স্মৃতির পাতা থেকে-নটরডেম কলেজ (অম্লমধুর নানা অভিজ্ঞতা).........পর্ব ৫ (আমার হৃদয়ে ঝড় তোলা টিনা ম্যাডামের কথা)
(লেখাটা আগেই পোস্ট করা হয়েছিল, কিন্তু ৫ মিনিট পর দেখি একদম গায়েব, মডুরাও কোন ম্যাসেজ দেয় নাই। হঠাৎ দেখি আবার লেখাটা ফিরে এসেছে! "বাগ" হলেও হতে পারে।)
আগেই বলে রাখি এই ঘটনার সময়কাল ২০০০-২০০২। বর্তমানের সাথে মেলাতে চাইলে নিজ দ্বায়িত্বে মেলাবেন। আমার পরের ব্যাচের ভাইয়েরাই এসম্পর্কে ভাল বলতে পারবেন এখন কলেজের কি অবস্থা।
এর আগের পর্ব গুলোতে বিভিন্ন স্মৃতি ও কলেজের বিভিন্ন শিক্ষকদের সম্পর্কে বলেছিলাম। আজ বলব নটরডেমের কিছু অন্ধকার দিকের কথা।
নটরডেম কলেজে ভর্তি হবার পর ১ম বর্ষে “হিসাব বিজ্ঞান” ক্লাস নিতে আসলেন ফাদার বিমল। তার সদা হাস্যজ্জ্বল মুখ ও টেনে টেনে কথা বলার স্টাইল দেখে আমাদের সবার তাকে ভালো লেগে গেল। একদিন আমাদের এক ক্লাসমেটের বাবা মারা যাবার কথা শুনে তিনি সবাইকে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করতে বললেন। উনি টেনে টেনে সুর করে বললেন “হে ইশ্বর, তার বাবার আত্মাকে শান্তি দিন, আমিন” উনি একজন “ফাদার”, অর্থাৎ তিনি জীবনে বিয়ে করতে পারবেন না। একবার কথা প্রসঙ্গে উনি বলেছিলেন, “তোমরা তো ভবিষ্যতে সংসারী হবে, কিন্তু আমাদের তো সে সুযোগ নেই। আমরা সারা জীবন ইশ্বরের সেবা করব।“ শুনে আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল। আমি ভাবলাম কত মহান ব্যাক্তি!! ইশ্বরের সেবায় সারা জীবন দিয়ে দেবে? তাকে অনেক মহান মনে হলো। এরকম মহান ব্যাক্তিকে পেয়ে আমরা অনেকে গর্ববোধ করলাম।
একবার ক্লাসে উনি ১০ টি জাবেদা লেনদেন লিখতে দেন। আমার সবগুলি ঠিক হওয়ায় আমাকে খাতায় Good লিখে দেন। যদিও কিছুদিন পর বুঝতে পারি ইনার পড়ানোর মান মোটেও ভাল নয়। এর পরই আমি শীতল স্যারের কাছে ব্যাচে পড়তে শুরু করি। তবে তাকে ফাদার হিসেবে অনেক সন্মান করতাম। একদিন দেখলাম তিনি এলেননা। তার পরিবর্তে এলেন কলেজের সেক্রেটারি ও হিসাব রক্ষক “মিঃ অতুল ডি রোজারিও”। উনাকে জিজ্ঞেস করাতে বললেন উনি ক্লাস নিবেননা। ক্লাব-ডে’র দিন জেমস এর কনসার্টে নাচানাচির এক পর্যায়ে তাকে দেখতে পাই। আমরা হাত নাড়তেই উনি মিষ্টি হেসে হাত নেড়ে জবাব দিলেন। কিন্তু কিছুদিন পরে এক ভয়ঙ্কর কুৎসিত কথা শুনলাম। শুনলাম যে, ফাদার বিমল মার্টিন হলের এক
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



