somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

র‌্যাগিং এর উপর লেখা আমার একটি গল্প।

৩০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ মঈনের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিন।
ক্যাম্পাসে ঢুকতেই কিছুদূর বসে থাকা কয়েকজন ছেলে মেয়ের মাঝে থেকে একজন ছেলে তাকে ডাকল।
মঈন এগিয়ে গেল তাদের দিকে।
সেখানে যেতেই একজন মঈনকে তার নাম জিজ্ঞেস করল।
মঈন তার নাম বলল।
ছেলেটা বলল,
-তুমিতো নতুন ভর্তি হইছ, আমরা তো তোমার সিনিয়র। আমাদের কিছু কথা যে শুনতে হয়।
মঈন বলল,
-বলুন।
ওখান থেকে অন্য এক ছেলে বলল,
-ভাইয়া একটা গান শুনাও তো।
মঈন বলল,
-ভাইয়া গান তো জানি না।
এবার আগের ছেলেটি রেগে গিয়ে বলল,
-গান জানোছ না মানে?মুখের উপর জানি না বলছ তোর এত সাহস ক্যামনে হইল?
মঈন বলল
-স্যরি ভাইয়া।
ছেলেটি বলল,
-কিসের স্যরি?? কানে ধর।
মঈন মাথা নিঁচু করে দাড়িয়ে আছে দেখে ছেলেটি ধমক দিল।মঈন নিজের দুই হাত দুই কানের কাছে নিয়ে গেল
তখনি ছেলেটি বলল,
-থাম, কানে ধরা লাগবে না। ওরে একটা কিস দে(পাশে বসে থাকা মেয়েটিকে দেখিয়ে)
ছেলেটির কথা শুনে মঈন হতভম্ব হয়ে গেল।
মেয়েটি ছেলেটির পিঠে একটা থাপ্পর দিয়ে বলল
-ধুর কি বলিস এসব?
ছেলেটি মেয়েটার কথা কানে নিল না।
মঈনকে উদ্দেশ্য করে বলল,
-কিরে, কিস দে।
তার পরেও মঈন দাড়িয়ে আছে দেখে ছেলেটি বলল,
-কিরে কিস করবি নাকি প্যান্ট খুলে ক্লাসে যাবি?নিচে ছোট প্যান্ট আছেতো? নইলে কিন্তু নুনু ঝুলতে ঝুলতে যাবে।
মঈন কোন উপায় না পেয়ে ঝুকে মেয়েটিকে কিস করতে যাবে ঠিক তখনি ছেলেটি কসে একটা চড় বসালো মঈনের গালে।
ফলে মঈনের একমাত্র চশমাটি দূরে ছিটকে পরে ভেঙ্গে গেল এবং মঈনের চোখ থেকে কয়েক ফোটা জল গড়িয়ে পরল।
ছেলেটি বলল,
-যা, বেয়াদব ছেলে।
মঈন ভাঙ্গা চশমাটি কুড়িয়ে নিয়ে চলে আসার সময় ছেলেটি বলল,
-শোন, শার্ট খুলে যা।
মঈন কিছু না বলে শার্ট খুলে চলে আসার সময় লক্ষ্য করল অন্য সবাই মিটি মিটি হাসছে।
মঈনের মনে হল জীবনের প্রথম সে শয়্তানের হাসি দেখছে।
সে এতিম খানায় অবেহেলার মাঝে বড় হয়েছে কিন্তু আজকের মত কষ্ট কোনদিন পায়্নি।
নতুন চশমা কি করে জোগাড় করবে সেই চিন্তায় দু'চোখ ভরে যায় অশ্রুতে।
আচ্ছা ওদেরকি কষ্ট বোঝার ক্ষমতা নেই? ওরাকি শুধু আনন্দ টুকুই বুঝতে পারে?
কই কেউ তো একবারের জন্যও বলল না,
মঈন তোমার কি কষ্ট হচ্ছে?
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০০
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×