শারদ হাওয়া—— শারদ মেঘ
ওগো শারদ হাওয়া,
যাও ছুটে তাঁর কাছে,
হয়তো প্রিয়ার মন বেদনায় আছে
ফিরে এসোগো— তার স্পর্শ লয়ে সাথে।
শারদ মেঘ নীল আকাশে
যেন পেজা তুলার মতো ভাসে!
মেঘের কতো ঢং যেন বর্ণিল উচ্ছাসে
—নয়ন মনোহর সে যে অজস্র বিন্যাসে
সে কেমন করে! পাইনা খুঁজে তার দিশে।
ভাবি শুধু হতাম যদি শারদ মেঘ
প্রিয়ার দু’চোখ জুড়িয়ে দিতাম
হৃদয়টা তাঁর কেড়েই নিতাম
কেটে যেতো এই মনের সব উদ্বেগ।
সাদা মেঘের ফাঁকে ফাঁকে
তবুতো আকাশের নীল থাকে;
থেকে থেকে হায় মনে করিয়ে দেয়
তোমাকে কাছে না পাওয়ার বেদনাটাকে।
আকাশ থেকে ক্ষণে ক্ষণে শিশির বৃষ্টি হয়
কোমল রোদে নরম আদর যেন
—তৃষিত অবণীর বুকটা ছুঁয়ে রয় ।
আমিও না হয় একটু আদর
শারদ হাওয়ায় দিলাম মাখিয়ে,
সোনার মেয়ে, কড়ায়গন্ডায় বুঝে নিও
তোমার ঐ দু’হাত বাড়িয়ে..
মেঘের আছে রং
মেঘের আছে রং-বেরঙ রং
তা দেখে মুগ্ধ এই দুনয়ন;
চেয়ে থাকি দূর আকাশের বুকে
মেঘেরা যেখানে আনমনে ভাসে।
কোমল বারিপাত যেন শিশির কনা
তৃষিত ভূমি যেন পায়না বেদনা।
এমনি করে যেন আসমান জমিন
অপার মায়ায় খেলিতেছে প্রেমের খেলা।
এইখানে নয় ঐ—খানে
আকাশ—পানে উড়িতেছে চিল আনমনে।
বহে শারদ হাওয়া— সবুজ বৃক্ষ দোলে
একপায়ে দাঁড়িয়ে মাথা তুলে।
বৃষ্টির ঝাপটায় পাখি ডানা ঝাপটায়
আকাশের এতো রূপ সুন্দর অদ্ভুত!
শরৎ না এলে যায় না তারে বুঝা;
কাশবন সাদা কাশফুল—
কোথায় যে আছে?
দেখিতে তারে আজ এই হৃদয় ব্যাকুল ।
ছবি:জনাব এরশাদুল হক, পরিচালক, জিএসবি ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪০