আজ বৃষ্টি নামুক
আজ বৃষ্টি নামুক— স্রষ্টার আশীর্বাদ হয়ে
আজ অবণীটা শীতল হোক,
উত্তপ্ত বুকে— শীতল জল দিয়ে।
এ যেন হয় এক সৌভাগ্যময় দিন..
অশ্বিনে বৃষ্টির বড় ফোটার—বাদ্য যন্ত্র
রিমিঝিমি সংগীতে—উদাসী হাওয়ায় অযাচিত সব
হয় যেন বিলীন।—প্রহসন আজ রুদ্ধকপাট হোক;
মুক্ত বিহঙ্গ হোক —তোমার আমার প্রেম।
আজ হোক সব দুঃখ-শোক হারাবার দিন
রূপ কথার রাজ্যে হোক শোকের মিছিল
আজ হারাবে মন—প্রজপতির মত উড়ে উড়ে
দেখ শরতের কাশবন গেছে ভরে— ফুলে ফুলে
আ্জ মনময়ূরী উঠুক নেচে সোনার পেখম তুলে।
আজ সব না পাওয়া হোক— পাওয়া, না গাওয়া হোক— গাওয়া
সত্য সাধনার ব্রত নিয়ে আজ হোক শপথ নেবার দিন
দৃপ্ত অঙ্গীকারে;—হংসমিথুন তুমি আমি শুধু দু’জনায়
—যেন জনম জনম ধরে।
ডোল্লীর বিল
আমি বড়শির ছিপ ফেলে বসে থাকা চন্ডীদাস যেন
হতে পারে দূরে প্রত্যন্ত এলাকায় ডোল্লীর বিলে
যেখানে চারিদিকে শুধু শনশান নিরবতা
এখানে কেবল মাছেদের ঝাঁক—পাতি হাঁসের দল
জলে ভেসে থাকা সাদা শাপলা ফুল
আর মনে ভেসে থাকা — তোমাকে ঘিরে স্মৃতির পাখিরা ফুলেরা
যেন মাছ নয়— তোমার অপেক্ষায় বসে আছি
কতকাল ধরে নির্জনে; প্রাণের আকূতি তুমিওতো
আসিতে পারো মৎসকন্যা রূপে— এক ডুবে ঠিক
বড়শির ছিপ ধরে ওঠে —আমাকে চমকে দিয়ে;
কোত্থেকে উড়ে এসে এক পানকৌড়ি আমাকে
ঠিকই চমকে দেয়— আমাকে মনে করিয়ে দেয়
পদ্মাপাড়ের অবিশ্বাস্য দৃশ্য—এত সুন্দর পানকৌড়ি
আগে দেখিনি আমি—
চলার পথে সঙ্গে আমার ডায়েরি কলম থাকে,
ডোল্লীর বিলে বসে আমি কলম হাতে
কবিতা লিখতে থাকি।
পানকৌড়িটি জলের বুক ঘেষে উড়ে চলে যায়
এখানকার কালো টলোমলো জল যেন
তোমার আঁখি ছলোছল প্রাণের উচ্ছাসে—
বাতাসে জলের বুকে ঢেউ ওঠে
জানি তোমার বুকেও ওঠে—অশ্ব আমার টগবগিয়ে ছোটে
তুমি কী আজ হলে নিরুদ্দেশ —নৈশব্দের দেশে
মিনতি করি আমায় যাওনা ভালোবেসে— এইখানে এসে;
ডোল্লীর বিল আহত পল্লীর বুকে যেন তারার ঝিলিমিল;
বড্ড মিষ্টি লাগে।—দু’জনার পঁই পঁই ভালোবাসা
হয়ে যাক —এইখানে যৌবনের অনুরাগে ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