
ডিপ্রেশন- শব্দটা ছোট, কিন্তু এর ভেতরের ব্যথা গভীর ও নিঃশব্দ। বাইরে থেকে অনেকেই স্বাভাবিক মনে হলেও, ভেতরে তারা লড়ছেন এক অদৃশ্য অন্ধকারের সঙ্গে। বাইরে সূর্য ওঠে, পাখিরা গান গায়, চারপাশে হাসির শব্দ। তবু যার ভেতর ডিপ্রেশনের ছায়া নেমে আসে, তার কাছে পৃথিবী নিস্তব্ধ হয়ে যায়।
মানুষের মন বড়ই আশ্চর্য। কখন কোথা থেকে দুঃখ জমে যায়, কেউ জানে না। একসময় সেই দুঃখ মনকে ভারী করে তোলে- হাসি হারিয়ে যায়, জীবনের রঙ ম্লান হয়ে পড়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ আজ ডিপ্রেশনে ভুগছেন। বাংলাদেশেও এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কর্মক্ষেত্রের চাপ, পারিবারিক অশান্তি, সম্পর্কের টানাপোড়েন কিংবা একাকীত্ব- সব মিলিয়ে নিঃশব্দে বুনে চলে ডিপ্রেশনের জাল।মনো বিজ্ঞানীরা বলেন, ডিপ্রেশন দুর্বলতার নয়। এটি এক ধরনের রোগ, যার চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু সবচেয়ে বড় বাধা হলো সমাজের মানসিকতা। কেউ মানসিক কষ্টের কথা বললে আমরা অনেক সময় বলি, এসব কিছু না ভাবলে হয়। অথচ এসব কিছুই অনেক সময় কারও জীবনের শেষ সীমা টেনে দেয়।
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির শুরু একটিমাত্র পদক্ষেপে, কথা বলা।
নিজের ভেতরের ব্যথা কারও সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া। কথা বললেই কুয়াশা একটু একটু করে সরতে শুরু করে, মনটা হালকা লাগে।
প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া, সময়মতো ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম এবং প্রিয়জনের পাশে থাকা- এসবই হতে পারে জীবনের নতুন আলো।
ডিপ্রেশন মানে অন্ধকার নয়, বরং অন্ধকারের ভেতর থেকেও আলো খুঁজে নেওয়ার সাহস।
আর সেই সাহসের নাম, জীবন।
শরিফুল রোমান এর লেখা থেকে সংগৃহীত

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


