হে মহানায়ক,
আপনার উদাত্ত আহবানে সাড়া দিয়ে মহান একাত্তরে
সাড়ে সাত কোটি বাঙালির মহাকাব্যিক বিজয়ে
আজও নিহিত আছে প্রেরণা— সকল বাঁধা জয়ের।
হে বঙ্গবন্ধু,
কত বসন্ত যে কেটে গেছে
তোমার আন্দোলন বিক্ষোভে রাজপথে
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মিছিলে
পাক-হানাদারের প্রিজন সেলে।
হে জাতির জনক,
স্বাধীনতার মহান স্থপতি স্বপ্নদ্রষ্টা অকূতভয় কান্ডারী তুমি
তোমারে যে সসম্ভ্রমে মোরা আজও কুর্ণিশ করি।
জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে ঐক্য গড়ে দিতে সাতই মার্চে
তোমার সেই উদাত্ত আহবান
যেন হামিলনের বাঁশি, বাঁশির ফুঁকে
বীর বাঙালির বুকে যেন নাবজাগরণ জোয়ার ওঠে।
বাঁধ ভাঙার উচ্ছ্বাসে পরাধীনতার সূযটি তাই গেল ডুবে।
হে প্রতিবাদি
তুমিই শিখিয়েছিলে আজীবন কী করে
অন্যায়ের মুখোমুখি প্রতিবাদ মুখর হতে হয়।
তুমি ভালোবেসেছিলে— সাড়ে সাত কোটি বাঙালি।
হে চিরো আত্নত্যাগী,
তোমার ধনমন্ডির বত্রিশ নম্বর বাড়ি
যেন রক্ত সরোবর পচাত্তরের পনেরই আগষ্ট
যেন কাশিমবাজারের কুঠির ষড়যন্ত্রের রোষানলে পড়ে।
বিভ্রান্ত দেশদ্রোহী হায়েনারা নির্মম জিঘাংসায় রক্তের হুলী খেলে ।
আকাশ বাতাস যেন কেঁপে ওঠে বঙ্গজননীর আর্তনাদে
শত ধিক্কার জানাই তাদের এহেন ঘৃণ্যতম অপরাধে।
হে কান্ডারী,
জাতির এই ক্রান্তিকালে তোমারেই স্মরি
শুধু তুমিই যেন পারতে ঐক্য গড়ে দিয়ে
জীবানুর এই সাড়াশি আক্রমন থেকে
বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সমুখে থেকে
প্রেরণা বিলিয়ে দিতে,
তবেই যেন সচেতনতার বর্ম পড়ে
আবারো উঠিত জেগে বীর বাঙালি
মিলন মন্ত্রগানে।
হে জাতীয় ঐক্যের নেতা,
জাতি যেন হতাশার তিমির আঁধারে নিমজ্জিত আজি
জীবাণুর বিদ্রোহে ভীষণ বৈরী প্রকৃতি।
হুমকির মুখে আজ মানব জীবন— বিপন্ন মানব সভ্যতা।
আজিকার এই দিনেও তাই তুমিই ঢের বেশি কাম্য সবার
গড়ে দিতে একতা বাঙালির জাগরণে।
হে বঙ্গবন্ধু,
প্রাণের নেতা তুমারে যে ভুলি নাই,
আজও তোমারেই স্মরি তাই— এমন ক্রান্তিকালে।
এসো হে প্রাণের নেতা এবার চেতনা প্রেরণা হয়ে
বেঁচে থাকার প্রত্যয়ে—
আমরা যেন উজ্জীবিত হয়ে রুখে দিতে পারি
সকল বৈরীতা।
বায়ান্ন,বাষট্টি ছেষট্টি উনসত্তর একাত্তর
ইতিহাসের স্বর্ণালি বর্ণালি অধ্যায়ের মত
দুই হাজার একুশও তেমনতর হোক সুদৃঢ় একতায় বাঙালীর বীরত্ব গাঁথা।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৫৪