বিস্তর জরুরী কাজ সারা হলে
আমরা একটি দিনের দরজায়
তালা লাগিয়ে চাবিটি ছুঁড়ে দিয়েছিলাম-
নিস্কম্প তিমিরে, প্রতিদিনের মত ।
নৈশভোজ শেষ হলে
ঠিক যেভাবে ছুঁড়ে ফেলি উচ্ছিষ্ঠ।
আলোগুলো একে একে -
নিভিয়ে দিয়েছিলাম,
কী দরকার জ্বেলে রাখার?
কে না জানে -
কী থাকবে আর- কী নিভে যাবে,
কী নিক্ষিপ্ত হবে আর -
কী তুলে রাখা হবে সোনার কৌটোয়-
সবই নির্ধারন করে-
অমোঘ ‘প্রয়োজন’ ।
প্রয়োজন - তোমার, আমার না সময়ের
স্পষ্ট করে বোঝা মুশকিল যদিও।
তোমার স্খলিত কন্ঠস্বর তখনও
বাতাসের দোলনায় ভেসেছিল-
কেননা-
আমার শ্রুতি প্রস্তুত হতে
আরও কিছুটা সময় চেয়েছিল।
সময় চেয়েছিল অভ্যস্ত শব্দাবলীর
বাইরে এসে দাঁড়িয়ে -
একটা জোর নি:শ্বাস নিয়ে
ফের ফিরে যেতে নিপুন শব্দমালায়।
যেমন পরবর্তী ডুব সাঁতারের আগে
দম নিয়ে নেয় পানকৌড়ি।
আমার ওষ্ঠ, আমার ঘ্রাণেন্দ্রীয়
আমার দৃষ্টি, আমার করতল,
আমার বৃন্ত, আমার নাভীমূল
প্রত্যেকেই কিছুটা সময় চেয়েছিল ।
সময় চেয়েছিল তৈরী হয়ে নিতে -
দগ্ধ কবিতাগুলো পাজরে লুকিয়ে
অপ্রয়োজনের অতল শূন্যতায়
নিক্ষিপ্ত হবার অমোঘ মুহূর্তে ।
-------------------------
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:১৯