এবার সেই গল্প বলা চাই
শার্টের বুক পকেটে এক টুকরো কাগজ;
ব্লেজারে পড়েছে ঢাকা
কাগজে লেখা—না বলা কথা..
সঙ্গে উপহার—দু’চোখে তোমার কাজল পড়াবার
ক্ষুদ্র একটি প্রয়াস —প্রাণেরই উচ্ছাসে,
সে গল্পতো বলো নাই।
তোমার কেটেই গেলো বেলা
রাতের আঁধারে ধ্রুবতারা চন্দ্র দেখে দেখে,
কবিতা থেকে ছন্দ নিয়ে নৃত্যের তালে
সারা গায়ে ভালোবাসার সুগন্ধ মেখে মেখে;
সেসব তো বলো নাই।
ছবিগুলোর গল্প আছে বলে
সিন্ডারিলা, আসল গল্প শিকেয় তোলে
গল্প বলার ছলে না পাওয়া পরম চাওয়ার গল্পতো বলো নাই।
একটি বুক পকেটে ছোট্ট কাগজ—কবিতা লেখা
সেটাতো পাও নাই—কাজল চোখে মেখে
হাওয়ায় উড়িয়ে শাড়ির আঁচল
কার গোপন অভিসারে মনটা তোমার ব্যাকুল!
সে কথাতো বলো নাই——এড়িয়ে গেছো জানি,
এই হৃদয়ের রানি—এবার সেই গল্প বলা চাই।
সে কী করে হয়!!
গতরাতে পাটগ্রাম টু ঢাকা যাত্রাপথে
কেউ ছিল না সাথী—কেউ কী ছিল জ্বালিয়ে আশার বাতি?
চাঁদের সাথে মেঘের খেলা যেন চলেছে সারারাতি!
ঘন কালো মেঘে থেকে থেকে যেতে ছিল চাঁদ ডুবে
ক্ষণিকসময় বাদে আবার দিতেছিল উঁকি
মেঘের আড়াল ঠেলে —মেঘ আর চাঁদের খেলায়;
তুমিও মেতে ছিলে নাকি?
নাকি ঘুমিয়েই কাটালে সারারাত!
সে কী করে হয়!!— আছে কী কোন সংশয়?
এই জীবন চলার পথে যুগ যুগ ধরে
থাকবে চিরসাথী—মনে আছে নিশ্চয়।
পাটগ্রাম টু ঢাকা সুদীর্ঘ এক পথ দিয়েছি পাড়ি গতরাতে
হলফ করে বলতে পারি
প্রিয়ংবদা মনে মনে তুমিও ছিলে সাথী।
আমার সেই সুদীর্ঘ যাত্রাপথে—ব্যর্থ মনোরথে
দুটি দেহ থাকুক যতই দূরে
আমরা তো এক প্রাণ; প্রগাঢ় বিশ্বাসে
জনম জনম ধরে..
—নিশি জেগে থাকা প্রহরী সারারাতি
ছবি ঃ নেট
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৩