ধীরুভাই আম্বানি , রিলায়েন্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা যার কথা পড়ছিলাম ১৯৯৮ সালে ঢাকার একটি পত্রিকাতে । ১৯৭৪ সালে তার কোম্পানির ১০০ রুপির শেয়ার তখন ১৯৯৮ তে ৮০০০০ আশি হাজার রুপিতে দাঁড়িয়েছে আর এসব শেয়ারের প্রাথমিক ক্রেতারা সবাই নিন্ম আয়ের মানুষ , দলিত । এই বিশাল দরিদ্র মানুষের কাছে ধীরুভাই আম্বানি বিশেষ শ্রদ্ধার আর ভালবাসার মানুষ ছিলেন । ব্যাবসার শুরুতে তিনি ব্যাঙ্ক ঋণ না নিয়ে শেয়ার থেকে আয় করা টাকা দিয়ে তার সাম্রাজ্য গঠনের কাজ শুরু করেন । খুব আহামরি পারিবারিক কাহিনী ছিলনা তাদের । জুনাগড়ের স্কুল মাস্টার বাবার সন্তান ধিরাজলাল হীরাচান্দ আম্বানি প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন এডেনে । ওখানেই মুকেশের জন্ম । তারপর ভারতে ফেরত আসা এবং পলিয়েসটার সুতোর ব্যাবসা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু । রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ১৯৭৩ সালে শুরু করে , এর আগে রিলায়েন্স কোম্পানি ছিল। তাদের তৈরি বিমল বা ভিমল ব্র্যান্ড শাল , শাড়ি , স্যুট এবং পোশাক আশাক ভাল বাজার পেয়েছিল । আম্বানি পরিবার বিবিধ উৎপাদন ব্যাবসায়ে স্থাপনা শুরু করে এবং ধিরুভাই খুব ঝুকি নিয়ে কাজ করতেন । ভারতের প্রথম ব্যাবসায়ি যার একটি ব্যাক্তিগত প্লেন ছিল এবং এই পরিবার এখন তিনটি প্লেন এবং দুটি হেলিকপ্টার ব্যাবহার করেন । ধিরুভাই আম্বানির প্রথম পুত্র মুকেশ আম্বানি এখন গোটা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন । তাদের ১৮ তালা ফ্লাটবাড়ি কিংবদন্তী । মহামারী করোনা, লকডাউন বা অর্থনীতিক বিপর্যয়ই কিছুই থামাতে পারেনি তাকে। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়র্স ইন্ডেক্সের তথ্যমতে, বিশ্বের অর্থনীতির ধনকুবেরদের পেছনে ফেলে সেরা ১০ ধনীর তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছেন রিয়ালেন্স ইন্ডাস্ট্রিজর চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি।নিউ ইয়র্কের সংস্থা ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়র্স ইন্ডেক্স জানিয়েছে, মুকেশ ইউরোপের ধনকুবের বার্নার্ড আর্নল্টকে পেছনে ফেলে এই স্থান দখল করেছেন। বার্নার্ড আর্নল্ট হলো বিশ্বের অন্যতম ফ্যাশন ব্র্যান্ড লুই ভুঁইটোর কর্ণধার। মুকেশ শুধু বার্নার্ডকেই নয়, চতুর্থ স্থানে নিজের নিজের নাম তুলতে একাধিক বিজনেস টাইকুনকে পেছনে ফেলেছেন। মুকেশ আম্বানির আগে সেরা তিনে রয়েছেন জেফ বেজোস, বিল গেটস এবং মার্ক জুকারবার্গ।শুধু ধনীদের তালিকায় চতুর্থ স্থান নয়, সম্প্রতি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি উৎপাদক সংস্থা হিসেবে নজির গড়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এর ফলে রিয়ায়েন্সের শেয়ার বেড়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। বর্তমানে যার বাজারমূল্য ১৮৯ বিলিয়ন ডলার।
চলতি বছরে রিলায়েন্সের শেয়ার লাফিয়ে বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। ফলে মুকেশ আম্বানির ঘরে লক্ষ্মী লাভের অঙ্কটা দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া মুকেশের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮শ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পে রিলায়েন্স ব্যাপক সফলতা দেখিয়েছে । সফল উদ্যোক্তাদের আমার ( ভুমি দস্যু নয়) সবসময় ভাল লাগে বলে তাদের সফলতা নিয়ে পোস্ট দেই । তাদের নিয়ে আকথা কুকথা থাকতেই পারে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৪৭