somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোহাম্মদ সাজ্জাদ  হোসেন
আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

জনসংখ্যা মানেই সম্পদ, সম্পদ বৃদ্ধি করুন।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৫৬ হাজার বর্গমাইলের এতো বড় বাংলাদেশের জনসংখ্যা মাত্র ১৬ কোটি!

ছিঃ ! ছিঃ!! ছিঃ !! !

ভাবতেই অনেক অনেক কষ্ট লাগে! কষ্টে আমাদের বুক ফেটে যায়। এ কেমন কথা ! মাত্র ১৬ কোটি সম্পদ কেন? কেন ২২/২৩ কোটি নয়। সম্পদ যত বেশী হবে ততই আমাদের দেশ হয়ে যাবে সম্পদশালী।

জনসংখ্যা মানেই সম্পদ । এতো কম সম্পদে দেশের চলবে কি করে? এখনো সময় আছে, এখনই সম্পদ বৃদ্ধি করুন! ধনী দেশের কাতারে যেতে চাইলে সম্পদ বৃদ্ধি করা ছাড়া উপায়ও নেই। আর দুনিয়ায় কে না চায় যে, তার সম্পদ বৃদ্ধি পাক।

দেশের আয়তনের সাথে তুলনা করলে আমাদের কমপক্ষে ২০ কোটি সম্পদ হলেও মান-ইজ্জত বাঁচত। অথচ আমাদের সম্পদ কত কম! সম্পদ বাড়ানো অনেক দরকারী একটি কাজ।

আমাদের গুণীজনদের অমৃত বচন অনুযায়ী, জনসংখ্যা মানেই সম্পদ। কেননা, বিদেশে বাংলাদেশের আদমের (পড়ুনঃ সম্পদের) ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশেই গৃহভৃত্য, হোটেলের বয়, বাগানের মালি, রাস্তাঘাটের ক্লিনার, পাম বাগানের কর্মী সহ এই জাতীয় কাজের অফুরন্তন সুযোগ আছে।

আমাদের সম্পদ যদি ৩০ কোটি হত তাহলে কি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা (যাহা রেমিট্যান্স নামে ব্যাপক খ্যাতি অর্জনে করেছে ) আসতে পারত তা কি কেউ এক বার ভেবে দেখেছেন?

বিদেশে আমাদের যে সব সম্পদরা থাকে তারা যে কি মহাসুখে থাকে ভাবলেই মনপ্রাণ আনন্দে ভরে উঠে। ছোট্ট একটি কামরায় ২০/২৫ জন ঘুমায়! অনেক মজা তো। আসলে আমরা সমাজবদ্ধ জীব তো। তাই এক রুমে ২০/২৫ জন ছাড়া আমাদের আনন্দ লাগে না। আমরা চাই প্রকৃত ও প্রাকৃতিক আনন্দ। নির্ভেজাল আনন্দ। সেটা তো তারা পাচ্ছে।

অন্য কোন দেশের মানুষ এতো আনন্দে নেই। সাগর মহাসাগর নৌকায় পারি দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে কেস-টেস করে যে সম্পদগুলো কার্ড নিয়ে আছে তাদের অবস্থা দেখলেও অনেকেরই আনন্দ লাগবে। তারা পাঠায় পাউন্ড - ইউরো-ফ্রাংক।


আমাদের সম্পদগুলো মাঝে মাঝে বিদেশের জেলখানাগুলোও দেখে আসে। বিদেশে গেলে সেখানকার সব দেখা দরকার। জেলখানাটাই বা আবার বাকি থাকবে কেন? তা ছাড়া জেলখানায় কত কিসিমের খাবার-দাবার বিনা পয়সায় খাওয়া যায়!

অধিক জনসম্পদ দেশেও অনেক কাজ দেয়।

আমাদের গ্রামের মফিজ মিয়ার ৫ টি ছেলে ( পড়ুনঃ সম্পদ) । তার ৫টি সম্পদ যেন ৫টি তরতাজা টাকার গাছ। কি যে বড় লোক মফিজ মিয়া!কেউ কেউ তাকে সাংঘাতিক রকম হিংসা করে।

আর করবেই বা না কেন? মফিজ মিয়া নিজেই বলেছে, তার ৫টা ছেলে যেন ৫ টা টাকা বানানোর মেশিন! সকালে ৫টা ছেলে ৫টা রিক্সা নিয়েও যদি বের হয় সন্ধ্যাবেলা ৫ ছেলে যদি জনপ্রতি ৫০০ টাকা করেও আনে তাহলে ২,৫০০ টাকা আয়! ভাবা যায়! না কেউ কোন কালে ভেবেছিল!?

