পৃথিবীর এ উদ্দ্যেশ্যহীন জীবনে আমরা বেঁচে থাকার স্বার্থকতা অনুধাবন করতে অনেক গবেষণা করি।
কেবলমাত্র আমরা ও গুটিকয়েক মানুষ জীবনের প্রকৃত রহস্য অনুধাবন করতে পেরেছি। এই পৃথিবীতে আমরা যে কেবল একেকটা প্রাণি বৈ কিছুই নয় সেটা ৯৯.৯% মানুষই জানে না। খামোকা খামোকা খালি ইশ্বর শক্তির পূজা, অর্চনা, নামাজ, প্রার্থনা করে। কতো বোকা যে মানুষ সেটা কেউই বুঝতে চায় না।
ইশ্বর বলতে কিছু একটা যে নেই সেটায়ও কাকতালীয়ভাবে আমরা একমত না। হ্যাঁ ইশ্বর বা যেকোন একটা ফাংশনের কারণেই পৃথিবীর এ দশা লাভ করা সম্ভব হয়েছে। তবে আদতে পূজা অর্চনা করবার মতো কোন ইশ্বর থাকবার কোনই দরকার নেই। কারণ আল্লাহর জন্য এগুলোর কোনই দরকার নাই। ভগবান বলেন আর যাই বলেন তিনি আছেন।
তবে তিনি অবশ্যই আমাদের দিকে দৃষ্টি দেবার দরকার নেই। এমনকি আমরা রক্তারক্তি করে সিস্টেমেটিকলি মরে গেলেও তিনি সেগুলো জানার প্রশ্নই ওঠে না। ইশ্বর প্রতিনিয়ত ব্যস্ত আছেন সামগ্রিক মহাবিশ্বের বিশাল বিশাল বলয়, ব্লাকহোল, গ্যালাক্সির প্রতিপালনে। উনার কোনই অনুভূতি নেই তাই কোন শিশু যদি কেবল গরীব হওয়ার কারণে প্রচণ্ড শীতের রাতে রাস্তায় রাত কাটায় তাতেও উনার কোন সমস্যা হয় না।
ঠিক তেমনি ইশ্বর কোনই অনুভূতি পান না যখন কোন কোটিপতি হাজার হাজার মানুষকে পথে বসিয়ে শোষণের টাকায় ১০ তলা উপরে বসে বসে রবীন্দ্র সংগীত শুনে আর আনন্দানুভূতি গ্রহণ করে।
ইশ্বরের কোনই দরকার নেই মানুষের আইন ও শাসনব্যবস্থা নিয়ে নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করার। ইশ্বর কখনোই কোন চেঙিস বা হিটলারকে সাহায্য বা ধ্বংস করেন না। ইশ্বর শেখ মুজিবকে ক্ষমতায় বসান নাই আবার তিনিও উনাকে মারেন নাই।
সব হচ্ছে সিস্টেমে। হয়তো ইশ্বর নিজেও নিজের বানানো সিস্টেমের কাছে বন্দি। আপনার কি মনে হয়?