ইসরায়েলের পক্ষে ইরানের ভূগর্ভস্থ পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করা অসম্ভব। এটি করতে পারে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষেই এটি করা সম্ভব- এমনটা জানালেন ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ইয়েচিয়েল লিটার।

সোমবার ( ১৬ জুন) মেরিট টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ইয়েচিয়েল লিটার বলেন, ‘ইরানের ভূগর্ভস্থ ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানার জন্য প্রয়োজনীয় বোমা কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই আছে। ’

এই স্থাপনাটি ধ্বংস করতে পারে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা—ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর। সেটি বহন করতে হবে আমেরিকান বি-২ বোমারু বিমান দিয়ে।

ফোর্দো স্থাপনাটি উত্তর ইরানের কোমের কাছে পাহাড়ের একেবারে গভীরে অবস্থিত। এখানে উন্নত সেন্ট্রিফিউজ রয়েছে, যা উচ্চ বিশুদ্ধতার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়। এর সঠিক গভীরতা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে অনেকে অনুমান করেন, এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮০ থেকে ৯০ মিটার গভীরে অবস্থিত।

লিটার বলেন, ‘আকাশ থেকে বোমা মেরে ফোর্দোকে ধ্বংস করতে হলে, বিশ্বের একমাত্র দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র যার কাছে সেই বোমা আছে।টোবে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত, তারা এই পথ অনুসরণ করবে কিনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘ যদিও এটিই একমাত্র উপায় নয়। ফোর্দো ধ্বংস করার আরও উপায় আছে।’

তিনি চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে একটি সামরিক অভিযানেরও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এসময় তিনি জানান, ইরানকে কঠিনভাবে আঘাত করা হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘যখন ধুলো থিতিয়ে আসবে, বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার আপনি কিছু চমক দেখতে পাবেন যার ফলে বিপার অভিযানকে প্রায় সাধারণ মনে হবে।’ তিনি সেপ্টেম্বরে লেবাননে ইসরায়েলের চালানো হামলার কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহৃত পেজার এবং ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের দিকে ইঙ্গিত করেন তিনি। ডিভাইসগুলোতে বিস্ফোরক লুকানো ছিল। একের পর এক ডিভাইস বিস্ফোরণে শিশুসহ অন্তত ৩৭ জন নিহত এবং প্রায় ৩ হাজার আহত হন। হতাহতদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন বেসামরিক পথচারী।

এদিকে, নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইরানের ফোর্দো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে বোমা হামলার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্বিধায় রয়েছেন।