ইমান ভঙ্গ ও বিনষ্টকারী অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তন্মধ্যে মৌলিক একটি কারণ হোল আল্লাহর সাথে কাউকে শিরক (অংশীদার ) করা। আমাদের সমাজে আমরা বিভিন্ন ধরনের শিরকি কাজ দেখে থাকি। নিচে কিছু উদাহরণ দেয়া হোল;
১। রসুল (সাঃ) গায়েবের খবর জানেন বলে বিশ্বাস করা।
২। গনকের নিকট ভাগ্য গননা করা।
৩। পাখি বা বানরের মাধ্যমে ভাগ্য জানার চেষ্টা করা শিরক।
৪। রসুল (সাঃ) এর উপর ভ্রান্তিপূর্ণ দরুদ পাঠ করা যার মধ্যে রসুল (সাঃ) কে নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের শিরকি পর্যায়ের কথা আছে।
৫। কবরে শায়িত ওলীগণ মানুষের কল্যাণ করতে পারেন এরূপ ধারণা করা শিরক।
৬। ভক্তদের কবরে মৃত অলিগন এসে সাহায্য করতে পারেন এধরনের বিশ্বাস করা।
৭। আল্লাহর অলিগন গায়েব জানেন এমন বিশ্বাস করা।
৮। রাসূল (সাঃ) এর প্রশংসা ও স্তুতি বর্ণনা করে তাঁকে আল্লাহর অবতারে পরিণত করা, অর্থাৎ আল্লাহ নিজেই যেন মুহাম্মাদ (সাঃ) এর আকৃতিতে এ পৃথিবীতে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেছেন, এরূপ বিশ্বাস করা শিরক।
৯। গাউস, কুতুব ও আউলিয়াগণ পৃথিবী পরিচালনা করেন বলে বিশ্বাস করা শিরক।
১০। জিন ও জিন সাধকরা গায়েব সম্পর্কে জানতে পারে বলে বিশ্বাস করা শিরক।
১১। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে কল্যাণ অকল্যাণের মালিক বলে বিশ্বাস করা শিরক
১২। অলীদের কবর ও কবরের মাটি, নিকটস্থ কূপের পানি, গাছ ও জীব-জন্তুর দ্বারা বিশেষ উপকার হয় বলে বিশ্বাস করা শিরক।
১৩। ভাগ্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পাথর নির্মিত আংটির প্রভাবে বিশ্বাস করা শিরক।
১৪। তাবিজ ব্যবহার করা শিরক।
১৫। মৃত অলী-আউলিয়াদের নিকট কিছু কামনা করা শিরক।
১৬। অলীদের কবরের পার্শ্বে দাঁড়িয়ে বিনয় প্রকাশ করা শিরক।
১৭। নৌকায় আরোহণ করে খাওয়াজ খিযির ও পীর বদরকে আহ্বান করা শিরক।
১৮। চোখের অশুভ দৃষ্টি থেকে সন্তানকে রক্ষার জন্য সন্তানের কপালে কালো টিপ বা দাগ দেয়া শিরক। এ কাজটি আল্লাহর উপরে ভরসার পরিপন্থী বলে তা শিরকে আসগার।
এই ধরনের কাজ কেউ করে থাকলে তাকে তওবা করতে হবে এবং ভবিষ্যতে আর না করার সঙ্কল্প করতে হবে। আল্লাহ আমাদের এই খারাপ কাজগুলি থেকে বেচে থাকার তৌফিক দান করুন।
ছবিঃ ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৫