মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে "নর্থ ড্যাকোটা স্টেট" নামে একটা ইউনিভার্সিটি আছে। এগ্রিকালচার ও এপ্লাইড সায়েন্স এর এই ইউনিভার্সিটিতে উইকি করে বেশ বিস্ময়ের সাথে দেখলাম নোটেবল এলামনাই লিস্টে ৩৮ জনের এর মধ্যে সবার উপরে যে নাম সেটি "হুমায়ূন আহমেদ"। পলিমার কেমিস্ট্রির উপর পিএইচডি করা অনন্যসাধারন প্রতিভা এ সবকিছু কে পেছনে ফেলে আমদেরকে শিখিয়েছিলেন কিভাবে জ্যোৎস্না ধরতে হয়, কিভাবে চন্দ্রকথা শুনতে হয়, কিভাবে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়, কিভাবে কদমফুল ছুঁয়ে দেখতে হয়।
প্রিয় মুগ্ধকর, আপনি কি জানেন কত মানুষ শুধু আপনার জন্য বইমেলা চিনেছে? সেদিন কফিনে শুয়ে আপনি কি টের পেয়েছিলেন যে কত কত মানুষ অশ্রু, আবেগ, ভালবাসা নিয়ে আপনাকে বিদায় জানাতে এসেছিল?
অনেকেই হয়ত হুমায়ূন আহমেদ হতে চাইবে, তার মত করে শব্দ রচনা করবে কিন্তু কেউ কি মধ্যবিত্তের খন্ড খন্ড অনুভূতিকে, আবেগকে, ভালোলাগাকে এত সহজ ও নিষ্পাপ করে আমাদের সামনে আনতে পারবে?
হিমু-মিসির আলী-শুভ্র—রূপা-এদের নিয়ে আপনি হয়ত আরেক জগত তৈরি করেছেন। হয়ত সেখানেও নিরন্তর মুগ্ধ করে চলেছেন……
ভাল থাকুন... ম্যাজিশিয়ান, খুব ভাল......
"তুমি আমায় ডাকলা না গো তুমি রইলা দূরে
তোমার হইয়া অবাক জ্যোৎস্না ডাকলো অচিন সুরে
হাত ইশারায় ডাকে কিন্তু মুখে বলে না
আমার কাছে আইলে বন্ধু আমারে পাইবা না...
.....ঘর খুলিয়া বাহির হইয়া জ্যোৎস্না ধরতে যাই
হাত ভর্তি চান্দের আলো ধরতে গেলে নাই"