মাঝে মাঝে পড়ন্ত বিকেলের অবসরে মনটা শৈশবে
ফিরে যায়।
অনুভুতিটা আসলেই অদ্ভুত।
সেই বহু বছর আগের স্মৃতি গুলো চোখের সামনে জ্বল জ্বল
করে ভেসে উঠে।
সবাই জীবনটাকে অনেক বড় বলে কিন্তু আমার কাছে
মানুষের জীবনটা অনেক ছোট লাগে।
মনে হয় এইতো সেদিন নির্দ্বিধায় নাংটো হয়ে পুকুরে
ঝাপ দিতাম বাবার বাপি ডাক শুনে ভয়ে পালিয়ে
দেয়াল টপকে বাড়ি ফেরা তারপর মা নিজ হাতে শার্ট
প্যান্ট খুলে দিলো।
মনে হয় এইতো সেদিন প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার আগে
বাবাকে খোঁজা।স্কুল ড্রেসে দেখেই বাবা হাসি মুখে
পকেট থেকে টাকা বের করে দিলো।
মনে হয় এইতো সেদিন দুপুরে বাবা ঘুমিয়ে গেলে পা
টিপে টিপে ব্যাট-বল বের করে সেকি দৌঁড়।কখনো
কখনো বাবার সাথে ঘুমিয়ে পড়া,তারপর ঘুম ভাঙ্গলে
দেখি বাবা নেই তখন নিরুপায় হয়ে মার গলা ধরে টাকার
পরিমান বাড়িয়ে কান্নার নিখুঁত অভিনয় করা।
মনে হয় এইতো সেদিন সকাল হলেই চকচকা কাঁসার বাটি
নিয়ে রসগোল্লার জন্য মিষ্টির দোকানে ছুটে যাওয়া
তারপর একটা একটা করে মার হাতের গরম রুটি রসে
চুবিয়ে খাওয়া।
মনে হয় এইতো সেদিন পরীক্ষার আগে মুখের সামনে
নানান লোভের টোপ ঝুলিয়ে রাখা,পড়ার জন্য আমাকে
ভোরে তুলে দিয়ে আমার সাথে মার অযথাই বসে থাকা।
বহু বছর আগের এরকম হাজারো স্মৃতি মুহুর্তেই ঝলসে উঠে
যান্ত্রিক শহরের জানালার শেষ বিকেলের রোদে।
https://m.facebook.com/shuvo.bhoumik.5