মফিজ মিয়া অনেক জ্ঞানীগুণী একজন পিতা। আমি চাই, তার মতো বাংলাদেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যত বাবারা জ্ঞানী হোক। কমপক্ষে ৫ টা ছেলে পয়দা করুক। ঘরে ঘরে যদি প্রতি সন্ধ্যায় ২,৫০০ টাকা করে আসে তাহলে দেশের দৈনিক ইনকাম কত হবে ভাবতে পারেন! দেশ চলে যাবে অধিক আয়ের দেশের কাতারে। নিম্ন আয়ের দেশের কাতারে আর নয়!

আমাদের এলাকার মাদ্রাসার রহমান হুজুর, বলেছেন,- মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দিবেন তিনি।

অনেক খাটি একটি কথা । আমাদের দেশের মাটির মতো তার কথাও অনেক খাটি। অথচ আমাদের মধ্যে অনেক নাদান, নালায়েক, নাখান্দা লোক এই খাঁটি কথাটা কেন যে স্বীকার করতেই চায় না। এই যে, ১৯৭১ সালে সাড়ে ৭ কোটি সম্পদ থেকে ৩০ লাখ শহীদ হয়ে ৭ কোটি ২০ লাখ ছিল । তখন কত কম সম্পদ ছিল ।আর এখণ আমাদের সাড়ে ১৬ কোটি সম্পদ ।

এখন কি যিনি মুখ দিয়েছেন তিনি আমাদেরকে আহার দিচ্ছেন না! যখন আমাদের সম্পদ ৩০ কোটিতে দাঁড়াবে তখনও তিনি আমাদেরকে আহারে আহারে ভরিয়ে দিবেন। কোথায় থেকে যে আহার আসবে কেউ বুঝতেও পারবে না। রিজিক তো দিবেন আল রাজ্জাক। তিনি সবার চেয়ে ভালো বুঝেন ও জানেন। আমাদের কারোই উচিত নয় রিজিক নিয়ে অহতেুন চিন্তা করা। রাজ্জাক সেই দায়িত্ব নিয়েছে। তিনি নিখুঁতভাবে তার দায়িত্ব পালন করে যান। নাদান মানুষ সেটা বুঝতে চায় না।

দেশে সম্পদ আসছে, আসবে। সম্পদে সম্পদে ভরে যাবে সারা দেশ। তখন মধ্যপ্রাচ্য সহ সারা পৃথিবীতে থাকবে আমাদের গৃহভৃত্য, মালি, চাকর, বাকর সব.....। বস্তায় বস্তায় আসবে ডলার, দিনার, রিয়াল, পাউন্ড, ইউরো..! ভাবতে আমার কি যে ভাল লাগে! কত যে আরাম লাগে শুনতে!

তাই আজকের নবীন দম্পতি যারা তাদের কাছে আমার ব্যাকুল ও আকুল আবেদন , প্লিজ প্লিজ, দেশের সম্পদ বৃদ্ধি করুন। ২০৪১ সালের মধ্যে যে করেই হোক আমাদের সম্পদ ৩০ কোটিতে নিতে হবে। জাতি আপনাদের কাছে বিরাট গঠনমূলক ভূমিকা আশা করতেই পারে। মনে রাখতে হবে, এক এক টি মানুষ যেন এক একটি টাকার বস্তা!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৫
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খালেদা জিয়ার মৃত্যু রাজনীতির মাঠে বিরাট শূন্যতা

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৯

 
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়া এক উল্লেখযোগ্য চরিত্র। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির টালমাটাল পরিস্থিতিতে তিনি দলটির হাল ধরেন। সেনানিবাসে গড়ে উঠা দলটাকে রাজপথে বেড়ে উঠতে গৃহবধূ থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

"তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।"

লিখেছেন এমএলজি, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৩০

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।" বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় এ কাজটি করা হয়নি বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যাচ্ছে।

বিষয়টি সত্য কিনা তা তদন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

ইয়াতিমদের সাথে ইফতার অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া, ছবি https://www.risingbd.com/ থেকে সংগৃহিত।

তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রীও তিনি। তাকেই তার বৈধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বছরশেষের ভাবনা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮


এসএসসি পাস করে তখন একাদশ শ্রেণিতে উঠেছি। সেই সময়ে, এখন গাজায় যেমন ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে, তখন বসনিয়া নামে ইউরোপের ছোট একটা দেশে এরকম এক গণহত্যা চলছিল। গাজার গণহত্যার সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

উৎসর্গ : জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮



খিচুড়ি

হাঁস ছিল, সজারু, (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেল “হাঁসজারু” কেমনে তা জানি না।
বক কহে কচ্ছপে—“বাহবা কি ফুর্তি!
অতি খাসা আমাদের বকচ্ছপ মূর্তি।”
টিয়ামুখো গিরগিটি মনে ভারি শঙ্কা—
পোকা ছেড়ে শেষে কিগো খাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×