দেশের বাইরে থাকার অভিজ্ঞতা আমার খুব বেশী দিনের নয় । শ্রীলঙ্কায় ছিলাম প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর। আর মালয়েশিয়াতেও প্রায় নয় । মহাকালের হিসাবে এই সময়টা নগণ্য হলেও আমাদের ক্ষুদ্র মানব জীবনের জন্য এটা বিশাল একটা সময় তো বটেই।
যখন শ্রীলঙ্কায় ছিলাম- দেখতাম সেখানকার মানুষের মরিচের ঝালের ব্যাপারে দারুণ আগ্রহ। প্রচুর মরিচ না হলে তাদের চলেই না।তরিতরকারিতে নারকেল আর বেশী বেশী লঙ্কা ব্যবহার করা শ্রীলঙ্কানদের সহজাত অভ্যাস। প্রতিদিনের তরকারিতে তাদের নারকেল থাকা চাই-ই চাই। আর সেই সাথে প্রচুর লঙ্কা।
অন্যদিকে, মালয়েশিয়ার মানুষ তো ভয়াবহ চিনিপ্রেমী । মালয়েশিয়াতে মরিচ আর নারকেলের প্রতি অত দুর্বলতা না থাকলেও চিনির প্রতি এদের মহব্বত অতি মাত্রায়। এরা বেঁচে আছে মনে হয় চিনি আছে বলেই। এরা এমন কোন খাবার নেই যাতে চিনি ব্যবহার করে না । ভাজি, মুরগীর ঝোল, গরুর রেজালা যাই তারা রাধবে সেখানে প্রচুর পরিমাণ চিনি তারা দেবেই। এই কারণে এই দেশে স্থূলকায় মানুষ আছে অনেক।
এতো বেশী চিনি দেয় যে এদের চা খেলে পাগল হয়ে যাবার যোগাড়। এরা তরকারিতে চিনি দেয়। মাছে চিনি দেয়। মুরগীতে চিনি দেয়। গরুতে চিনি দেয়। চিনি ছাড়া খাবার এরা মনে হয় ভাবতেই পারে না। আফসোস!
ভাগ্যিস এটা বাংলাদেশ নয়। নইলে চিনির দাম হু হু করে বাড়িয়ে দিত ব্যবসায়ীরা । এখানে চিনির দাম সব সময়ই স্থিতিশীল থাকে। আমি যত দিন ছিলাম তখন কোন বছরেই চিনির দাম খুব একটা বাড়েনি। মাঝ মধ্যেদু 'চার সেন্ট বেড়েছে বটে তবে সেটা ধরার মধ্যে পড়ে না।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