পিতার কোলে সন্তানের দেহ, কুলির কাঁধে বোঝাদের ভার,
মা গিয়েছে উঠোনে শুঁকোতে শাড়ি,
এর মাঝে উঁনুনের ভাত ছিটকে ডাকে মাকে,
দৌঁড়ে যাওয়া শাড়ি ছেড়ে ঘরে।
অথবা,
নদীর বুকে যে মাঝি হাহাকার নিয়ে ভাবে,
বাড়িতে আজ চড়বে কি দু মুঠো ভাত-
তাদের প্রশ্নোত্তরে জমে যায় পৃথিবীর ঋণ।
এক সহস্র কাজের মাঝে বেঁচে যাওয়া, কতিপয় সহস্র দিন।
কাজের ঘোরে অথবা ব্রম্মান্ডের জোরে,
যেভাবেই বলিনা কেন।
এ আর নেই সে প্রতারণা।
এ যে মোদের রক্ত মাংসে বাঁচে।
কাজহীন দেহে রক্ত চলেনা।
দুমড়ে মুঁচড়ে পাষাণ হয়ে ভেঙ্গে যাওয়া,
কি লাভ বা হবে তাতে!
জন্ম নিয়েছি আপন আপন হাতে।
কি বা ছিল দরকার,
গরুর খামার,
অথবা
সন্ধ্যের কুঁপিখানি?
নাই বা এলাম পৃথিবীতে,
নাই বা হলো কোন কাজ।
নাই বা হলো হিমালয়কে দেখা।
কি ই বা হতো তবে?
হতো কিছুনা,
কিছুই হতোনা তবে,
কেবল অকারণে জেগে থাকা পৃথিবীকে কোলে করে বসে
মহাকাল দিয়ে যেত শাপ,
কি আর করবো তোরে বাঁচিয়ে রেখে এই অথর্ব অনুভবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৮