মীনরূপ পথিক
সব ঠিক ছিলো
টলটলে জল
সুর্যস্নাত উষ্ণতা
অাগাছা অার ধানের ফাঁকে ফাঁকে ইতিউতি অানাগোনা
টুপ করে শ্বাস নেয়া
কখনো ডুব সাতার দিয়ে
স্বজাতি ঝাঁকের দোলায় শান্ত ভেসে থাকা৷
ভরা বৃষ্টির দিনে
বর্শা, বড়শি, ছিপ, অাঁকড়া, কোঁচ
চাঁই, পলো, অান্টা, তেপাই
ঝাঁকি জাল, ফাঁস জাল
সব ফাঁকি দিয়ে
ধেই ধেই জলে ভোঁ ঝিলিক সাতার দিয়ে বেঁচে থাকা৷
তারপর
এ কেমন মরা বৃষ্টির দিন
উদম অাকাশের নীচে যেন উলঙ্গ অাবাস
চারদিকে শুধু শিকারী জালের বিস্তার
মৎস্যক্ষেত্র না শস্যক্ষেত্র নাকি যুদ্ধক্ষেত্র...
থকথকে কাদা ঙিঙ্গিয়ে কিভাবে রাজপথে এলো
তার মনে নেই৷
কানকোর ফাঁকে বিলম্বিত শ্বাস
কে যেন বললো যেতে যেতে
অাকাশ থেকে কি মাছের বৃষ্টি হয়?
কই মাছে সে লোকের অাগ্রহ নেই
শেষমেশ হয়তো ভেবেছিলো কেবলই মরা মাছ
কারো থলে থেকে বিপন্ন পড়ে গেছে৷
সঙ্গী সাথী বহু মারা গেছে
সেও মড়ার মতো পড়ে ছিলো পথে
কতটা সময় তার মনে নেই...
ফুলকোর ভেতরে শেষবিন্দু শ্বাসে
অাবারো বাতাসে ভেসে অাসে বাঁচবার ঘ্রাণ
তবে কি দেখা পাবে হ্রদের ঝিকিমিকি
ঝালসনো অাঁশের পিঠে মিঠে জলের শিঞ্চন?
ঘষটে চলেছে সে মত্স্যের ডানা
নষ্টক্ষেত্র থেকে মুক্তি পেতে হবে
খুঁজে পেতে হবে নতুন ঠিকানা
একটু একটু করে এই মহাযাত্রা...
তার কই মাছের প্রাণটা নিয়ে
সে কি পারবে মহাদেশ পাড়ি দিতে?
- শাহেদা শেলী
১২/১২/১৫