আজ আমাদের জাতীয় জীবনে এক আশ্চর্য অনুভূতিময় আনন্দ-বেদনায় শিহরিত এক উজ্জ্বল দিন কারণ আজ মহান বিজয় দিবস, এই দিনে প্রত্যক্ষ করেছে মুক্তি সংগ্রামের বিজয়কে, আমাদের স্বদেশ ভূমিতে আত্ম প্রতিষ্ঠা ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
আমাদের এই বিজয়ের মাধ্যমে শুরু হয় জাতীয় জীবনের এক নবতর অধ্যায়।বিশ্বের কাছে আমারা পরিচিত লাভ করি, বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের মর্যাদাপূর্ণ স্থান হয় সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পায়েছি, আমাদের এই বিজয়ের দিনের নানা রকম পটভূমিতে রয়েছে বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশে এক সংগ্রামী অধ্যায় যা অন্য কোথায় পাওয়া যাবেনা, রয়েছে হানাদার পাকিস্তানের জঙ্গিশাহির দুই দশকের শাসন-শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে অগি্নশপথময় আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় কেবল একটি জাতীয় পতাকা এবং স্বাধীন ভূ-খন্ডের মধ্যে সীমিত হয়। এর তাৎপর্য বিরাট ও সুদূর প্রসারী যা বলে কখনো কেউ শেষ করতে পারবে না,
আজ আমরা ৪৪ বছর পার করলাম কিন্তু আমাদের মুক্তি যোদ্ধারা যেই বিজয় টা আমাদের জন্য হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে আনলো সেটা কি সেই বিজয় দেশ?
আমরা স্বাধীন হয়েছি সত্যি, কিন্তু মনের সারাক্ষণ পশ্ন জাগতে থাকে আমারা কি স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর ও আমাদের প্রকৃত মুক্তি কি অর্জিত করতে পেরেছি? স্বাধীন হলেও এমন স্বাধীনতাই কি আমরা চেয়েছিলাম ?
এদেশের মানুষের প্রকৃত মুক্তি অর্জিত এখন হতে পারে নি ইতিহাসই তা আজ সাক্ষ্য দিয়ে যাচ্ছে, খুব জানতে ইচ্ছে করে আমাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা অর্জিত কি হয়েছে? একদল শোষকের স্থান নিয়েছে আরেকদল শোষক বাহহহ আমরা হয়েছি দর্শক। মুক্তিযুদ্ধরা যে আকাঙ্খার একটি সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলতে চেয়েছেন তা এখনো করা সম্ভব হয় নাই। স্বাধীনতা, লাল সবুজের পতাকা আর মানচিত্রের আড়ালে আমাদের উপর চেপে বসে আছে সাম্রাজ্যবাদ, সমপ্রসারণবাদসহ বিদেশিদের ও তাদের এদেশিয় দালালদের নির্মম শোষণ। অথচ স্বাধীনতার ইতিহাস কতই না কষ্টার্জিত। কত যাতনা ভরাই না এ ইতিহাস। দেশে এখনও যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধ শেষ কোথায় ?
আমাদের প্রত্যাশিত স্বাধীনতাই কি আজকের এই স্বাধীনতা খুব জানতে ইচ্ছে করে?আমাদের সংসদ সদস্য রা সংসদে নানা রকম অবলিলায় অশ্লিল বাক্য প্রয়োগ আর খিস্তি খেউড়ের জন্যই কি স্বাধীনতা ? মিথ্যা বলার জন্যই কি স্বাধীনতা ? স্বাধীনতার ঘোষক খুঁজে না পাওয়ার জন্যই কি স্বাধীনতা ? দেশদ্রোহিতার জন্যই কি স্বাধীনতা ? রাজনৈতিক হানাহানির জন্যই কি স্বাধীনতা? কথায় কথায় হরতালের জন্যই কি স্বাধীনতা ? খুনোখুনি রাহাজানি আর রাষ্ট্রীয় চুলোচুলির জন্যই কি স্বাধীনতা ? মাদকে বুদ হওয়ার জন্যই কি স্বাধীনতা ? ঘুষ দুর্নীতির জন্যই কি স্বাধীনতা ? অস্ত্রবাজি- টেন্ডারবাজির জন্যই কি স্বাধীনতা ? ক্রসফায়ারের জন্যই কি স্বাধীনতা ? সত্য না বলার জন্যই কি স্বাধীনতা ? কিসের জন্য স্বাধীনতা অন্তত আমার জানা নেই,।
খুব লজ্জার সাথে কষ্টে বলতে হয় যারা যুদ্ধ করেছিলেন আমাদের দেশের জন্য; পরাধীনতা থেকে মুক্ত করে স্বাধীনতা দিয়েছেন বাঙালি জাতিকে সেই মহান ব্যক্তিদের নিয়ে আজ চলছে রাজনীতি, আর পক্ষ বিপক্ষের তীর ছুড়াছুড়ি বাহহ ভালোতো,। যারা আমাদের জন্য নিজের জান প্রান বাজি রেখে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে খুব কষ্টে বলতে হচ্ছে তারা অনেক আজ অনেক লাঞ্ছিত অবহেলিত খুব কষ্টে প্রতিটা দিন কাটতাছে, আর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা বেশ ভালোই দিন যাপন করতাছে,
