Marmot যা বৃহৎ মেঠো বা বুনো ইদুর হিসাবেই পরিচিত এবং এদের বড় প্রাপ্তিস্থান চীনের উত্তর সীমান্ত , মঙ্গোলিয়া ও পৃথিবীর আরও কয়েকটি দেশে । এই ইদুর শিকার করা হয় এবং ডেলিক্যাসি হিসাবে এর কাচা কলজে খাওয়া হয় উচ্চমাত্রার অ্যালকোহলিক পানীয়র সাথে । এই ইদুরের শরীর বিউবোনিক প্লেগের জীবাণু বহন করে। গেল সপ্তাহে মঙ্গোলিয়ায় দুজন রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং চীনের সীমান্তবর্তী হওয়ায় সেখানেও এই রোগী পাওয়া গেছে । চীন , মঙ্গোলিয়া প্রশাসন লাল সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এগিয়ে এসেছে সকল ধরনের প্রতিরোধ উপদেশ নিয়ে । খুব বেশি মাত্রার সংক্রামক বলেই বড় বেশি সাবধানতা নেয়া হচ্ছে উহান ঘটনায় বিপর্যস্ত বিশ্বের দিকে তাকিয়ে । ইউরোপে মধ্যযুগে এ ধরনের প্লেগে প্রচুর জীবনহানির ইতিহাস দেখা যায় । চীনের উত্তরাঞ্চলেও ১৯০০ শতাব্দীর শুরুতে এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা কম নয় । আধুনিক সময়ের উন্নত চিকিৎসা ব্যাবস্থায় এই রোগ নির্মূল সম্ভব । মুশকিল হচ্ছে এই odd food delicacy বন্ধ না হলে রোগ নিয়ন্ত্রন বৃথাই অরন্যে রোদন । শুকরের ফ্লু দেখা দিয়েছে মধ্য চীনে । এই ফ্লু এখনো শুকরের শরীরেই সীমাবদ্ধ । আমেরিকাতে শুকরের মাংস প্রসেস করা হয় ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করতে কিন্তু চীনে তা করা হয়না । ফলাফল শুকরের মাংস এখন ঝুঁকিপূর্ণ বটে । চীনে প্যাঙ্গোলিন আর বাদুড় ধরা খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবার পালা ইদুর আর অসংখ্য কু খাদ্য অখাদ্য নিষিদ্ধ তালিকায় যোগ করা। এক সময় চীনে দুর্ভিক্ষ নিত্য সঙ্গী ছিল বন্যা , খরা আর বিবিধ রাজা রাজড়া আর ভূস্বামীদের অত্যাচারে । বিবিধ প্রাণী বাছ বিচার না করেই নিরন্ন ক্ষুধার্ত মানুষ খেয়ে ফেলত । কম্যুনিস্ট চীনেও খাদ্যাভাব প্রকট ছিল । ৮০ দশকের পর উন্নতি হতে থাকে চীনের দুর্গম অঞ্চলে । চীন বৃহৎ খাদ্য আমদানী কারক দেশ । বড় শহরের রেস্টুরেন্ট গুলোতে যে পরিমান খাদ্য ফেলে দেওয়া হয় তা দিয়ে বিপুল সংখ্যক দরিদ্র মানুষকে আহার করানো যায় । কয়েকটি হোটেল বেচে যাওয়া খাবার আপনাকে প্যাকেট করে সাথে দিয়ে দেবে । এজন্য বুফে খাবার চীনে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । চীনের এখন রোগশোকের ডিপো বদনাম ঘুচানোর পালা ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৭