হে কবি! হে গুরুজন!!
আমি বাকরুদ্ধ— তোমার মরণ বার্তা শ্রবণে,
তখন আমিও লড়ছি মৃত্যুর সাথে— বেঁচে থাকার প্রয়াসে
পরাজয় সুনিশ্চিৎ জেনেও—কারণ মৃত্যুতো অবশ্যম্ভাবি,
আজ নয় তো কাল হবেই—মৃত্যুর হাতাছানি সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে
প্রতিটি জীবনে—আমাদের এই বেঁচে থাকাতো সাময়িক;
মৃত্যুই ধ্রুব। মনে আছে সেই তখন আপনার উপস্থিতি এই প্রেমিক হৃদয়ে
স্বান্তনার বাণী আপনারই অগোচরে, আমি তখন শিখছি আপনাদের কাছ থেকে
আপনার থেকে কবিতা লেখার ব্যাকরণ—কারণ ভাঙিতে হবে মনের চাবি তাঁর;
আমারই প্রিয়তমার। সে তো জানতো না হায় কতটা উত্তাপে ইস্পাত বিগলিত হয়!
কতটা প্রেমে একজন মানুষ প্রিয়তমার কাছে পুষ্পকোমল হয়!!
তাই নিয়েছিনু কলম তুলে হাতে— আপনাদের কাছ থেকে দীক্ষা নিয়ে
হে কবি! তুমি যেন বটবৃক্ষের আশ্রয় তাই আমার চিরন্তন প্রেমে অনেকটা অজান্তেই
আপনার উপস্থিতি তাই যেন প্রেমস্মৃতি মন্থন— আমারি জীবনে
যদিও আমাদের সাক্ষাৎ অল্প সময়ের
আমাদের কথা কবিতা ছন্দ মাত্রায় বাংলা বর্ণমালায়
প্রিয়জনের তালিকায় তুমি ছিলে— আজও আছো
তুমি আমার কবিতায় প্রেমে নিরবে— আজও বাঁচো
হায় হলো না শেষ দেখা— আপনার মরণের আগে
ইচ্ছে ছিল খুব তবু হলো না হলো না
সবকিছু হায় হয় না ক্ষণিকের জীবনে—এতটুকু স্বান্তনা শুধু
তুমিতো আজও বেঁচে আছো— আমাদের দু’জনার প্রেমে..
মনের চাবি ভাঙবো— প্রিয়ংবদার হৃদয় জয় করে
তাঁরে কাছে আনবো—রাখবো সাথে চিরদিন;
আপনিও থাকবেন কবি সাথে— স্মৃতির অ্যালবামে স্বর্ণাক্ষরে নিরবে
সে কাব্যিক ভ্রমনে;
অপরাজিতা ফুল হয়ে শ্রদ্ধায়—জানিগো কবি কবিরা হারে না
কবিরা অমর কবিতায় নিজ কর্মগুনে।
শ্রদ্ধাঞ্জলি হে অগ্রজ, হে প্রিয়জন, হে সদ্য প্রয়াত কবি,
স্রষ্টার কাছে আপনার বিদেহী আত্নার মাগফিরাত কামনা করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