মুখে দেখে সয়ে যাই সব ! বুকের এক কোণে ক্ষয়ে ক্ষয়ে জমা হতে থাকে কিছু পচা কফ ! ইচ্ছে হয় থু করে মারি ছুড়ে মারি আর লেপ্টে পড়ুক তাদের মুখের উপড় !! আর তা দেখে এক চিলতে অস্পষ্ট করে হাসুক নির্যাতিত, লাঞ্চিত, অপমানিত মুক্তিযোদ্ধারা।
আজ প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধারা অবহেলিত লাঞ্ছিত। প্রকৃত মুক্তি যুদ্ধারা কিছুই পায়নি এ দেশ থেকে। আমার মনে হয় এ দেশ থেকে তারা কিছু পাবার আশা ও করেনা। তারা চায় হাজারো শহীদের রক্ত দিয়ে গড়া, লক্ষ্য মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকতে। কিন্তু যখনি শুনে স্বাধীন দেশের সেই স্বাধীনতার প্রতীকগুলো পার্শ্ববর্তী হায়েনাদের কারনে কাটা তারে ঝুলে থাকে, যখনি শুনে প্রতিদিন বুলেটের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হয় আমার দেশের পতাকা, যখনি শুনে গুরু ব্যবসায়ীকে উলঙ্গ করে পেটানো হয় তখন অবশ্যই তাদের হৃদয়ের কঠোরে চিন চিন করেব্যাথা অনুভূত হয়, এই কি স্বাধীনতা ?
এই রকম বিজয় চেয়েছিলেন আমাদের দেশের জন্য, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধারা? তাঁরা কী চেয়েছিলেন যে ৪৪ বছর পর এই বিজয় দিবস কিছু কিছু লোকের জন্য লোকদেখানো দেশপ্রেমের একটা হাতিয়ার হবে? নিজের হৃৎপিণ্ডের শব্দ থেমে যাওয়া শুনতে শুনতে তাঁরা কী এরকম ভেবেছিলেন কখনো, যখন মানুষ ঠান্ডায় জমে যাওয়া কাউকে সাহায্য করার চেয়ে আতশবাজি পুড়িয়ে উল্লাস করাকে দেশপ্রেমের মহৎ উদাহরণ হিসেবে গ্রহণ করবে? কিংবা দেশপ্রেম দেখানোর অসুস্থ প্রতিযগিতায় মাতবে?
আজকে ১৬ই ডিসেম্বার আমাদের স্বাধীনতা বিজয় দিবস।আমরা তরুন সমাজ কি পেলাম?
বিজয়ের স্বাদ অনুভূতি কি আছে আমাদের ?গনতন্ত্রই বা কি বা অনুভূতি কি আমাকে কেই কি উত্তর দিবেন ? সত্যিই গনতন্ত্র বা স্বাধীনতা আমি আজ উপভোগ করতে পারলাম না।চাকুরি করতে গেলে আমাদের ঘুষ লাগে এটাই বুঝি আমাদের গনতন্ত্র এটাই বুঝি স্বাধীনতা। আমাদের বিবেক কোথায় বিজয়ের উল্লাসে হারিয়ে ফেলেছি।আজকে জাতির ১৬ কোটি মানুষের কাছে আমার প্রশ্ন স্বাধীনতা,গনতন্ত্র কি?আমরা চড়ি প্রাইভেট গাড়িতে আর আমি না খেয়ে থাকি।এটাই বুঝি আমাদের গনতন্ত্র এটাই বুঝি স্বাধীনতা।এটাই কি চেয়ে ছিলেন শেখ মুজিবর রহমান?আজ ১৬ই ডিসেম্বার নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ৩০লাখ শহিদের আত্মত্যাগ ও প্রায় ৪ লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আজকের এই দিনে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা পৌছে যান স্বাধীনতার অভিষ্ট লক্ষ্যে। আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেন পাক বাহিনীকে। বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি পাকিস্তান সামরিক সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে ছিনিয়ে আনেন আমাদের বহুল কাঙ্খিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক লাল সবুজের পতাকা।
এটাই কি চেয়ে ছিলেন শহীদ জিয়া?এটাই কি চেয়ে ছিলেন মওলানা ভাসানী। আমার অনেক ভুল লেখা মাফ করবেন সবাই।আমাদের ছাত্র সমাজের বিবেক কোথায়?
১৬ কোটি মানুষের বিবেক আজ কোথায়?আর অনেক প্রশ্ন ভালো লাগেনা জাতি ঘুমিয়ে গেছে।আমিই তো অপরাধী।তাই আপনি ও ঘুমান আমিও ঘুমাই বাহহহহ বাহহহহহ