ছবি (সংগ্রহীত)
ইদানিং ফেসবুকে উঁকি দিলেই ব্লগার চাঁদগাজীর কথা মনে পড়ে। সামু ব্লগের আলোচিত, সমালোচিত, কখনো প্রেমিক পুরুষ ব্লগার চাঁদগাজী। তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীর অভাব নেই এখানে তেমনি ঘোরতর শত্রু আছে তার, ছালছোলা মন্তব্য, অহেতুক উস্কানি মন্তব্যের কারণে। তিনি মূলত রাজনীতি নিয়ে লিখেন, আমি এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলে আনন্দ পাই সেই জন্য তার লেখা পড়াও হয় বেশি। তাঁর রাজনৈতিক দর্শন, ধর্মীয় দর্শন আমার বিপরীত তবুও তার কিছু কথা বেশ ভাল লাগে।
তিনি প্রায় বলেন, শেখ হাসিনা কখনো চান না তার চেয়ে বুদ্ধিমান কেউ তার আশেপাশে ক্ষমতার দায়িত্বে থাকুক। তার এই বাণী ইদানিং করোনা আপডেট আর ধান কাটা নিয়ে হুলস্থুলগুলো খেয়াল করলে বুঝা যায়।
বিশ্ব এখন থমকে দাঁড়ানো, ভবিষ্যৎ অর্থনীতি এক ভয়ঙ্কর অনিশ্চয়তা মুখে, আমাদের মত দেশের জন্য সেটা আরো বেশি উদ্বেগ উৎকন্ঠার। তাই যত বেশি সম্ভব সচেতন হয়ে এগুনো উচিত তাতে হয়তো আখেরে ভাল কিছু হবে। এখন একটি খাদ্য শস্য আমাদের জন্য অতি মূল্যবান তাই হাওড়ের ধানসহ সারা দেশের ধান যাতে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, কৃষক যেন ভালভাবে ধান ঘরে তুলতে পারে তাই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যেন তার নেতারা যেন খেয়াল রাখে, কৃষকদের যেন সাহায্য করে।
ওমা! এরপর দেখি বঙ্গপাল গ্রুপ চকচকে সু পরে সান গ্লাস কপালে লেপটে হাতে ঘড়ি পরে ধান কাটার নাটক শুরু করলো, কেউ আবেগে কাঁচা ধান কেটে নাটক ধারণ করল। আমাদের নারী শক্তি আরো একধাপ এগিয়ে, তাহারাও দেখিয়ে দিল মোরা পারি! কিন্তু বঙ্গপাল বুঝলো না, এটা রাতের ভোট না, যে শুধু সিল মারলে হইবো বাকিটা, ছিঃছিঃ করে দিবে। কৃষকদের উপকার তো তারা করলেই না বরং উল্টো তাদের কাজের .... মেরে দিয়ে এলো।
এদিকে জাহিদ মালেক সাব, যিনি নাকি করোনা সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটির সভাপতি, কিন্তু তিনি কিছু জানেন না। তাকে না জানিয়ে সব হুটহাট সিধান্ত মুক্ত হয়ে চলছে। কয়দিন পর দেখা যাবে সারাদেশ উন্মুক্ত অথচ তিনি তখনো হাত ধুতেই আছেন, হাত ধুতেই আছেন।