এক ) শ্রেয়তর দলের বিরুদ্ধে লড়বে বাংলাদেশ। ফলে থাকবেনা বাড়তি
কোন চাপ । এই হালকা মেজাজে তারা লড়বে প্রচন্ড চাপে থাকা ভারতের
বিরুদ্ধে। এটা দারুন একটি এডভেন্টেজ । যেটির পরিণতি হতে পারে
বাংলাদেশ দলের জয়লাভ ।
দুই) বাংলাদেশের আছে দ্রুত উইকেট ফেলার রেকর্ড। প্রায় প্রতিটি ম্যাচে
টাইগাররা প্রথম দশ ওভারের মধ্যে উইকেটের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে।
আাগামীদিনটিও এর ব্যতিক্রম হবে না ।
তিন) শেষ দশ ওভারে বাংলাদেশ ৯.৩৮ হারে রান দিয়েছে ।দলে রয়েছেন
রুবেল হুসেন এর মত ফাস্ট বোলার যিনি পুরোনো বলে রিভার্স সুইং
করাতে অভ্যস্ত। আরো আছেন দলনায়ক মাশরাফি যিনি অতীতে
ভারতকে ধরাশায়ী করেছেন তার ধারালো বোলিং দিয়ে। শেষ দিকে
রুবেল আর মাশরাফির সুনিয়ন্ত্রিত বোলিং থামিয়ে দিতে পারে রানের
চাকা ।তাশকিন ভাল বোলিং করছেন । নাসির সাব্বিরও জ্বলে ওঠছেন
প্রয়োজনে । বোলিং বিবেচনায় বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখবো সামি এন্ড
কোং এর তুলনায় ।
চার) ভারতের বোলারদের করা শর্ট লেন্থ বোল গুলি ভালভাবেই
মোকাবেলা করতে সক্ষম বাংলাদেশের বোলাররা ।ভারতের শাদামাটা
বোলিং এর বিরুদ্ধে মুশফিকরা চার ছক্কার বন্যা বইয়ে দিলে অবাক হবো
না ।
পাঁচ) টাইগারদের এতটুকু মনে রাখলেই হবে যে তারা ভারতের বিপক্ষে
খেলছে ।আর সবসময় ভারতের বিরুদ্ধে তারা চমৎকার খেলে থাকেন ।
এই চমৎকার খেলার মিথ টাইগারদের ভাল খেলতে উৎসাহিত করবে ।
বিরাট কোহলিকে বিরাট কোন ইনিংস খেলতে দেয়া যাবেনা । আর
অণ্পতেই থামিয়ে দিতে হবে মহেন্দ্র সিং ধোনীকে । মোহাম্মদ সামীকে
কঠিন মনোসংযোগের সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে বাংলাদেশের
টাইগারদের।
আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২৮০ রানের টার্গেট দিতে পারলে আর পরে
ব্যাটিং হলে ভারতের ইনিংস ২৫০ এ বেঁধে রাখতে পারলে বাংলাদেশ দলের
সম্ভাবনা বেড়ে যাবে অনেক খানি ।
তিনটি পদক্ষেপ !! সুনিয়ন্ত্রিত বোলিং ,দূর্দান্ত ব্যাটিং আর পরিশ্রমী ফিল্ডিং
সেমি ফাইনালে নিয়ে যেতে পারে টাইগারদের। সারা পৃথিবীতে যুদ্ধ করে
স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা দেশ হলো বাংলাদেশ । তাই মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে
প্রেরণা নিতে পারেন টাইগাররা । বীরের জাতীরা জিতে যাবে এটাই তো
স্বাভাবিক । আর দেশের ষোল কোটি ক্রিকেট পাগল লালসবুজের পতকায়
প্রার্থনারত থাকবেন টাইগারেদের বিজয়ের জন্য। আর কয়দিন বাদেই তো
মহান স্বাধীনতা দিবস !
এবার কবিতার মত হয়ে যাক :-
কাট হুক পুল আরও যত নান্দনিক মার
দূর্দান্ত রানিং বিটুইন দা উইকেট কিংবা চোখ ধাধানো চার
সবুজ জমিনে চুমে চুমে মাটি কামড়ানো শট
বিজয়ের পতাকা জানি উড়বে পতপত ।
কিংবা ভেসে যাবে বল নীল আকাশে —দেখবো মুগ্ধ নয়নে চেয়ে—
বাতাসে ভেসে ভেসে বল হয়ে যাবে সীমানা পার
বোলারস ব্যাকড্রাইভ কিংবা কভার
দূর্দান্ত সুইপ শটে হাটু গেড়ে বসে আবার।
অথবা সামনের পা বাড়িয়ে
কখনোবা এগিয়ে এসে
সাধের উইলো যাবে হেসে।
রানের চাকা ঘুরবে বাইশগজ জমিনে
যদি আসে বা্উন্সার- সুকৌশলে খেলা হবে
যদি আসে ইয়র্কার ডিফেনসিভ শট হবে।
উইকেটে টিকে থাকলে জানি রান হয়ে যাবে।
ব্যাটে বলে আমাদের ভালবাসা
বিজয়ীর বেশে রয়ে যাবে- চির ভাস্মর হয়ে যাবে
এমসিজির মনোরম গ্রাউন্ডে টাইগারদের এই বিচরণ
এভাবেই চলবে এভাবেই প্রতিক্ষণ
দূর্দান্ত সব শটে বল সীমানা পেরিয়ে
বাংলাদেশ টাইগার ভারতকে হারিয়ে ।
ছবি-নেট ।