শংকিত রাতের পর দ্বিধান্বিত আলো ফুটছে,
বারুদের গন্ধে ধুঁকছে প্রার্থনারত ভোরের বাতাস ।
ধুলায়, ধোঁয়ায় সূর্য অনেকটা ম্লান-
নাকি অক্ষম বেদনায়?
হামাগুডি দেওয়া শিশুটি ,
আলো ফোঁটার আগে ডানায় ঢেউ তোলা পাখিটি,
স্বপ্নের সুতোয় ঘুড়ি উড়িয়ে-
মুক্ত আকাশ খোঁজা কিশোর,
তারুন্যে টগবগে যুবা
ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়েছে সবাই-
স্তুপিকৃত চিৎকারও পড়ে আছে পাশেই।
কে কার জন্যে কাঁদছে?
কেউ কি আদৌ কাঁদে কারো জন্যে?
আর্তচিৎকারগুলোও ক্রমশ: নিস্পেষিত
নতুন জন্ম নেওয়া আর্তচিৎকারের নীচে।
তবুও ধুসরিত মধ্যাহ্নভোজের টেবিল ঘিরে
ওরা কয়েকজন- ইয়াদ সালেহ,
তাঁর অন্ত:স্বত্ত্বা স্ত্রী, ভাই
ফুটফুটে তিনবছরের প্রজাপতি কন্যাটি-
সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতার অশ্রু নিবেদন শেষে-
শুকনো রুটিতে কামড় বসানোর আগেই
কামড়ে ধরে বিভ্ৎস্যতম দানব
খুবলে ছিন্নভিন্ন করে ছুঁড়ে দেয় সভ্যতার
নির্লজ্জ আঙিনায় -
এ আঙিনা তবে কার জন্যে সাজানো হচ্ছে?
ওদিকে যারা নির্মাণ করছে অনবদ্য কবিতা,
চলচ্চিত্র, প্রযুক্তি, মঙ্গল-অভিযান
তারা কি তবে হৃদয়হীন বিকলাঙ্গ, নপুংশক ?
বর্বরতার জঠরে জমে ওঠা বিভৎস্যতম মৃত্যু
কি কেবল মহত শিল্পের প্রেরণা? রাজনীতি?
মানুষ! মানবতা!
এসব তবে কী? জীবন?
জীবন কি কেবলই
সস্তায় বিকানো এক পণ্য?
———
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:২৭