রুশি বললো,
-তুই আমাকে বিয়ে করবি কি না?
মঈন বললো,
-তুই তোকারি শুরু করলে কেন?
-তাহলেকি তোকে জামাই আদর করব?বল বিয়ে করবি কি না?
-না।
-তোকে আমি গলা টিঁপে মেরে ফেলবো।
বলেই রুশি মঈনের গলা চেপে ধরলো।
মঈন বললো,
-এই ছাড়ো, কি করছো?
-বিয়ে করবি না কেন?
-কি করে করবো? আমারতো চাকরী বাকরী কিছুই নাই।
-তোর চাকুরীর গুষ্টি কিলাই। এদিকে আমার জান বাঁচেনা আর উনি আছেন চা্কুরী নিয়ে।
-খাওয়াবো কী?
-তোর খাবার দরকার নেই আমার,শুধু তুই থাকলেই হবে।
-সম্ভব নয়।
এটা বলেই উঠে যাচ্ছিল মঈন।
রুশি বললো,
-তুই এখান থেকে চলে গেলে আমি কি করবো জানিস?
-প্লিজ,পাগলামী করবে না।
-পাগলামীর দেখেছিস কী?আজ তোকে দেখাবো পাগলামী কাকে বলে আর কত প্রকার। শালা বিয়ে করবি না তোর ঘার করবে।…
এই কথায় হেসে ফেললো মঈন, বলল,
-আজ তোমার কি হয়েছে রুশি?
রুশি নিজের চোখের পানি ধরে রাখতে পারল না।
সে কাঁদতে কাঁদতে বললো,
-তোমাকে আমি হারাতে পারবো না মঈন। প্লিজ চলো।
-কোথায়?
-কাজী অফিসে। আমি সব ব্যবস্থা করে রেখেছি। ঐ যে রাস্তার পাশে রিকশা দেখছো ওটা করেই যাবো আমরা।
-হুমম।
কাজী অফিসে গিয়ে আবার তর্ক শুরু হলো দু'জনের মাঝে।
রুশি বললো,
-দেনমোহর হবে ১ কোটি।
মঈন বলল,
-মানে কি? মাথা ঠিক আছে?
-হুমম, বাংলা সিনেমা দেখে আমারো ইচ্ছে হয়েছে আমার বিয়েতে কাবিন হবে কোটি টাকার।
-তাহলে কোটিপতিকে বিয়ে করো। আমাকে কেন?
-ফাঁজলামি করবা না।আমিকি চেয়েছি টাকা?তুমি যাতে কখনও ভং চং করতে না পারো সেই ব্যবস্থা।
-ভং চং?
-হুমম…
-দেখ রুশি, এটা খুব বাড়াবাড়ি।
-হলে হোক।
তখন কাজী সাহেব দুজনকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
-দেখ, দেন মোহর চাওয়াটা মেয়েদের অধিকার।
কিন্তু কোটি টাকা দেন মোহর চাইলেইতো হবে না। ছেলেরতো সামর্থ থাকতে হবে, তাইনা?
তাছাড়া, কোটি টাকা কাবিন করলে লাখ টাকা এখানে আমাকে দিয়ে যেতে হবে।
শেষের কথার কারণে রুশি বলল,
-তাহলে ১০ হাজার করেন।
মঈন বললো,
-এত কম কেন?
রুশি বলল,
-কত টাকা আছে তোমার কাছে?
-চল্লিশ টাকা।
-তাহলে চুপ থাকো।
এভাবেই বিয়ে হয় দুজনের।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৩৩