সুশান্ত রাজপুতকে চিনতাম না বা তার কোন সিনেমা দেখিনি । এক সময়ের তুখোড় সিনেমা দর্শক আমি এখন সিনেমা প্রায় দেখিই না । সুশান্ত আত্মহত্যা করেছে এই ইস্যু ধরে পেলাম যে সে কেন আত্মহত্যা করবে ? তার তো কোন কিছুর অভাব ছিল না । আস্তে ধীরে জানলাম সম্ভবত তাকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু অপ্রমানিত । রিয়া নামের বান্ধবী আর তার ভাই সুশান্তের টাকা পয়সার দিকে নজর ফেলেছিল । রিয়া জেলে । এই সুত্রেই বেরিয়ে এল হলিউড হিরো হিরোইনদের মাদক চর্চার কাহিনী । পুলিশ খুন ফেলে মাদকে নজর দিল । দীপিকা পাডুকোনের মেসেজ থেকে “মাল হ্যায়” ডায়লগ ছড়িয়ে পড়ল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । আজ দীপিকার সাক্ষ্য ছিল মুম্বাইয়ের মাদক বিষয়ক পুলিশ অফিসে । সাক্ষ্য গ্রহন চলছে । ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত খবরের সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরের পর যেকোনো সময় অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর ও সারা আলী খানও আসবেন এনসিবির কার্যালয়ে। গতকাল শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাকুলপ্রীত সিং, দীপিকার ম্যানেজার কারিশমা প্রকাশ এবং ধর্ম প্রোডাকশনসের কার্যনির্বাহী প্রযোজক খিতিজ রবিকে।
প্রায় চার ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। আর রাকুল নাকি এনসিবির জেরার মুখে তাঁর বাসায় মাদক রাখার কথা স্বীকার করেছেন। রাকুলের দাবি যে এই মাদক রিয়া চক্রবর্তী তাঁকে রাখতে দিয়েছিলেন। এনসিবি এই বলিউড নায়িকার বাসা থেকে মাদক উদ্ধার করেছে। এর আগে এনসিবির ড্রাগ চ্যাট তদন্তে দেখা গেছে ‘এন’, ‘জে’, ‘এস’, ‘ডি’, ‘আর’, ‘কে’র মধ্যে মাদক পরিবহন নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। আর এই ‘ডি’ অক্ষরের পেছনে দীপিকারই নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে ভারতের শীর্ষস্থানীয় এক চ্যানেল তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ড্রাগ চ্যাটে ‘ডি’, অর্থাৎ দীপিকা ড্রাগ চেয়ে পাঠিয়েছেন ‘কে’-এর কাছে। কে এই ‘কে’? এই ‘কে’-এর নাম কারিশমা, যিনি ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিতে কাজ করেন। দীপিকার জবাবে কারিশমা জানান, ‘আছে, কিন্তু আমার বাসায়। আমি এখন বান্দ্রায়।’ কারিশমা আরও বলেছেন, ‘যদি বলেন তো অমিতকে জিজ্ঞেস করতে পারি।’ দীপিকা পাল্টা জবাব দেন, ‘হ্যাঁ, প্লিজ।’ কারিশমা উত্তরে বলেন, ‘অমিতের কাছে আছে, সে নিয়ে যাচ্ছে।’ দীপিকা বলেন, ‘হ্যাশ, বিড না।’ এসব সূত্রে আজ দীপিকাকে যেতে হলো তদন্ত কমিটির সামনে। তালিকায় মুম্বাইয়ের বিনোদনজগতের ৫০ জনের বেশি অভিনয়শিল্পীর নাম আছে। বেরিয়ে আসছে আরও অনেকের নাম। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এনসিবি করন জোহর , হৃতিক রোশন, রণবীর সিং, শহীদ কাপুর আর অর্জুন রামপালকে সমন পাঠাতে পারে।
মনে হচ্ছে কেউই বাদ যাবেনা এই মাদক নাটকে । মদ এবং অ্যালকোহলিক পানীয় ভারতে উন্মুক্ত । মাদকের থাবা সেখানে ভয়াবহ । মাদকের বড় হোতারা কেউ ধরা পড়েছে বলে শুনিনি । তবে মিডিয়া জগতকে এই চান্সে একটু সাইজ করাই সরকারের লক্ষ্য । খুব ছোট বিষয় নিয়ে সরকারের করোনায় বিপুল ব্যার্থতা ঢাকার চেষ্টা বলেই আমার মনে হয়েছে । এইসব জগতে এক আধটু সেবন দ্রবণ হবে এবং সেটাই স্বাভাবিক । পৃথিবীর একটা বিশাল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যেন ধ্বংস না হয় এইই কামনা । মুল সাপ্লায়ারসকে ধরা হোক ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২২