সংসার চালানো রাষ্ট্র চালানোর চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
*************************
মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন, কিন্তু দারুণভাবে সংসারের কাছে বন্দী। পৃথিবীতে সংসার বা পরিবারের চেয়ে বড় কোনো শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান আছে কিনা আমার জানা নেই। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত এটাই হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।
পরিবারই হচ্ছে একজন মানুষের স্বপ্ন, বেঁচে থাকার অবলম্বন এবং তার অস্তিত্ব।
সংসার চালানো বা পরিচালনা করা অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। বাংলাদেশে শতকরা হিসেবে ধরতে গেলে আমার মনে হয় ৬০ থেকে ৭০% মানুষ পরিবার পরিচালনায় হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন। সারাদিন ঘর ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও সংসারে সবার মুখে হাসি ফুটাতে পারছেন না। বেশির ভাগ চাহিদা বা স্বপ্নগুলোই থেকে যাচ্ছে অপূর্ণতায় অধরা।
প্রতিষ্ঠান কাঠামোর দিক দিয়ে চিন্তা করলে একটি সরকারের কাঠামোর সাথে একটি পরিবারের কাঠামোর অনেকটাই মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
রাষ্ট্র পরিচালনা করেন মূলত প্রধানমন্ত্রী। একইভাবে সংসার পরিচালনা করার দায়িত্ব বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাবার উপরে পরে। কোন কোন ক্ষেত্রে সংসারের হালটি শক্ত হতে ধরতে হয় মাকে।
একটি সংসার চালানোর জন্য একজন বাবা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তার মেধা, মনন ও শারীরিক শক্তি ব্যবহার করে কঠোর পরিশ্রম করে চলেন সংসার থেকে সুন্দরভাবে চালিয়ে নেয়ার জন্য।
রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। একটি রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীও অনুরূপভাবে চেষ্টা করে থাকেন তার দেশটাকে সুন্দরভাবে চালিয়ে নেওয়ার জন্য।
সরকার ব্যবস্থার সাথে সংসার ব্যবস্থার একটি প্রধান পার্থক্য হচ্ছে, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বটি নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রের অসংখ্য মানুষ উদগ্রীব হয়ে থাকে । তারা এই দায়িত্ব নেয়ার জন্য হরতাল, ধর্ম-ঘটসহ নানাবিধ আন্দোলনের কর্মসূচি ও চালিয়ে যায় ।পক্ষান্তরে একটি সংসারের দায়িত্ব সহজে কেউ নিতে চায় না। একজন বাবাকে যৌবনকাল থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেই দায়িত্বটা কলুর বলদের মতো পালন করে যেতেই হয় ।
এই দায়িত্ব যে কত কঠিন এক জন বাবা অথবা তাঁর স্থানে যিনি থাকেন তিনি জানেন।
সংসার পরিচালনা করতে দারুন ভাবে ব্যর্থ হয়ে সিদ্ধার্থ সংসার ত্যাগ করে বনে চলে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে কঠোর সাধনায় সিদ্ধি লাভ করে তিনি হয়েছিলেন ভগবান বুদ্ধ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



