, মার্কেটে, বাজারে সব জায়গায়ই থাকবে ময়লা ফেলার জন্য ডাস্টবিন। সেখানে ময়লা ফেলা পরে সেই ময়লা আবার সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লোকজন। কিন্তু এই সব সুযোগ সব জায়গায় সহজলভ্য নয়। বিধায় কারো কারো ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে। তবে ব্যতিক্রম তো অবশ্যই আছে। তবে আমি দেখেছি মানুষ ময়লা রাস্তাতে ফেলতেই ভালোবাসে। ভালোবাসার উপরে তো কথা নাই।
বাংলাদেশের পথ- ঘাট ময়লা আবর্জনা দয়ে ভরা। ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষ- জন সব পথের মাঝখানে ময়লা -আবর্জনা ফেলে। সকাল বেলায় হাটলে একটি কমন দৃশ্য চোখে পড়বে তা হলো- দোকানীরা দোকান ঝাড়ু দিয়ে ময়লা ফেলছে রাস্তায়। এমনকি চলাচলরত পথচারীদের দিকেও তারা ফিরে তাকায় না। তাদের গায়ের উপরই ময়লা ঝাড়ু দিয়ে ফেলে। আবার শুকনা মৌসুমে দোকানের সামনে পানি ছিটিয়ে ধুলা উড়ানো বন্ধ করার চেষ্টা করতে দেখা যায় অনেককেই। পথচারীদের উপরও পানি ছুড়ে দিতে কার্পন্য করে না। নিরীহ গোবেচারা পথচারী তারা কখনো ধূলায় ধূসরিত হয়। আবার পানি মেখে হয় কদর্মাক্ত । সবই কপালের লিখন।
ধুলা বেশী জমলে উড়তে থাকে। পরিবেশ হয় দূষিত। নাকে-চোখে-মুখে প্রবেশ করে অপবিত্র সব নোংরা। আর বৃষ্টি এলে এই সব ধুলাই হয়ে যায় নোংরা সব কাদা। পথে হাটার কোন উপায়ই থাকে না। ঢাকার ধোলাবালি কিন্তু পবিত্র কোন জিনিস নয়। ড্রেন থেকে ময়লা তুলে ড্রেনের পাশেই রেখে দেয়া হয়। এই ময়লা শুকিয়ে আবার বাতাসে উড়ে বেড়ায়। সেটা মানুষের নাক দিয়ে তার ফুসফুসে প্রবেশ করে। তারপর রক্তের মধ্যে দিয়ে পুরো শরীরে।
আমার মনে হয় না মানুষ চায় দেশটা সুন্দর আর পরিস্কার ঝকঝকে থাকুক। দেশের বাইরে গিয়ে দেখতে পাবেন রাস্তাঘাট পরিস্কার। ঝকঝকে, তকতকে। ভাগ্য ভালো দেখবেন সেখানে যারা পরিস্কারের দায়িত্ব পালন করছেন তারা হয়তো বা বাংলাদেশেরই নাগরিক। সেখানে প্রতি দিনই ঝাড়ু দেয়া হয়। ধুলা তুলে নেয়া হয় রাস্তা থেকে। সেই ধুলা শহর থেকে দূরে নির্বাসন দেয়া হয়।
আশ্চর্য বিষয় হলোঃ দেশের রাস্তা-ঘাট পরিস্কার না থাকলেও বিদেশের রাস্তাঘাট ঝাড়ু দিয়ে দারুণ ঝকঝকে রাখছে আমাদের বাংলাদেশেরই মানুষ। শুনেছি, ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে।
বড়ই আচানক ঘটনা!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



