সড়ক মেরামতের খরচ জোগাতে ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি রাস্তা ব্যবহার ‘ফি’ চালুর প্রস্তাব করেছেন অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার তিনি জাতীয় সংসদে ২০১২-১৩ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
এই বাজেটে সড়ক ও রেলপথ খাতে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন মিলিয়ে ১০ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন তিনি।
বাজেট বক্তৃতায় মুহিত বলেন, “বাংলাদেশের সড়ক ঘনত্ব বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে দেশে প্রতি ১ হাজার বর্গকিলোমিটার
এলাকায় ২ হাজার ৭৯ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছ। এ কারণে নতুন সড়ক নির্মাণের চেয়ে বিদ্যমান সড়কগুলোর নিয়মত ও মানসম্মত রক্ষণাবেক্ষণের ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।
“আমি মনে করি, ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও রাস্তা ব্যবহারে ফি (রোড প্রাইসিং) চালু করা গেলে মেরামতের জন্য যেমন অতিরিক্ত অর্থেও সংস্থান হবে, তেমনি কমেব যানজট।”
মহাজোট সরকার গঠনের পর গত তিন বছরে ২ হাজার ৯১২ কিলোমিটার জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা সড়ক পুনঃর্নিমাণ , প্রশস্ত ও মজবুত করা হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী জানান।
তিনি জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর যৌথভাবে দেশের সব সড়কের ‘ম্যাপিং’ করে তার ভিত্তিতে ২০ বছর মেয়াদী একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে।
এই পরিকল্পনার আওতায় ‘যেখানেই সম্ভব সেখানেই’ সড়ক ও সেতুর জন্য টোল গ্রহণের ব্যবস্থা, সড়ক ব্যবহারের জন্য ‘রোড প্রাইসিং’ চালুর পদক্ষেপ নেওয়া, প্রাইভেট কারে অন্তত তিন জন আরোহী না থাকলে অতিরিক্ত টোল আদায় করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে মুহিত জানান।
ঢাকার যানজট কমাতে বেগুনবাড়ি খালসহ হাতিরঝিল এলাকার সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প আগামী অর্থবছরে শেষ করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী স্বীকার করেন যে, আন্তরিক চেষ্টার পরও ঢাকার চারপাশে বৃত্তকার সড়ক ও রেলপথ নির্মাণে আশানুরূপ গ্রগতি হয়নি।
সূত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম