এ ধরনের খবর বেশ পুরাতন হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত বাংলাদেশের রেল মন্ত্রনালয়ে চিঠি দিয়েছে । এখন ব্যাপারটাকে জোরদার করতে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার শিডিউল চাইছে । ভারতের চলতি রেলপথ নতুন জলপাইগুড়ি, নতুন কোচবিহার ও নতুন আলিপুরদুয়ার হয়ে রেলপথটি আসামে প্রবেশ করেছে। এতে তাদের ৬০০ কিলোমিটার যাত্রা করতে হয় । নতুন প্রস্তাবিত রেলপথটি হিলি থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ঘোড়াঘাট, পলাশবাড়ী এবং গাইবান্ধার মধ্য দিয়ে ব্রহ্মপুত্র হয়ে যাবে এবং তুরার মহেন্দ্রগঞ্জকে সংযুক্ত করবে। এতে যাত্রা পথ দাঁড়াবে ১২০ কি মিঃ । বেশ সাশ্রয় হবে ভারতের সময় এবং অর্থ দুটির । বাংলাদেশ ৬০০ কি মিঃ এর কিছু খরচ লেভি হিসাবে নিলে বেশ উপকার হবে । আর নতুন রেলপথ ২০ বা ৩০ বছর পর বাংলাদেশের অনুকুলে আসবে বা বলা চলে পরিচালনা /মালিকানা উভয়ই । এসবই টেকনিক্যাল কমিটি নির্ধারণ করবে । পৃথিবীতে অনেক দেশ এই চলাচল সুবিধা দিয়ে বেশ কামিয়ে নিচ্ছে সাথে উন্নয়ন সহযোগী ও অন্যান্য স্বার্থ ভিত্তিক বিবিধ সম্পর্কে সংযুক্ত হচ্ছে । চীনের থিয়ানজিং থেকে উলানবাটোর একটা রেলপথ চীনারা গড়ে দিয়েছে যা শুধুই মঙ্গোলিয়ার আমদানি রফতানিতে ব্যাবহার হয় । চীন বেশ ভাল লেভিতে এই সুবিধা দিয়েছে মায় কি রেল ইঞ্জিন , বগি বানিয়ে দিয়েছে । তাছাড়া মঙ্গোলিয়ার উপর দিয়ে চীন এবং রাশিয়া রেল যাত্রা চালু রেখেছে যা ৬ দিনের ভ্রমন সময়ে কম খরচে প্রচুর টুরিস্ট যাতায়াত করে । ইউরোপের দিকে তাকালে আমরা বিবিধ দেশের আন্তঃ রেল যোগাযোগ দেখতে পাই । প্রস্তাবিত এই প্রকল্পে ভারত ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যায় করবে ।
আমি বেশ উৎসাহী এই রেল যাত্রার সুচনা লগ্ন দেখতে ।
ছবিঃবাংলা ট্রিবিউন
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ৯:১৫