somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একদা রাবণের দেশে ছিলাম। *********************************

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারির কোন এক নিষুতি রাতে এসে নেমেছিলাম রাবণের দেশেঃ শ্রীলংকার রাজাধানী কলম্বোতে। Bandaranayake International Airport -এ। মুল কলম্বো শহর থেকে এটি ৩৫/৪০ কি.মি. দূরে। টার্মিনাল বিল্ডিং থেকে বের হয়েই বুঝা গেল বাইরের গরমের সে কি দাপট।পরে শুনলাম এখানে সারা বছরই গরম থাকে। শীতকাল বলে কিছু এখানে নেই। দুইটই ঋতু- গ্রীষ্ম আর বর্ষা।
বাইরে এসেই ঢাকার সাথে পার্থক্যটা প্রথম উপলব্ধি করলাম। গাড়ীওয়ালাদের কোন টানাটানি নেই। কাউন্টার থেকে যে কোন ধরনের গাড়ী পাওয়া যায়। ভাড়াও নির্ধারিত। গাড়ীগুলো ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেনা। আমি দেখেছি, রাত ৩ টায় লাল বাতি জ্বললেই গাড়ি থেমে যায়। যদিও তখন ইচ্ছে করলেই গাড়ী টান মেরে যে কোন দিকে চলে যাওয়া যায়। তা না করে চালকেরা সবুজ বাতির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। কি যে বোকা সব চালক এখানে। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে জানে না। আসলে, আইনকে এরা অনেক মানে। সবারই মানা উচিত।

এখানকার মানুষের সাথে বাংলাদেশের মানুষের অনেক মিল রয়েছে। কি গায়ের রং কি উচ্চতায় সব কিছুই বাংলাদেশের মতো। কেবল মিল নেই ভাষায়। তবে দুরত্বে ব্যবধান না থাকলে ভাষার অমিল খুব থাকত বলে মনে হয় না। কারণ সিনহালা ভাষার অনেক শব্দের সাথে বাংলা শব্দের বেশ মিল দেখা যায়। যেমন-গাছ,হাত,কান ইত্যাদি অনেক শব্দই বাংলার কাছাকাছি।

দক্ষিণ এশিয়ার বৃত্তম দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলংকা। আয়তন ২৫,৩৩২ বর্গমাইল বা ৬৫,৬১০ কিমি । আয়তনের দিক দিয়ে এটি বিশ্বের ১২১ তম দেশ। আযতনে ছোট হলও দেশটিতে ৯ টি প্রদেশ রযেছে। প্রদেশগুলোর আবার রয়েছে আলাদা সরকার। জেলা মাত্র ২৫ টি। ১৯৪৮ সালে বৃটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে সিলন(Ceylon) নাম নিয়ে। ১৯৭২ সালে এর নতুন নামকরণ করা হয় শ্রীলংকা (Democratic Socialist Republic of Sri Lanka )। বর্তমান লোক সংখ্যা ২ কোটির কিছু বেশী। প্রধান ভাষা সিনহালা, তামিল ও ইংরেজি। প্রধান ধর্মীয় জনগোষ্ঠী হচ্ছে’ বৌদ্ধ ৬৯.১%, হিন্দু, ৭.১%মুসলিম ৭.৬%ও খৃস্টান ৬.২% অন্যান্য ১০% । শিক্ষার হার ৯০.৭%। পাহাড়-পর্বতের দেশ শ্রীলংকার দ্বিতীয় উচ্চতম পর্বতের নাম এডাম পিক। এটি মুসলিম,বৌদ্ধ,খ্রীস্টান আর হিন্দু চার ধর্মের লোকদের কাছেই অতি পবিত্র স্থান। কারণ বৌদ্ধদের মতে- প্রভু বৌদ্ধ এখানে তার তৃতীয় এবং শেষ লংকা সফরের সময় এখানে প্রথম পা রেখেছিলেন। হিন্দুদের মতে, শিব এখানে প্রথম পা রাখেন। খ্রীস্টানদের মতে ষোড়শ শতকে পর্তুগীজ ধর্মপ্রচারক সেন্ট থমাস যিনি শ্রীলংকাতে খ্রীস্ট ধর্ম প্রথম প্রচার করেন তার পদচিহ্ন এটা। আর আরবদের মতে, স্বর্গ থেকে বহিষ্কৃত হয়ে প্রথম মানব হজরত আদম ( আঃ) এখানে সর্বপ্রথম পা রাখেন। মতামত যাই হোক না কেন এডাম পিক চার ধর্মের অনুসারীদের কাছে অতি পবিত্র স্থান।

দেশটির উন্নয়নের অনেক সম্ভাবনা থাকলেও ৩০ বছরের গৃহ যুদ্ধের কারণে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। তবে আশার কথা গত বছর (2010) সমাপ্তি ঘটেছে রক্তাক্ত সেই গৃহযুদ্ধের। ফলে এই দেশটি এখন তরতরিয়ে উঠে যাবে উন্নতির দিকে। কেননা, এদের জন সংখ্যা একটি সহনীয় মাত্রায় রয়েছে। সাধারণ মানুষের মাঝে যথেষ্ট সততা রয়েছে। সততার বড় অভাব আমাদের দেশে। এখানে অত অভাব নয।

