প্রিয়তমা, তুমিই বলো—লিখবো কতো!!
চারিদিকের শব্দের ভীড়— অস্থির
সময় পরিক্রমায়;
—এখানে যেন সূর্যটাও প্রতিনিয়ত ডুবে যায়
অজানা আশংকা বুকে—আগামীর ভোরে অশুভ কি যেন হবে ভেবে
যদি ভয়াবহ কিছু হয়ে যায়!!—আবরারের মৃত্যুর মতো অসহায় বাবার স্কন্ধে;
স্ত ব্ধ বাকরুদ্ধ সন্তানহারা এক জননী।
হয়তো চাঁদটাও; শরতের আকাশে ভেসে থাকা মেঘেরাও;
স্বপ্নরা কেঁপে ওঠে ঘুম ভেঙে থেমে যায়— মাঝপথে কখনো তীরে এসে;
কখন যে থাকিবার প্রাসাদটা দেবে যায় প্রকৌশল ত্রুটিতে;
যদি কেহ মরে যায় চিকিৎসকের অবহেলায়
অথবা চালকের স্বেচ্ছাচারিতায়— সড়ক দূর্ঘটনায়,
হৃদয়টা শুধু ভেবে যায়— প্রার্থনায় স্বান্তনায়
তুমি ভালো আছো —প্রশান্তি নিয়ে বুকে;
জোর করে ভেবে নিই—তুমি ক্ষমা করে দিও
যদি অপরাধ হয়ে থাকে তাতে।
মাঝে মাঝে কেন যেন মনে হয়—তোমাকেই সযতনে রেখে দিই—এই বুকে
হৃদয়ের কোনে—ওটাই কেবল নিরাপদ আশ্রয় তোমার শ্বাপদসংকুল পৃথিবীতে;
তুমি সেথা আকন্ঠ ভালোবাসা পান করো নিভৃতে—হে আমার অনন্ত যৌবনা!
চারিদিকের শব্দের মিছিল— আমি শুধু
হাতের মুঠোয় বন্দি করি তার কয়েকটা
কুসুম কোমল যেন জুড়া কবুতর
আমার কলম যেন সে তোমার তরে প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে
অপ্রগলভতায়
সবশেষে তোমার— ঐ লালটিপ
ধ্রুবতারা হয়ে যেন জেগে থাকে তিমির আধারে আকাশে
আমি যেন দৃঢ় প্রত্যয়ী নাবিক—অনুসন্ধানি চোখে গন্তব্য যার সুনিশ্চিৎ
পৌঁছে যাবোতো স্রপ্রিয় ভূবন ভুলানো হাসি,
—কেহই পারিবে না ভুলাতে; তোমায় আমি যে বড্ড ভালবাসি।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