১৭ ই জুলাই বেইজিঙে ল্যান্ড করবেন অগ্রগামী দলের দুজন সদস্য যারা animal health specialist এবং একজন epidemiologist তারা WHO এর নিয়মিত গবেষণা কর্মী । তারা বেইজিঙে চীনা বিজ্ঞানী এবং ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলবেন । তারা এই ভয়ানক মহামারির উৎস খুজবেন যাতে করে ভবিষ্যতে এরকম কোন মহামারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং প্রতিকার নেয়া যায় । আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া প্রথমেই আরও বিস্তৃত এবং অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চাপ দিয়েছিল । চীনা প্রশাসন এই তদন্তে অনুমোদন দিয়েছে এই বলে যে শুধু চায়না নয় পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলো যেখানে এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে সেখানেও স্বাস্থ্য সংস্থা তদন্ত চালাবে। যেহেতু উহানের একটি ল্যাবরেটরী যাকে ঘিরে ষড়যন্ত্র ও সন্দেহের জাল বিস্তৃত তার একটা নিষ্পত্তি হবে – চীনারা এমনটাই বলছেন ।
ট্রাম্প আর পম্পেই আগেই উহান ল্যাবরেটরিকে সব ভাইরাস তৈরি আর বিশ্বব্যাপি ছড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত করেছেন । তারা বলেছেন এটা বেইজিঙের ষড়যন্ত্র । তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও অভিযুক্ত করেছেন চীনের ব্যাপারে ধীর গতিতে এগুনোর কারনে। বিশ্বের বিবিধ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক যারা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে জড়িত তারা এই তদন্তে চীনকে একধাপ এগিয়ে এসে সহযোগিতার জন্য বলেছেন । এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দ্বিতীয় সফর হবে চীন দেশে । গেল ফেব্রুয়ারিতে প্রথম দল এসেছিল । মে মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাধারন সভায় নিরঙ্কুশ সঙ্খ্যা গরিষ্ঠতায় অনুমোদন পেয়েছিল এই তদন্তের প্রসঙ্গ । এধরনের তদন্ত দীর্ঘ সময় নেবে খুজে পেতে ঠিক কোন উৎস থেকে এই ভাইরাসের আগমন ।
আমার মনে পড়ছে পাগলা ট্রাম্প কিন্তু বলেছিল ২০০ বিলিয়ন ডলারের কেনাকাটা কর আমাদের কাছ হতে তাহলে এই ব্লেম গেম শেষ হবে । কি জানি আজ সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে এই চমকপ্রদ বিষয় নিয়ে কেউ কিছু লেখেননি । আমরা অপেক্ষায় থাকব এই তদন্তে কি বেরিয়ে আসে তা দেখতে । বলে রাখা ভাল MI6 এর প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান ২/৩ সপ্তাহ আগেই বলছিলেন ভাইরাসের স্পাইকের মাথায় যে প্রোটিন কনা আছে তা ন্যাচারাল না , কৃত্রিম । এই প্রোটিন কনার জন্যই এটি যে শরীরে স্থান নিচ্ছে তার জিন ম্যাপে পরিবর্তন আনছে বলেই ভ্যাক্সিন তৈরি হচ্ছেনা । নতুন যে ভ্যাক্সিন আসছে তা এই প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করবে মাত্র । এসবই বিজ্ঞান সাময়িকী থেকে পড়া এবং সংগ্রহ ।
আমরা অপেক্ষায় ।।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২