কলম্বোতে আছি অনেক দিন হল। অনেক ভাল এখানকার আইন-শৃঙ্খলা অবস্থা। মেয়েরা অবাধে পথে চলতে পারছে। কোন ছেলে তাদেরকে টিজ করছেনা। এখানকার মেয়েরা অনেক ফাস্ট। জিন্স-টি শার্ট আর সংক্ষিপ্ত ড্রেস পড়ে এরা অবাধে চলাচল করতে পারছে। ঘরে-বাইরে কাজ করছে সর্বত্র। বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে নারী কর্মীর সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে টেলিকম ও ব্যাংকিং সেক্টরে নারী কর্মীর সংখ্যা পুরুষ কর্মীর চেয়ে অনেক বেশীই বলে মনে হয়েছে আমার কাছে। সবধরনের বাসে নারী-পুরুষ এক সাথে দাড়িয়ে- সে যাচ্ছে। কোন হাঙ্গামা নাই। ভাড়া নিয়ে নেই কোন ক্যাচাল। যা ঢাকার বাসগুলোতে নিত্যদিনের ঘটনা। বাসগুলোতে অবশ্য কয়েকটি সিট সংরক্ষিত থাকে। ২টি ধর্মীয় গুরু, ২টি গর্ভবতী আর ২টি অক্ষমদের জন্য। এধরনের যাত্রী এলে সবাই সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে যাবে। এটা আমাদের দেশে কি আমি আশা করতে পারব?


কলম্বোতে শপিং মলের সংখ্যা অনেক। বেশ কটি বিখ্যাত শপিং মলের নামঃ হাউজ অব ফ্যাশনস, নোলিমিট, কেন্দ্রা, ফ্যাশন বাগ, আরপিকো সুপার সেন্টার, কিল্স সুপার,কারগিলস ফুট সিটি ইত্যাদি। অনেক পণ্যের দামই এই সব মলে যা বাইরের সাধারণ দোকানেও তা। বাংলাদেশে এটা আশাই করা যায় না।
কলম্বো শহরের লোক সংখ্যা ১০ লাখ । এর মাঝে ৪ লাখ আবার ভাসমান। এর দিনে শহরে আসে আবার সন্ধ্যায় চলে যায়। ফলে শহরের পরিবেশ রাতের হয়ে যায় নীরব।

এখানে দুটি নির্বাচন দেখেছি। আধুনিক নির্বাচন। একটি প্রাদেশিক নির্বাচন আর আরেকটি ২০১০ সালের আলোচিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বাংলাদেশের মতো অমন নির্বাচন এখানে হয়না। প্রচারণা চলে নীরবে। মিছিল নই। ভাংচুর নেই। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া নেই। যে যার পছন্দ মতো ভোট দিয়ে আসে। এখানে মানুষ অনেক সচেতন। ভোটের ফলাফলের পর অহেতুক বিজয় মিছিলও হয়না ।

৩০ বছরের গৃহ যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। আর পেছনে থাকা নয়। উন্নয়নের বাধভাঙ্গা জোয়ার আসছে সামনে। অদুল ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম উন্নত দেশে পরিণত হবে লংকা। আর বাংলাদেশে কবে হবে এমন।

তবে জিনিসপত্রের দাম বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশী। দাম দেখলে মনেই হয় না যে এটা দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ। আমি ২০০৭ সালে এসে জিনিসপত্রের যে দেখেছিলাম তা এখন ৩ গুণ হয়ে গেছে। তবে এনিয়ে এখানে কোন মাতামাতি নেই। এখানে আজ পর্যন্ত এই নিযে একটা মিছিল পর্যন্ত হয়নি। তার মানে এই নয় যে এখানে অনেক প্রাচুর্য। এখানে কেউ বসে থাকে না। সবাই কাজ করে । ফলে যে কোন পরিবার চলে অনায়াসে। যদি কোন পরিবারে একটি মুদির দোকা ন থাকে তাহলে ঐ পরিবারের সবাই দোকানে কাজ করে। যাদের তা নেই তারা কোন একটা দোকানে বা প্রতিষ্ঠানে কাজ খুজে নেয়। কোন কাজইকেই এরা ছোট করে দেখে না। আমাদের দেশে তো সবাই কাজ করতে চায়না। গায়ে ফু দিয়ে বেড়াতে বড় ভালবাসে তারা।

