somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্টে মরিয়া জামায়াত-শিবির

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বর্তমান বিশ্বে শান্তি বিনষ্টকারীর অপর নাম সন্ত্রাসবাদ। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে হামলার পর সন্ত্রাসবাদ তথা ‘টেরোরিজম’ শব্দটি আলোচনায় আসে। সেই হামলার জন্য আমেরিকা আল-কায়েদাকে দায়ী করে, আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালে পাকিস্তানের এবোটাবাদে পাকড়াও করে হামলার প্রতিশোধ নিয়েছে। এরপর আল-কায়েদার নেতৃত্বে পালাবদল ঘটলেও তেমন সুবিধে করতে পারেনি। ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু না, নতুন করে বিশ্বে শান্তি বিনষ্টকারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটস তথা আইএস-এর নাম। সিরিয়া ও ইরাকের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে প্রায়ই আইএস-এর সশস্ত্র যুদ্ধের সংবাদ পাওয়া যায়। খবর পাওয়া যায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলে নেওয়ার। আইএস-এর আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষ মারার সংবাদ আমরা প্রায়ই মিডিয়াতে দেখতে পাই। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সারাবিশ্ব যখন অস্থিতিশীলতা আর অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় দিনানিপাত করছে ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে উন্নত বিশ্বের অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে। যে বাংলাদেশ ছিল একসময় তলাবিহীন ঝুড়ি, সেই বাংলাদেশের জিডিপি এখন ঈর্ষণীয় গতিতে বাড়ছে। অতীতে বছরের একটা সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষ মঙ্গার কবলে পড়ত, কিন্তু এখন আর কাউকে খাবার কষ্ট করতে হয় না বরং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর বিপদের সময় আমরা সাহায্যের হাত বাড়াতে পারছি। নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আক্রান্ত মানুষের সাহায্যের লক্ষ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল দেওয়া হয়েছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার, দুর্ঘটনা কমাতে ৪ লেন মহাসড়ক, যাতায়াত সুবিধা বাড়াতে নতুন ট্রেন, ব্রিজ, কালভার্ট, দুর্নীতিতে ও সন্ত্রাসবাদে জিরো টলারেন্স, প্রযুক্তিখাতে ব্যাপক উন্নয়নে আইটি পার্ক, সমুদ্র বিজয়, ছিট মহল বিনিময়, শিক্ষাখাতে বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দ, বিদ্যুৎ খাতে সর্বোচ্চ উত্পাদন, রপ্তানিমুখী শিল্প বিকাশে সহযোগিতা, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, চিকিত্সা ব্যবস্থার উন্নয়ন, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি, নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ পরিকল্পনা, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ প্রায় সবক্ষেত্রেই অবিস্মরণীয় অবদান রেখে চলেছে গণতন্ত্রের মানসকন্যা, উন্নয়ন নেত্রী, মুজিব তনয়া দক্ষিণ এশিয়ার সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। বর্তমান বিশ্বের এক বিস্ময়ের নাম শেখ হাসিনা। আলোর বিপরীতে যেমন অন্ধকার, তেমনি সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্যও অনেকের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে একটি মহল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সরকারকে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে ব্যর্থ প্রমাণ করার জন্য গুপ্তহত্যা তথা জঙ্গিবাদিতা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হত্যাকাণ্ড ঘটানোর মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে সারাবিশ্বের কাছে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করা। আওয়ামী লীগ সরকারকে হেয় করা। এ দেশ হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবার। তাই তো মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন দেশটিকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়ে একটি চমত্কার সংবিধান দেশবাসীকে উপহার দিয়েছিলেন। আর এ দেশে জঙ্গিবাদের কথা যদি বলা হয় তাহলে আমাদের মনে পড়ে যায় ২০০১-০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুঃশাসনের কথা। বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান, আতাউল হক সানি, মুফতি হান্নানরা যেভাবে সমগ্র বাংলাদেশে বোমাবাজি করেছে, স্বাধীনতার ৪৫ বছরে এমন দুঃসময় বাংলার ইতিহাসে আর একবারও আসেনি। বিএনপি-জামায়াতের সমর্থন ছিল বলেই তত্কালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকবার আক্রমণ চালানো হয়েছে। সে সব কথা মানুষ ভুলে যায়নি। প্রতিনিয়ত তারা এখনও আরেকটি ১৫ আগস্ট সৃষ্টিতেই ব্যস্ত থাকে। বাংলাদেশে যখনই কোন হত্যাকাণ্ড ঘটে তখনই পশ্চিমা বিশ্ব দাবি করে এগুলোর জন্য ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস দায় স্বীকার করেছে। তবে এখন পর্যন্ত তারা নিশ্চিত কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। বাংলাদেশে আইএস-এর উপস্থিতির দাবি করা সম্পূর্ণ যুক্তিহীন। যেদেশে জামায়াতে ইসলামীর মত যুদ্ধাপরাধী সংগঠন রয়েছে সেখানে আবার নতুন করে আইএস-এর দরকার আছে কি? সন্দেহাতীতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ক্যাডারাই বিভিন্ন নাম নিয়ে সারাদেশে গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে। সম্প্রতি ধৃত তথাকথিত জঙ্গিরাই এর বড় প্রমাণ। মূলত সরকারকে বিব্রত করতেই ঠাণ্ডা মাথায় মানুষ হত্যায় মেতেছে বিএনপির ইন্ধনে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা। এরা দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্টে মরিয়া – এদেরকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করতেই হবে।

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০২
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×