জাহিদ ভাই বললো,
-যা কাগজ নিয়ে আয়।
আমি দৌড়ে গিয়ে খাতার কয়েকটা পাতা ছিড়ে নিয়ে এলাম।
গত সাত দিন থেকে জাহিদ ভাইকে অনুরোধ করে আসছিলাম একটা ঘুড়ি বানিয়ে দিতে।
আজকে রাজি হওয়ায় আমার আনন্দের শেষ নেই।
-দা নিয়ে আয়
বললো ভাইয়া।
আমি নিয়ে এলাম।
জাহিদ ভাই চিকোন করে বাঁশের শলা তৈরী করলো।
তারপর আমাকে আঁঠা আনতে বললো।
কিন্তু আঁঠা পাবো কোথায়?
পূর্ব পাড়ায় একটা বওলা ফলের গাছ আছে কিন্তু কে পেরে দেবে.…আমিতো ছোট মানুষ গাছে উঠ্টে পারিনা,
ভাইয়াকে বললাম আঠা নেই।
-যা তাহলে ভাত নিয়ে আয়।
আমি হাতের এক মুঠো ভাত আনলাম।
এবার বলল
-সুতো কই ওইটা ঘরে রাখলেই হবে?
আমি আবার ঘরে গিয়ে সুঁতো আনলাম।
জাহিদ ভাই কাগজ ছিঁড়ে এবং জোড়া লাগিয়ে আমার জন্য ঘুড়ি বানিয়ে দিলো।
বানিয়ে দিয়েই চলে গে্লো ভাইয়া।
আমিতো খুব খুশি।খুশিতে বাড়ির পিছনের মাঠে গেলাম ঘুড়ি উড়াতে।
কিন্তু একি ঘুড়িতো উড়ে না।
আবার ফিরে এলাম বাড়িতে।
বাবা ফিরেছেন স্কুল থেকে।
আমার মন খারাপ দেখে কাছে ডাকলেন।
জানতে চাইলেন মন খারাপ কেন।
আমি বললাম
-ঘুড়ি উড়ে না।
-দে এদিকে।যা ঘর থেকে কাগজ আর আঠা নিয়ে আয়।
আমি কাগজ আর ভাত আনলাম।
বাবা কাগজ ছিড়ে লম্বা লেজের মত করে ঘুড়ির সাথে লাগিয়ে দিলেন আর ঘুড়িটি আমাকে দিয়ে বললেন
-যা এবার হবে।
আমি আবার নাঁচতে নাঁচতে ঘুড়ি উড়াতে গেলাম।
এর পরে থেকে বুঝতে পারলাম, লেজের কতোটা গুরুত্ব।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৩