একটি কথা না বললেই নয়। এখানে যতগুলো টিভি আছে তার সবগুলোই ডিশ ছাড়া দেখা যায়। অর্থাৎ সব গুলো টিভিই টেরেসট্রিয়াল সম্প্রচারের ব্যবস্থা আছে। তিনটা চ্যানেল আছে যেগুলো সব সময়ই ইংরে জি অনষ্ঠান প্রচার করছে। হিন্দি গান, হিন্দি ছবি টিভিগুলো হরহামেশাই প্রচার করছে। সিনেমা হলেগুলোতে প্রায়ই চলে হিন্দি সিনেমা। ইংরেজি ও স্থানীয় ভাষার ছবিও চলে অনেক। আশ্চর্য জনক ব্যাপার হল সিনেমা হলগুলোতে পরিবেশ খুবই ভাল। সপরিবারে ছবি দেখার মতো পরিবেশ থাকায় এখনো মানুষ আগ্রহভরে সিনেমা হলে ছবি দেখতে যায়। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এখনো সেই একমাত্র বিটিভি ছাড়া আর কোন টিভি দেখার কোন উপায় নাই। টিভিগুলো যখন ইংরেজি বা হিন্দি ছবি প্রচার করে তখন সাবটাইটেল বা সংলাপগুলো স্থানীয় ভাষায় পর্দাও নীচে দেখানো হয়। ফলে দর্শকরা সহজেই ছবি বুঝতে পারে। বাংলাদেশে এক সময় বিদেশী ছবিতে বাংলা সংলাপ ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল। সরাসরি সংলাপ না ঢুকিয়ে পর্দায় সংলাপগুলো বাংলায় দেখালে সেটা অনেক ভাল হত। টিভিতে কোন ধুমপান কিংবা মদ্যপানের দৃশ্য এলে তা সাথে ঢেকে দেয়া হয়। যদিও এদেশে মদ্যপান খুব প্রচলিত। এরা অন্য খাবার না খেয়ে থাকতে পারে কিন্তু মদ না খেযে থাকতে পারবে না। তাই দেশের অলিতে গলিতে গড়ে উঠেছে মদের দোকান। ঢাকায় যেমন মোড়ে মোড়ে পানের দোকান এখানে মোড়ে মোড়ে মদের দোকান। সব ধরনের ক্রেতারা ভিড় করে কিনছে মদ। অনেকে সেখানেই গিলে চিৎপটাং হয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে যাচ্ছে। বড়ই আচানক ঘটনা।

পুরো দেশটাই ঘুরে দেখার মতো। সাধারণ নিরাপত্তা থাকায় অবাধে আসছে পর্যটকরা। একেবারে অজপাড়া গাঁয়েও ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটা করা যায়। অধিকাংশ মানুষ মোটামুটি ইংরেজি বলতে পারে বলে পর্যটকরা সহজেই ঘুরে বেড়াতে পারে, কেনা-কাটা করতে পারে।
*******************************************
(লেখাটি অনেক আগে লিখেছিলাম ২২শে মার্চ , ২০১০। আজ পুরনো লেখার মাঝে পেলাম। অনেক ভুলত্রুটিতে ভরা থাকলেও মজাও লেগেছে। প্রকৃত ঘটনার চেয়ে স্মৃতি সব সময়ই মজাদার। অনেক সময় তা বেদনার। জীবন এমনই। আফসোস! )
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৬
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গৃহবধূ থেকে প্রধানমন্ত্রী; অভিভাবক শূন্য হলো বাংলাদেশ |

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১২


খালেদা জিয়া। ইস্পাতসম বজ্রকঠিন দেশপ্রেমের নাম খালেদা জিয়া। যিনি ভালো বেসেছেন দেশকে, নিজের জীবনের চেয়েও দেশকে ভালো বেসেছেন। দেশের বাহিরে যার নেই কোন লুকানো সম্পদ। নেই বাড়ি, গাড়ি অথবা... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৫ সালের সেরা মশকরা কোনটি

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৪



ইয়ে মানে বছর শেষ। ২০২৫ সাল বিদায় নিচ্ছে । তা আপনার কাছে ২০২৫ সালের সেরা মশকরা কোনটি ?


আমার কাছে সেরা মশকরা হচ্ছে- এনসিপির জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করা।

আরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেগম খালেদা জিয়াঃ এক দৃঢ়চেতা, সাহসী অধ্যায়ের সমাপ্তি

লিখেছেন সামহোয়্যারইন ব্লগ টিম, ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৭



প্রিয় ব্লগার,
আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বেগম খালেদা জিয়া আর আমাদের মাঝে নেই, ইন্না লিল্লাহি ওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু রাজনীতির মাঠে বিরাট শূন্যতা

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৯

 
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়া এক উল্লেখযোগ্য চরিত্র। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির টালমাটাল পরিস্থিতিতে তিনি দলটির হাল ধরেন। সেনানিবাসে গড়ে উঠা দলটাকে রাজপথে বেড়ে উঠতে গৃহবধূ থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খালেদা জিয়া মরিয়া প্রমাণ করিলেন , তিনি মরেন নাই ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৮


বেগম খালেদা জিয়া মারা গেছেন। এই খবরে জাতি শোকাহত। কিন্তু একদল মানুষ আছে যারা উনার মৃত্যুর পরেও নিজেদের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক স্বার্থে তার মৃত্যু নিয়ে ঘৃণ্য মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। বদনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×